সুতোয় সুতোয় জড়িয়ে-পেঁচিয়ে শেষমেশ তো
একলা একাই হারিয়ে গেল দূর-মেঘেতে;
নীল আকাশের কালোর মাঝে হারিয়ে গেল
আলোক হাতে আধ-খাওয়া চাঁদ।
ওড়না পেতে হলুদ ঢেউয়ে ডাকলো যখন,
খুব গোপনে ডুবলো সেথায় একটা শালিক;
একটা বিকেল, একখানি হাত আরেক হাতে-
ওই যে তারা একলা একা ঘাসের ওপর।
সবাই কেমন মিলেমিশে হয় একাকার-
কই, কেউ তো কখনও খুব একান্তে হলো না আমার!
কেউ তো কখনও বললো না সে আর কারও নয়,
বললো না তো, ওই দিগন্তে শূন্য পথে আমরা দুজন-
কেবল আমরা দুজন, আর কেউই নয়!
বললো না তো, আর সবই তো ভীষণ মেকি-
এ দুচোখে আর কিছু নয়, তোমায় দেখি;
একটু কাছে এগিয়ে এসে চোখের ভেতর রাখলো না চোখ,
বললো না তো আমায় ছাড়া চলবে না আর-
কই, কেউ তো কখনও খুব একান্তে হলো না আমার!
আমি কেবল তাকিয়ে দেখি সময় পেরোয়,
বয়স বাড়ে এ পৃথিবীর বৃদ্ধ চোখে;
শূন্য কত একলা পাখি সঙ্গী-সাথে উড়ন্ত ওই,
একলা আকাশ মেশে গিয়ে সমুদ্রপাড়।
আমিই কেবল খুঁজে ফিরি (পড়বো ঝুলে) এক কাঁটাতার-
তবু তো কেউ খুব একান্তে হলো না আমার!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৭