এই চাঁদ আর আলোর চুম্বন অর্ধমগ্ন রাত্রির আঁধারে মদিরার শূণ্য পাত্রে এসে বাতাসের রূপ, তাচ্ছিল্যের স্বরে দোল খায়।
ঝুলতাঁরাগুলো দোল খায় যেন মোর টলটলে ঝাপসা চোখের উপরে। নিজেকে স্থির করে ধরে রাখি, কঠিন বাতাসের দোলা পর্দার আঘাতে ভেঙে পরে কালোমদিরপাত্র।
খবরে এখনো বখতিয়ার আসে তার আধুনিক অস্ত্রের সৈন্য সওয়ার নিয়ে- বিদ্যুৎ বেগে, দেশ-দেশান্তরে আগুন জ্বলে, কোপ খেয়ে মরে মেধাবী।
কী আসে যায়! কী আসে যায় তাতে!
হাজার পঙ্গুশিশু মাতৃজঠরে বেড়ে ওঠে দিনের পর দিন, জন্মের পর প্রথম যে অস্ত্রটি তুলে নেয় তার গর্ভধারিণীর প্রতি, তাতে শুয়ে বসে শান দেয় কৌটিল্যের শিষ্যগণ।
বখতিয়ার আর এই চুম্বন; কতটুকুই বা তফাৎ তাতে, হিংসার আঘাতে নিভে যায় ঝুলতারাঁগুলো। আমাদের প্রেমের ফসল ভরে ওঠে কুলাঙ্গারে।
তাই সরে যাই,
যতটা সরে যাওয়া যায়, ততটাই সেরে উঠি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:০২