এই ছবিটির যে কোন একটি আক্রমণকারী ছেলের কাহিনী
কিছুদিন আগে শুনলাম তার মায়ের কাছে ২০ হাজার টাকা চেয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা হয়েছেন, তাই পরিচিতি পোষ্টার ছাপাতে উক্ত টাকা তার জরুরী দরকার। মা দেশের রাজনীতির হালচাল বুঝেন না। ছাত্রলীগ নেতা হলে যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে পারে অথবা সন্ত্রাসের স্বীকার হতে পারে সেটিও তার তেমন জানা নেই। একদিন আমাকে ছেলের টাকা চাওয়ার ঘটনাটি জানালেন তার মা। আমাকে অনুরোধ করলেন যেন আমি তার ছেলেকে একটু বুঝাই। সময় বুঝে একদিন তাকে অনেক বুঝালাম। বয়সের কারণে হোক অথবা আমার ব্যক্তিত্বের কারণে হোক ছেলেটি কখনো আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে না। যা হোক ছাত্র রাজনীতি তথা ছাত্রলীগের কুখ্যাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ফিরিস্তি দিয়ে তাকে অনেক কথাই বললাম। আমার কথা পিঠে সে কোন যুক্তি দাঁড় করালো না। নিরব থেকে বিদায় নিল। সেদিন ১১ সেপ্টেম্বর সব গুলো পত্রিকায় তার ছবি ছাপা হয়েছে। একজন সন্ত্রাসীর ছবি। নিরীহ একজন প্রতিপক্ষ দলের ছাত্রকে নির্মমভাবে পিটাচ্ছে। বিভিন্ন অনলাইন নিউজেও তার ছবি দেখা গেছে।
ছাত্রলীগনেতা হয়েছেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বড় পর্যায়ের এই নেতার পরিচিতিমুলক ছবিসহ পোষ্টার আমাদের এলাকার দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে। কিন্তু এই ছাত্রনেতার সন্ত্রাসী কর্মের ছবির সাথে পোষ্টারের বক্তব্য ও ছবির কোন মিল পাই না।
আমাকে ব্যথিত করে, একটা নিরীহ ছাত্র কিভাবে ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় এমন সন্ত্রাসী হয়ে যায় এটা ভেবে আমি ভিতরে ভিতরে উদ্বিগ্ন হই। এর মায়ের সাথে দেখা হলে তিনি ইত্তেফাকসহ ভিন্ন পত্রিকায় উপরোক্ত ছবি ছাপা হয়েছে বলে জানান। আমি তাকে আশ্বস্ত করি, বলি তেমন কিছু হবে না-এটাই দেশের হালচাল। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার হলে আপনার মান ইজ্জত অনেক বেড়ে যাবে। উপরন্তু আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতার মা আপনার তো গর্ব করা উচিত। এতো কিছু বলার পরেও তার মা বোনের উৎকন্ঠার ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠে। আমার কথায় তারা আশ্বস্ত হতে পারেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০