একটি সংবাদ শুনে তো আবাক হবার জোগাড়।
নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদী গ্রেফতার।
সরকারের মধ্যে কি তাহলে বিরাট অস্তিরতা বিরাজ করছে?
কেন এই অস্তিরতা? বা কিসের অস্তিরতা?
যুদ্ধাপরাধ বলুন আর মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারই বলুন। দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ১৯৭১ সালে মানুষ হত্যা, ধর্ষণ, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের বিচারের। কিন্তু নিজামী-মুজাহিদদের গ্রেফতার থেকে বুঝা যাচ্ছে না, বর্তমান সরকার আসলে কোন পথে এগোচ্ছে?
রাজনৈতিক অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতামত হচ্ছে, বিএনপি সরকার যেমন গোলাম আজমকে গ্রেফতার করে তার পাপ মোচন করে দিয়েছিল। সে রকম কোন উদ্যোগ বর্তমান সরকারও হয়ত নিয়েছে? নিজামী-মুজাজিদদের গায়ে যে কালো দাগ লেপ্টে আছে তা মুছে দেবার দায়িত্ব নিয়েছে তারা।
না হলে, কেন এমন একটি ঠুনকো বিষয়ে তাদের গ্রেফতার করতে গেলো সরকার। যে বিষয়টি আদালতে টিকবে না। তারা বুক ফুলিয়ে বেরিয়ে আসবে জেল থেকে।
মাঝে মাঝে দারুণ কষ্ট হয়, বর্তমান সরকারের আচার-আচরণে।
সরকার কি চায় আর কি করে? তা যেন বুঝে ওঠা মুশকিল।
আর কেন বা তারা এমন অস্থির?
গত রোববার হরতাল চলাকালে র্যাব কর্তৃক মির্জা আব্বাসের বাড়িতে হামলার সংবাদ টিভি চ্যানেলে দেখে তো মনে হয় না, আওয়ামীলীগের মতো এমন একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আছে।
মনে হয়, একদল দস্যু এই বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। ইতর ভাষায় গালাগাল করছে।
র্যাব এমন স্পর্ধা পেলো কোথা থেকে। একটি সভ্য দেশে এমন আচরণ তো সভ্যতার আওতায় পড়ে না। র্যাবকে গঠন করা হয়েছে একটি সুশৃঙ্খল এবং সুসংগঠিত বাহিনী হিসেবে। তাহলে কি র্যাবের মধ্যেও আজ আর কোন সুশৃঙ্খলবোধ বলতে কিছু নেই।
আওয়ামীলীগ তথা বর্তমান সরকারেরকে যারা প্রগতিশীল, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তির সরকার বলে সমর্থন করেন তাদেরও যখন আওয়ামীলীগের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলতে হয় তখন বুঝে নেওয়া উচিৎ এই সরকার বর্তমানে সঠিক পথে চালিত হচ্ছে না।
এই বোধ যত তাড়াতাড়ি সরকারের মধ্যে জাগ্রত হবে ততই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল।