আকাশের দিকে না তাকানোই ভালো
শূন্যতার অফুরান এই বর্ণসম্ভার শুধুই ঈর্ষাতুর করে।
সময়ের পালকিটা তেপান্তরের মাঠ পেরুলেই
খসে পড়ে মায়াবী পর্দা---------------
মুঠোর ভাঁজে লুকোনো নখরগুলো চেনা হয়ে যায় দ্রুত;
দুরন্ত সবুজ কিশোরেরা অচেনা,প্রবল পুরুষ
সবুজ মেয়েরা আর সবুজ থাকেনা
কাল নেকাবে ঢাকা পড়ে হরিৎ ওড়না
স্বপ্নের সমস্ত পাপ গচ্ছিত রেখে আসে পিয়াইনের জলের নুড়িতে।
পথের প্রতিটি মোড়ে একটি বিবর্ণ পাপড়ি খসে পড়ে
বুকের ভেতরে জমা নক্ষত্রের রাত
চাঁদের উঠোন
গানের জলসা--রবীন্দ্র,নজরুল,লালন,শচীন
পুকুরের মত্ত জলে দাপাদাপি নিদাঘ-মধ্যাহ্ন
কলেজ পালানো উন্মত্ত দুপুর
প্রখর-স্বপ্নের তীব্র সাদা পালে তর তর ভাসা ডিঙ্গিখানি
থরে থরে সাজানো স্মৃতির গ্যালারী।
যাপিত জীবনের ভারে ন্যুব্জ পৃষ্ঠদেশ
-----পিছু ফিরতে দেবেনা
কোথাও একদন্ড তিষ্ঠোতে দেবেনা কালের চাবুক।
প্রাত্যহিক ছন্দ ভেঙ্গে আচমকা আনমনে
দূরাগত অতীতের রিনরিনে কিশোরীকন্ঠটি বেজে ওঠে,
'তারাগুলো আরেকবার চিনিয়ে দেবে ,বাবা?'