আজ দেখলাম, আযান আর টেকনোলজিকে ব্লগে একজন মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন, তাকে বিনীতভাবে অনুরোধ, এইসব বিভেদের পথ থেকে দয়া করে ফিরে আসুন! উক্ত লেখক আমার খুবই কাছের একজন ব্লগার। তাকে আমি অনেক ভালোবাসি। কিছু কিছু বিষয়ে তার মতের সাথে আমার মতভিন্নতা থাকলেও তার প্রতি, তার ভাব ও ভাবনার প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। আমার ধারণা, তার পরিচয় এখানে তুলে ধরা নিষ্প্রয়োজন, বরং সহৃদয় ব্লগার এবং পাঠক বন্ধুগণ খুব সহজেই তাকে জেনে নিতে সক্ষম হবেন।
আযানের বিপরীতে আজ টেকনোলজিকে তিনি মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে একইরকমভাবে মসজিদের বিপরীতে তাকে লাইব্রেরির উপমা ব্যবহার করতেও দেখা গেছে। তাকে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে যে, আমাদের দেশে এত মসজিদের প্রয়োজন কি? এর চেয়ে বরং লাইব্রেরি বেশি হওয়া উচিত, তার মতে।
এটা ঠিক যে, অধিক সংখ্যক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার পক্ষে আমরাও সম্পূর্ণ একমত। কারণ, শিক্ষিত, আধুনিক এবং উন্নত জাতি গঠনে অধিক সংখ্যক লাইব্রেরির প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু লাইব্রেরির সাথে মসজিদের তুলনা কেন? লাইব্রেরির স্থানে লাইব্রেরি, মসজিদের স্থানে মসজিদ থাকবে। দু'টোরই প্রয়োজন যার যার স্থানে অবশ্যই সঠিক। একটাকে আরেকটার সাথে সাংঘর্ষিক করে উপস্থাপন করতে হবে কেন?
বস্তুতঃ ধর্মীয় বিশ্বাস বিশেষতঃ ইসলাম ধর্মের এইসব বিষয়াদিকে আধুনিকতা ও বিজ্ঞানের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে ধর্মে বিশ্বাসীদের খোঁচা দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়ে থাকে, বিশ্বাসীদেরকে এসব বলে ক্ষিপ্ত করে তুলতে একটি মহল বদ্ধপরিকর। এসব করার দ্বারা অপরিনামদর্শী বাজে কোনো পরিস্থিতি তাদের হয়তো প্রত্যাশা, যা মোটেই কাম্য হওয়া উচিত নয়। ধর্মে বিশ্বাসীগণকে বিজ্ঞান ও আধুনিকতার বিপরীতে অন্ধকারের বাসিন্দা হিসেবে উপস্থাপন করে সমাজে দ্বন্ধ-সংঘাত এবং বিভেদ সৃষ্টির পায়তারায়ই এই জাতীয় পোস্ট দেয়া হয়ে থাকে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
উক্ত পোস্টের তী্ব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং লেখককে তার অলিক ও বিভ্রান্ত চিন্তা চেতনা থেকে ফিরে আসার আহবান জানাচ্ছি। কারও ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করার মাধ্যমে দেশে এবং সমাজে ফিতনা ফাসাদ উস্কে দেয়া কোনমতেই আমাদের কাজ হওয়া উচিত নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:০৪