হতভাগা গুলিবিদ্ধ ফিলিস্তিনি! জন্মই যেন ওদের মৃত্যুর মিছিলে ঠাঁই করে নেয়ার জন্য!
সউদি রাজপুত্র মুহাম্মাদ বিন সালমান কোথায়? তিনি কথা বলছেন না কেন? তার কথা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে প্রহর গুনে যাচ্ছি যে! তিনি কোন বানী নিয়ে মিডিয়ায় আসেন না কেন? তার মধুমাখা অমিয়বানী শুনতে না পেরে আমরা শঙ্কিত! বিচলিত! চিন্তিত!
ফিলিস্তিনিরা গুলি খাচ্ছে, রক্তের সাগর পেরিয়ে কাতরাতে কাতরাতে ধুঁকে ধুঁকে পাড়ি জমাচ্ছে ওপাড়ের অদৃশ্য জগতে! আর তিনি কী না কোনো কথাই বলছেন না! এটা কী করে হয়! হ্যাঁ, না, বন্ধু! আপনি ভুল বুঝবেন না, দয়া করে! আমি মনে হয় বুঝাতে পারিনি! বুঝাতে না পারাটা আমার দীনতা ছাড়া কিছুই নয়! ক্ষমা করবেন! সউদি রাজপুত্রের আচরনে আমি আশ্চর্য! তবে, আশ্চর্য তার নিরবতায় হইনি! বরং, অবাক হয়েছি, ইসরাইলের পক্ষে তিনি একটি কথাও না বলায়! যেখানে ফিলিস্তিনের এতগুলো তাজা প্রান কেড়ে নিল (প্রায় ডজন দুয়েক) ইসরাইল, তার কি একটু আনন্দ প্রকাশ করেও দেখানোর দায়িত্ব ছিল না? ইসরাইলের এত বড় সফলতায় (!) তিনি একটুও খুশি প্রকাশ করতে পারতেন না! ইসরায়েলের পক্ষে দু'টো কথা বলা কি তার উচিত ছিল না! 'সাবাশ!' 'সাবাশ!' -বলে ইসরাইলী সেনাদের একটু পিঠ চাপড়ে দেয়া কি তার আবশ্যক মনে করার কোনোই কারন ছিল না! নেতানিয়াহুর সাথে গলাগলি, কোলাকোলি করে বিশ্বকে একটু আনন্দ উপহার দেয়া তার কি একান্তই কর্তব্য ছিল না!
হায় কপাল, কী কলিকাল দেখতে হচ্ছে আমাদের! জগতের বিশ্বাস কি ধীরে ধীরে উবে যাচ্ছে তাহলে? বন্ধুর সুদিন দেখে বন্ধু নির্বাক! বন্ধুর সফলতা বন্ধুর ভেতরে কোনো ভাবান্তর ঘটায় না! আনন্দ-উচ্ছৃাস-ছন্দ আনে না! ভালবাসা কি জগত থেকে এমন করেই হারিয়ে যাবে একদিন! এ কেমন বন্ধুত্ব? আর কেমনই বা বন্ধু হলেন তারা?
ছবির জন্য কৃতজ্ঞতা, দৈনিক প্রথম আলোর প্রতি।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭