আরটিভির এক প্রোগ্রামে দেখা গেছে নায়িকা পূর্ণিমা মিশা সওদাগর কে জিজ্ঞেস করছেন, " আপনি জীবনে কতবার ধর্ষণ করছেন, কাকে ধর্ষণ করতে আপনার সব থেকে বেশী ভালো লাগছে" ইত্যাদি লেইম কথাবার্তা..
তো এই ইস্যুতে এক দল বলতেছে পূর্ণিমার অবশ্যই এই কুপ্রশ্নের জন্য মাফ চাওয়া উচিৎ..
আর অন্য আরেকদল মনে করেন.. "পূর্ণিমা রে মাফ চাওয়ানোর দরকার নাই.. নারীবাদীরা হুদাই ব্যাপারটা নিয়া জল ঘোলা করতেছে.. ফিল্ম বিষয়ক প্রোগ্রামে এই ধরণের প্রশ্ন একেবারেই নিরীহ প্রশ্ন.. দুনিয়ার তাবৎ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এই ধরণের প্রোগ্রাম করতেছে এবং সেখানে আরো জঘন্য প্রশ্নও করা হইতেছে"
প্রোগ্রাম নিয়ে আমার কোনো কথা নাই.. তাদের এই প্রোগ্রাম দুনিয়ার সবথিকা ফাউল প্রোগ্রাম ও হইতে পারে.. দুনিয়ার সবথিকা মহান প্রোগ্রামও হইতে পারে..
কিন্তু পূর্ণিমার সমর্থকরা যেহেতু দুনিয়ার তাবৎ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দিকে তাকাইতে বললেন এবং সেসব প্রোগ্রামে করা প্রশ্নের কথা বললেন তখন আমার এই প্রশ্ন টা মাথায় আসলো.... ওইসব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি একই সাথে এধরণের প্রোগ্রাম ও করে আবার সমাজের বিভিন্ন অনৈতিক দিকগুলো নিয়ে প্রোগ্রাম করে, কথা বলে.. দামিনী ইস্যুতে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লোকদের একটা বড় সাপোর্ট ছিলো.. অনেকে পথে নামছিলো..
কিন্তু আমাদের এই পূর্ণিমা, মৌসুমি, শাবনূর আপাদের কখনোই এইসব ইস্যুতে কথা বলতে দেখা যায় না.. এমনকি অপু বিশ্বাস কেও না যিনি নিজেই কিনা এক ধরনের নির্যাতনের শিকার..
মজা কইরা প্রোগ্রাম তারা করতেই পারেন কিন্তু সামাজিক দায়বদ্ধতাগুলা তারা কিভাবে এড়ান সেইটা আমার প্রশ্ন! মজা কইরা আপনে মিশারে জিগাইতেই পারেন যে "মৌসুমিরে ধর্ষণ কইরা আপনার অনুভুতি কি" কিন্তু এই মজার পরে যখন আপনে পেপার টা হাতে নিবেন, টিভি অন করবেন.. দেখবেন একটা ৮ বছরের বাচ্চা রেইপ হইছে, একটা ১৬ বছরের কিশোরী রেইপ হইছে, একজন প্রেগন্যান্ট মেয়ে রেইপ হইছে তখন আপনি ক্যানো কথা বলেন না? ক্যানো প্রোগ্রাম করেন না এইসব রেইপের বিরুদ্ধে? ক্যানো নাটক সিনেমা টক শো তে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন না? ক্যানো দরকার হইলে রাস্তায় নাইমা রেইপের বিরুদ্ধে দাঁড়ান না? আপনে কি মনে করেন একজন শিল্পীর দায়িত্ব খালি মজা করা আর লোকেরে মজা দেওয়া? সোশ্যাল এক্টিভিটি দরকার নাই? তাইলে আমি আপনারে বলবো দুনিয়ার সবথিকা স্বার্থপর মূর্খ আর্টিস্ট.. আর্টিস্ট বলতেও বাঁধে.. একজন আর্টিস্টের দায়িত্ব অনেক বড়..
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৭