সবধরণের জনপ্রতিনিধিদের (স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত) নির্বাচন করার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার ক্ষেত্রে আরও কিছু নিয়ম সংযোজন করা প্রয়োজন।
আমাদের সংবিধানের ৬৬ ধারায় রয়েছে সংসদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (রিপ্রেজেন্টেটিভ পিপলস অর্ডার – আরপিও ১৯৭২) এর সর্বশেষ সংস্করণ গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন ২০২৩ অনুযায়ী বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়া হয়ে থাকে।
তো যে নিয়ম সংযোজনের কথা বলছিলাম। আমার মতে,
১. কোন জনপ্রতিনিধি দুইবারের অধিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
২. জনপ্রতিনিধিদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
ব্যাখ্যায় আসি,
১. উদাহরণস্বরুপ, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের জন্যে একজন প্রার্থী যতবার খুশি ততবারই লড়াই করতে পারেন। কিন্তু শর্ত হলো কোনো ব্যক্তি ইতিহাসে নূন্যতম ২ বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলে তিনি আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। এখানে ব্যপারটা হলো রাজনৈতিক দল মনোনয়ন দিবে কিনা সেটার উপরও নির্ভর করে। কিন্তু আমাদের দেশেও আমরা যদি জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এইরূপ নিয়ম চালু করতে পারি তাহলে একজন ব্যক্তি বছরের পর শাসন বা শোষণ করতে পারবে না। হয়, দুইবারের অধিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ না দেয়া অথবা আমেরিকার মতো, ২ বার নির্বাচিত হলে পরবর্তীতে আর নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। ফলে, এক নেতার অধীনে পাতি নেতাদের দ্বৌরার্ত কমে যাবে। নতুন নতুন নেতৃত্ব আসবে যেটা বর্তমানে সুযোগ খুবই কম।
২. বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ জনশক্তি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ৭ শতাংশ। আর বাংলাদেশের মূল শিক্ষা ব্যবস্থাটি তিন স্তরে বিভক্ত: প্রাথমিক পর্যায় (শ্রেণি ১ম –৫ম), মাধ্যমিক স্তর (৬ষ্ঠ – ১০ম) এবং উচ্চ স্তর । তো বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিদেরও তাদের প্রতিনিধিত্বের স্তর অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেয়া দরকার। যেহেতু, বর্তমানে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি। আর অশিক্ষিত, মূর্খ কিংবা স্বল্পশিক্ষিত নেতা দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব না দিয়ে এক্ষেত্রেও মেধার মুল্যায়ন করলে দেশের জন্যই কল্যাণকর হবে বলে মনে করি।
উপরোক্ত মতের পক্ষে, বিপক্ষে, সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে আপনার মতামত জানাতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩