কাকের ইয়ে হলো সাদা চটচটে, ঈষৎ তৈলাক্ত এক ধরণের উচ্ছিষ্ট যা কাকের পায়ূপথে রেচন প্রক্রিয়ায় নির্গত হয়। যদিও কাক কৃষ্ণ বর্ণ কিন্তু কাকের ইয়ে প্রায়শই শুভ্র বর্ণের হয়ে থাকে।
কাক তাঁর ইয়ে নির্গমনের জন্য গাছের মগডালকে আদর্শ স্থান হিসেবে বিবেচ্য করে। যুগে যুগে মনিষীগণ কাকের ইয়ে নিয়ে বহু গবেষণা করেছেন। যাই হোক, সেদিকে আমি যাচ্ছি না...
কাকের ইয়ে নিয়ে বিভিন্ন ফান ম্যাগাজিনে বহু লেখা পড়েছি। একটা লেখার সারাংশ বলি-
একদা তিন বান্ধবী একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে চটপটি খাচ্ছিলো। তারা খাওয়ার সময় গল্প আড্ডায় মেতে উঠলো। অতঃপর গাছের ডালে বসে থাকা একটি কাকা তাদের এক বান্ধবীর চটপটির মধ্যে ইয়ে করেই উড়াল দিলো। বাকী ইতিহাস আর বলার অপেক্ষা রাখেনা,,, হাহাহা :-D
হানিফ সংকেত রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান গুলোকে ব্যাঙ্গাত্বক ভাবে উপস্থান করতে "ইত্যাদি"তে একবার দেখিয়েছিলেন যে-
খোলা প্রকৃতিতে গাছের নিচে রান্না করা হচ্ছিলো। হঠাত্ আমন্ত্ৰিত অতিথি রান্নার মধ্যে এক ধরণের সাদা মশলার উপস্থিতি টের পেলেন। তিনি উপস্থাপিকাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপা ঐ সাদা মশলাটা কখন দিলেন? উপস্থাপিকাকা বললেন, কই আমিতো কোন মশলা দিইনি। তথাপি ক্যামেরায় দেখা গেল গাছের মগডালে বসে একটি কাক তার প্রাকৃতিক কর্ম সেরে উড়াল দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো...
এবার কাকের ইয়ে নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ তাশরীফ এর কারণটা বলি-
কাকের ইয়ে কারো গায়ে পড়ার দৃশ্য দেখার মতো সৌন্দর্য্য দ্বিতীয়টি নেই। এই দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কোনটিই এতোদিন ছিলো নাহ।
অবশেষে, সম্প্রতি একদিন ম্যাথ ডিপার্টমেন্টের কতিপয় বালিকাসহ লিটন স্যারের বাসার সামনে একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়েছিলাম। অপেক্ষা লিটন স্যারের আগমনের। তখনই আমার পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা বালিকার হাতে উক্ত সাদা দ্রব্যটি পতিত হতে দেখলাম। প্ৰথমে ভেবেছিলাম বালিকা বুঝি হাতের রূপচর্চা করার জন্য লোশন জাতীয় কিছু লাগাইছে। পরক্ষণে ঊর্ধ্ব গগণে কাকের ফিলিংস প্রকাশকারী কা কা ধ্বনি শুনে ব্যাপারটা বুঝতে সক্ষম হলাম। বালিকার নামটা এখানে অপ্রকাশিতই রাখছি....
কাকটির নিশানা পারফেক্ট আছে বলতে হবে। কারণ, আরেকটু এদিক সেদিক হলেই সেটা আমার গায়েই পড়তো....
বলতেই হবে,,,
মানির মান আল্লাহ রাখে...
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭