চাঁদপুরের একটা মেয়ে আমারে খুব ডিস্টার্ব করতেছে। এই মেয়ের হাত থেকে বাঁচার একটা উপায় বলেন তো আমারে। আমারে এর কবল থেকে রক্ষা করেন।
::
ঘটনাটা তাহলে খুলেই বলিঃ
::
বেশ কিছুদিন আগে (প্রায় দু'তিন মাস আগে হবে) একদিন আমার রবি নাম্বারে একটা আননোন নাম্বার থেকে চারটা মিসকল আসছিলো। আমার মোবাইলে তখন কল ব্যাক করার মতো যথেষ্ট পরিমাণ ব্যালেন্স না থাকায় কল ব্যাক করতে পারিনি। পরের দিন আবারো ঐ নাম্বার থেকে মিসকল আসায় মোবাইলে ১০টাকা রিচার্জ কৱে কল ব্যাক কৱলাম। কিন্তু কেউ রিসিভ করলোনা। পরক্ষণেই আবার মিসকল এলো। এবার ব্যাক করতেই রিসিভ করলো কিন্তু কেউ কথা বললো না। কিছুক্ষণ হ্যালো হ্যালো করার পর ওপাশ থেকে লাইন কেটে দিলো। সেদিন সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে আবারো চার পাঁচটা মিসকল আসে। এইবার কল করতেই কথা বললো। একটা মেয়ে কণ্ঠ জানালো যে ভুল করে আমাৱে মিসকল দিয়ে ফেলছে। আমি আচ্ছা ঠিক আছে বলে রেখে দিলাম।
::
কিন্তু ঠিক থাকলো না। পরের দিন যথারীতি আবারো মিসকল দিতে থাকলো। এইবার কল করার পররে আমার নাম জানতে চায়। সেদিনের কথাবার্তায় জানতে পারলুম মেয়ের বাড়ী চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে।
::
মেয়েটা কিসে পড়ে কিংবা বয়স কত? অথবা বিবাহিত না অবিবাহিত তা অদৌ কিছুই জানিনা। আন্দাজে জিগাইলাম আপনার স্বামী কী করে?
ব্যস, হাসতে হাসতে শেষ।হাসি থামিয়ে বললো তাঁর স্বামী মাটি কাটে। আমারে জিগাইলো আমি কী করি? আমি কইলাম আমিও মাটি কাটি। তারপরল্ল জিগাইলাম আপনার ছেলেমেয়ে কয়জন। জানালো বিশ পঁচিশটা হবে। (কয়টা নিজেই জানেনা। হাহাহা)
::
ব্যস, ১০টাকার কথা এইটুকুই। আমার টাকাও শেষ, কথাও শেষ। ১০টাকা হুদাই গচ্ছা দিলাম। আমি রবিতে আর টাকা লাগাই নাই। কিন্তু ঐ নম্বর থেকে প্রতিদিন মিসকল আসতেই থাকলো। এমনি করে মিসকল দিতে দিতে এক সময় যখন দেখল আমি ব্যাক করিনা তখন মিসকল দেয়া অফ ছিলো কিছুদিন।
::
কিন্তু এখন এই উপদ্রব আবার শুরু হয়েছে। প্রতিদিন কয়েকটা করে মিসকল দিচ্ছেই....
::
এখন কী করি কন তো? নিজের পকেটের টাকা খরচা কৈরা তাঁর লগে রসের আলাপ করার ইচ্ছা বা আকাঙ্খা কোনটাই আমার নাই। শুধু এর থেকে পরিত্রাণের একটা উপায় চাই...
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫০