প্রতিশোধ-দ্যা রিভেঞ্জ ৪ >> দ্যা লেথ্যাল রিভেঞ্জ
লেখক: নিলয় আহসান নিশো
..
(১)
..
ঢাকার প্রখ্যাত একটি ভার্সিটির লেডিস হলের সামনে প্রচন্ড ভীড় জমেছে।
কারন হলে পুলিশ এসেছে।
পুলিশ আসার কারন হল, হলের একটি মেয়ে নিজের রুমে কাল রাতে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সকালে পাশের রুমের ছাত্রী তাকে ডাকতে গেলে ফ্যানের সাথে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখে চিৎকার করে উঠলে হলের সবাই একত্রিত হয়ে পড়ে।
তারপর কারো লাশ নামানোর সাহস না হলে তাদের মধ্যে কেউ একজন পুলিশে খবর দেয়।
..
...
অধিকাংশ পুলিশ সদস্য হলের বাইরে অবস্থান করছে আর ৪-৫জন মহিলা পুলিশ হলের ভিতরে ঢুকেছে কিছুক্ষন আগে লাশ নামানোর জন্য।
কিছুক্ষনের মধ্যে লাশ নামানো হল...
..
...
হলের সব মেয়ের মধ্যেই আতংক বিরাজ করছে।
প্রচন্ড আতংকিত হয়ে পড়েছে সবাই। মহিলা পুলিশ উপযুক্ত আর সব ফর্মালিটি সহ লাশ হলের বাইরে এনে ময়নাতদন্ত এর জন্য পাঠিয়ে দিল।
..
...
হলের মেয়েটির ফ্লোরের কয়েক টি মেয়ে কে ডেকে নিলো মহিলা পুলিশরা হলেই সামনেই হালকা কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য।
কিন্তু তারা তেমন কিছুই বলতে পারলো না।কারন আত্মহত্যা করা মেয়েটির মধ্যে আত্মহত্যা করার কোন কারন ই তারা খুজে পাচ্ছে না।
..
...
মেয়েটি অন্যান্য দিনের মতই স্বাভাবিক ছিল কাল রাতেও।রাতের খাবার শেষে সবাই বেশ জমিয়ে আড্ডা ও দিয়েছিল অনেক রাত পর্যন্ত।
তারপর যে যার রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে।
..
...
আজ সকালে প্রথম যে মেয়েটি তার মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তাকে সামনে ডেকে নিলেন এক পুলিশ। সকালে আসলেই কি হয়েছিল সেটা জানার জন্য.....
..
...
(২)
..
...
রাত ৯টা.....
অফিস থেকে বাসায় এসে দরজায় নক করতেই নিরুপমা দরজা খুলে দিল গোমরা মুখে।
বুঝলাম আজকেও দেরি করে আসাতে ম্যাডামের বেশ রাগ হয়েছে। তাই আমি কিছু না বলে তারাতারি চেঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে ডায়নিং এ আসতেই দেখি খাবার সাজিয়ে রাখছে নিরুপমা।
আমি চুপ চাপ খেতে বসলাম।কিন্তু নিরুপমা খেতে বসছে না। বুঝতে পারলাম আজকে রাগ টা একটু বেশি ই হয়েছে আমার উপর.....
হবেই বা না কেন?
প্রতিদিন যার স্বামী কাজের অজুহাত দিয়ে দেরি করে বাসায় আসে তার বউয়ের তো একটু রাগ হবেই....
..
...
আমি এবার খাবার টেবিল থেকে উঠে নিরুপমা কে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আলতো করে আমার নাক টা নিরুপমার ঘাড়ে ঘসতে ঘসতে আমার কোলের উপর বসিয়ে বললাম হা করো আমি তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছি।
নিরুপমার চোখের দিকে তাকাতেই দেখলাম জলে ছল ছল করছে। আমি এক নেওলা ভাত নিরুপমার মুখে তুলে দিয়ে নিরুপমার কপালে একটা চুমু দিতেই ভ্যা করে কেঁদে দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো ভালই যদি এত বাসো তাহলে এত কষ্ট দাও কেন?
আমি কিছু না বলে কিছুক্ষন বুকে জরিয়ে রেখে খাওয়া শেষ করলাম দুজনে দুজনকে খাইয়ে দিতে দিতেই।
আমি অবশ্য দু একবার নিরুপমার আঙুলে কামর ও দিয়েছি।তখন কপট রাগ দেখিয়েছে আমাকে সে যদিও মনে মনে সে অনেক খুশি হয় আমি এটা করলে।
..
...
খাওয়া শেষ করে নিরুপমা বললো কাল তো পহেলা ফাল্গুন... তাই তোমার ডিউটিতে যেতে হবে না।কাল তোমার পুরোটা দিন আমার চাই।কাল আমি তোমার হাত ধরে সারা শহর হাটবো।কতদিন তোমার হাত ধরে হাটিনি।
আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে কাল সারা টা দিন তোমাকেই দিবো....
বলেই আমি বেডরুমে আসলাম...
কিছুক্ষন পর নিরুপমা আসলো, এসে আমার পাশে শুয়ে আমার বুকে মাথা রেখে বললো শুনো আমি কিন্তু তোমার উপর এখনো রেগে আছি...
আমার রাগ ভাঙাও।
আমি তখন নিরুপমা কে বুকে চেপে ধরে কপালে একটা চুমু দিয়ে বললাম তো কি করলে ম্যাডামের রাগ ভাঙবে শুনি?
নিরুপমা বললো আমার সাথে সারা রাত গল্প করো...
আমাকে গল্প শুনাও তাহলেই হবে....
আমি বললাম যথা আজ্ঞা ম্যাডাম কিন্তু আপনি তো ঘুম পাগলী.... ঘুমাই গেলে???
..
...
নিরুপমা বললো,
আচ্ছা দাড়াও এক মগ কফি বানিয়ে নিয়ে আসি তারপর তোমার গল্প শুনবো তবু আজকে তোমাকে ছাড়ছি না...
বলেই উঠে গিয়ে এক মগ কফি বানিয়ে নিয়ে আসলো তারপর দুজনে মিলে সেটা শেষ করলাম...
তারপর গল্প বলতে বললো....
..
...
(৩)
..
...
আচ্ছা নিরুপমা তাহলে তোমাকে একটা মেয়ের গল্প শুনাই...
একটা গ্রাম্য গাইয়া মেয়ের গল্প...
গল্প নাকি জীবন গাঁথা নাকি জীবন্ত গল্প সেটা জানিনা..
..
...
গ্রামের বাপ মা হীন একটি মেয়ে লেখাপড়ায় অনেক ভাল।গরিব চাচার ঘরেই মানুষ।স্কুল কলেজে ভাল রেজাল্ট করে আর ঢাকায় অনেক ভাল একটা ভার্সিটি চান্স পায়।একে তো গ্রামের মেয়ে তার উপর বাপ মা নেই। তাই অতি সাধারন ছিল তার চাল চলন।নম্র ভদ্র অল্পভাষী আর সব কিছুতেই মানে অল্পেই তুষ্ট টাইপের মেয়ে।দেখতে আহামরি সুন্দরি না হলেও গ্রামের মেয়ে হিসেবে চোখে পড়ার মত সুন্দরী ছিল সে। একেবারে যাকে বলে ন্যাচারাল বিউটি।
..
...
মেয়েটার চলাফেরা ছিল সংযত ধরনের।সব সময় হিজাব পড়তো।যদিও বোরকা পড়তো না তবুও সবসময় শালীন পোষাক পড়তো।যাতে করে তার উপর কারো কুনজর পড়ার প্রশ্নেই উঠেনি।
..
...
ঢাকায় এসে হোষ্টেল এ উঠে লিখাপড়া করতে থাকে।
নিজের খরচ নিজে চালানোর জন্য বেশ কয়েকটি টিউশনি করাতো।টিউশনি করিয়ে যে টাকা পেত তাতে করে তার লিখাপড়ার খরচ সে চালিয়ে নিতে পারতো।
এভাবেই ক্লাস টিউশনি আর নিজের লেখাপড়া নিয়ে মেয়েটার একটা বছর কেটে যায়।
..
...
এই এক বছরে মেয়েটির একটা বন্ধু সার্কেল হয়ে যায়।
আসলে বাপ মা না থাকলে যা হয় আর কি।যেই একটু ভাল করে কথা বলে তাকেই আপন মনে হয়।
যার বাপ মা থাকে না তারাই বোঝে এই কষ্ট টা।কেউ একজন একটু মাথায় হাত রাখলে চোখে জল এসে যায় তাদের।এরা একটু ভালবাসার জন্য চাতকের মত চেয়ে থাকে।মেয়েটিও ঠিক তেমনি ভালবাসা পেয়েছিল তার বন্ধুদের মাঝে।নিজেকে অনেক টা ভাগ্যবতী মনে হয়েছিল তার।এই তো, রনি, রাকিব, মিমি,তুহিন এলিটা, শান্তা, ফাহিম, আর অর্ক এরাই ছিল মেয়েটির নতুন পৃথিবী।
..
...
ভালই চলছিল সব কিছু।
সকালে ক্লাস, ক্লাস শেষে সবাই মিলে আড্ডা বিকেলে টিউশনি আর রাতে মন দিয়ে পড়ালেখা করে ঘুম।
এই ছিল মেয়েটির প্রাত্যহিক রুটিন। মেয়েটি খুব সাধারন ভাবেই অসাধারন ছিল সবার মাঝে।
মেয়েটির এমন গুছানো প্রাত্যহিক রুটিনে হঠাত ছন্দপতন হল। পোশাকে আসলো আমুল পরিবর্তন, চলাফেরায় ও আগের জড়তা রইলো না।
..
...
(৪)
..
...
হঠাত করে মেয়েটি আল্ট্রা মডার্ন পোষাক পড়তে শুরু করলো। রনি, রাকিব, তুহিন, ফাহিম আর অর্ক এর সাথেই সারাদিন আড্ডা বাজিতে মেতে থাকতো। মেয়েটি ৫জনের ছেলে বন্ধুর সাথে নিয়মিত রাত করেও আড্ডা দেয়া শুরু করে দেয়। আর লেট নাইট করে হোষ্টেল এ আসতে শুরু করলো। কয়েক দিন হোষ্টেল এর ম্যানেজার আন্টিকে রেকুয়েষ্ট করে ঢুকতে পারলেও পরে তিনি আর ঢুকতে দিবেন না বললে কোন কোন রাতে আর হোষ্টেলে ফিরতই না।
তাদের সাথে মেয়েটির ঘনিষ্টতা চরম নোংরামো পর্যায়ে চলে গেলে শান্তা, এলিটা, মিমি তাদের গ্রুপ ত্যাগ করে।
তখন ৬জনের গ্রুপে এক মাত্র মেয়ে হল মেয়েটি। বলতে গেলে প্রত্যেকের কাছেই তাদের প্রেমিকা ছিল মেয়েটি।আর মেয়েটিও আলাদা করে ৫টা প্রেমিকের অধিকারী ছিল।
..
...
রনি,রাকিব, তুহিন, ফাহিম আর অর্ক রা সিঙেল ফ্লাট নিয়ে থাকতো।ক্ষমতাধর বড়লোক বাপের ছেলে হওয়ায় তাদের টাকা পয়সার ও কমতি হত না।তাই তারা বিভিন্ন নেশা, মদ ইয়াবা সেবন করতো তাদের ফ্লাটেই।মেয়েটিও নিয়মিত তাদের ফ্লাটে গিয়ে রাতভর তাদের সাথে রাত কাটাতে লাগলো।তারা সবাই এটা জানতো যে মেয়েটি তাদের ৫জনের সাথেই ৫জনের বিছানায় যায়।
আজকে রনি, কালকে রাকিব তো পরশু তুহিন বা ফাহিম তারপরের দিন অর্কের সিরিয়াল।
..
...
তাদের ৫বন্ধুর বান্ধবী কাম প্রেমিকা কাম রক্ষিতা হয়ে গেছে মেয়েটি।এতে নিজেরও জৈবিক চাহিদা পুরন হয় আর ছেলেগুলোর জৈবিক চাহিদাও সে পুরন করতে থাকে।বিনিময়ে তাদের টাকায় বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে থাকে।দামি দামী ব্রান্ডের জামা কাপড়, দামি মোবাইল আর দুই হাতে টাকা উড়িয়ে দামি প্রসাধনী তে মজে থাকে সব সময়।
আসলে প্রবল অভাবে যার বেড়ে উঠা তার কাছে বিলাস বহুল জীবন টা স্বর্গসুখের মত।তাই বিলাসবহুল জীবনের জন্য কি করছে সেটা আসলে মাথায় আসে না। ঠিক তেমনি করে ৫বন্ধুর বাধা রক্ষিতা হয়ে যায় মেয়েটি।এক এক জনের ফ্লাটে এক এক রাত কাটিয়েই তার মাস কেটে যায়। হোষ্টেলে থাকা হয় প্রতি মাসে গড়ে ৫-৬দিন।
..
...
:কি গো নিরুপমা....ঘুম পাচ্ছে??
: হ্যা, একটু।
:কেমন লাগলো গল্প, বাকিটা শুনবা?
:গল্প শেষ পর্যন্ত না শুনার আগে অভিমত দিচ্ছি না। আজকে ঘুমাই কাল কে তো আবার সকাল সকাল উঠে সব কাজ শেষ করে তোমার সাথে ঘুরতে যাবো।তাই বাকি টুকু কাল শুনবো....
:আচ্ছা কাল বাকি টুকু শুনিও...
বলেই আমি নিরুপমা কে বুকের মধ্যে চেপে ধরে কপালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরেই ঘুমিয়ে পড়লাম দুজনে...
..
...
(৫)
..
...
পহেলা ফাল্গুন....
সকাল সকাল নিরুপমা ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সব কাজ শেষ করে ৯টায় আমাকে গোছলে পাঠিয়ে রেডি হতে বসে যায়।
আমি গোছল শেষ করে এসে দেখি বিছানার উপর ফাল্গুনের গিফট, ফাল্গুনী পাঞ্জাবী।
আমি পাঞ্জাবী পড়ে রেডি হতেই দেখি নিরুপমা আসলো পাঞ্জাবীর সাথে ম্যাচিং ফাল্গুনী শাড়ি পড়ে। আমি নিরুপমাকে দেখেই ক্রাশট....
নিরুপমা বললো রেডি হলে আসো হালকা নাস্তা করেই বের হই।
আমি বললাম নাস্তা পরে করলেও চলবে আসো আগে মিষ্টি খাওয়াও বলেই নিরুপমার হাত টা ধরে একটা হেচকা টান দিয়ে বুকের আমার বুকে টেনে নিয়ে নিরুপমার ঠোটে একটু ভালবাসা দিতেই নিরুপমা বললো
দিলা তো দিলাই আমার সাজ টা নষ্ট করে।
বলেই আঁচল দিয়ে আমার ঠোটে লেগে থাকা লিপস্টিক মুছে দিয়ে টেনে নাস্তার টেবিলে বসিয়ে দিল।
দুজন একসাথে নাস্তা শেষ করে বেরিয়ে পড়লাম।
বাসার সামনে একটা রিক্সা নিয়ে সোজা টি এস সি।
..
...
টি এস সি তে নেমে নিরুপমা আমার হাতটা জড়িয়ে ধরে হাটতে শুরু করলো...
সারাদিন নাকি হাটবে।পুরো টি এস সি, শাহবাগ, বাংলা একাডেমি, কলা ভবন সব এলাকায় সারাদিন হাটবে।
শেষে বিকেলের দিকে গেলাম বই মেলায়।
বই মেলাতে গিয়ে নিরুপমার কবিতার বই কেনার ইচ্ছা হল।
আসলে নিরুপমা কবিতা অনেক পছন্দ করে।আগে আমি নিজেই লিখে পড়ে শুনাতাম আর নিরুপমা মুগ্ধ হয়ে শুনতো।
এখন আর লিখা হয় না।
তাই বিকেলের গোধুলী যখন শুরু হচ্ছে তখন হাটতে হাটতে বই মেলার ভিতরে গেলাম।
সে কি ভীর বই মেলায়...
.
অবশেষে বইমেলার ১২০ নং স্টল থেকে
এবাবের বইমেলার কবি #ইমরান_রহমানের পাঠক সমাদৃত কবিতার বই #এই_মাহেন্দ্রক্ষণে বই টা
.
কিনে আর একটু ঘুরে বাইরে ডিনার করে রাত ৮টার দিকে বাসায় ফিরলাম....
নিরুপমা বললো তুমি চেঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে আসো তার আমি তোমার কফি রেডি করে ফ্রেস হবো।
..
..
আমি শুয়ে আছি বিছানায়,
রাতে ১০টার দিকে নিরুপমা আসলো এসে আমার পাশে শুয়ে আমার বুকে মাথা রেখে বললো
আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি নিলয়।
আর আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে বললো আমার পছন্দের দিন টাকে রঙিন করে দেবার গিফট এটা।
..
:নাও এখন গল্পটা শেষ করো কালকের।
:আজকে তো তুমি টায়ার্ড আজকে ঘুমাই যাও....
:না আমি গল্পটা শুনবো... তারপর কি করলো মেয়েটা।
:আচ্ছা বলছি তাহলে শুনো...
..
...
মেয়েটি এভাবেই একসাথে ৫টা ছেলের সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন চালিয়ে যেতে থাকলো।
আর ছেলেগুলোও মেয়েটাকে নিজেদের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করতে থাকলো।
এভাবেই কেটে গেল আরো ৪-৫মাস।
মেয়েটা বাইরে বা কলেজে সবার সামনে কিন্তু ছেলেগুলোর সাথে শুধুমাত্র বন্ধুর মতই ব্যবহার করতো।
ফলে তাদের কে সবাই নরমাল ভাবেই দেখতো।
কিন্তু তলে তলে তারা এই জঘন্য কাজে লিপ্ত ছিল।
..
...
মেয়ে টা ৫টা ছেলের সাথে এক রুমেও বহুবার রাত কাটিয়েছে।সভ্যতার নামে নোংরামীর এমন কোন পর্যায় ছিল না যেটা তারা বাদ রেখেছে।
ছেলে গুলোকে দিয়ে নিজের যৌনক্ষুধা মেটাতো আবার তাদের টাকা দিয়েই বিলাসিতাময় জীবন যাপন করতো।
এক কথায় মেয়েটিকে High class prostitute বলা যায়। যে কিনা দেহটাকেই নিজের ব্যাংক বানিয়ে ফেলেছিল।যে ব্যাংকের যোগান ছিল অফুরন্ত আর চাহিদা ছিল অসীম।
..
...
একটা মেয়ে নিজের ভোগবিলারিসার জন্য এতটা খারাপ হয় কি করে নিলয়? এতটা নিচে নামতে পারলো কিভাবে? এরকম করে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভাল।
মেয়েটিকে সামনে পেলে আমি নিজেই গলা টিপে মেরে ফেলতাম।জঘন্য মেয়ে কোথাকার, এইসব মেয়েরা নারী জাতীর কলংক। এদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই পুরো নারী জাতী কে কলংকিত করে।
তারপর কি হল বলো....
তারপর আর কি হবে? মানুষের পাপের কোটা পুর্ন হলে যা হয় তাই হল মৃত্যু।
যাক এমন জঘন্য কাজ করার শাস্তি পেয়েছে লোভের সাজা।
..
..
হ্যা মেয়েটির শেষ পরিনতি ও তাই হয়েছিল, তবে.......?
তবে কি নিলয়?
তবে মেয়েটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। মেয়েটি সুইসাইড করেছিল তার কলেজ হোষ্টেল এ।
রাতের বেলা নিজের রুমে গলায় ওরনা পেচিয়ে ফ্যানের সাথে ফাসি দিয়েছিল মেয়েটি।
সকালে তার রুমে ঝুলন্ত লাশ দেখেপুলিশকে খবর দেয় তার পাশের রুমের মেয়েটি।
পুলিশ এসে লেডিস হোষ্টেল থেকে লাশ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
..
...
নিরুপমা এক মগ কফি খাওয়াবে?
মাথা টা ধরেছে....
নিরুপমা বললো রাত অনেক হয়েছে এখন কফি খাবা?
আমি বললাম খেতে ইচ্ছে করছে।
তখন নিরুপমা কফি বানাতে উঠে গেলে
আমি ঝটপট করে গত রাতে কিনে আনা ক্যান্ডেল গুলো ফ্লোরে লাভ শেপ বানিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে রুমের সব লাইট বন্ধ করে দিয়ে দরজা ভেজিয়ে দিলাম....
..
রাত ১২:০৩
নিরুপমা কফি হাতে দরজা খুলে দেখে রুম অন্ধকার আর ক্যান্ডেল গুলো দিয়ে লাভ শেপ এর ভিতরে
HAPPY VALENTINE DAY লিখা
নিরুপমা আকস্মিক সারপ্রাইজে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।তখন আমি নিরুপমার হাত থেকে কফি টা নিয়ে টেবিলে রেখে নিরুপমার হাত টেনে লাভ শেপের ভিতরে আনলাম
আর গতকাল নিরুপমার জন্য যে হীরার আংটি টা এনেছিলাম সেটা পকেট থেকে বের করে নিরুপমার সামনে হাটু গেড়ে বললাম,
.
"পুনর্জন্মে বিস্বাসী নই, তবুও মৃত্যুর পরেও যদি আবার কখনো জন্মানোর সুযোগ পাই তবে সেখানেও জন্ম জন্মান্তরে সহধর্মীনি রুপে তোমাকেই চাই নিরুপমা..."
.
"তুমি কি আমার জন্ম জন্মান্তরের সঙী হবে নিরুপমা?
.
নিরুপমা হাত বাড়িয়ে দিলো,
আমি আংটি টা পড়িয়ে দিতেই নিরুপমা আমাকে অনেক জোরে বুকে চেপে ধরে আমার কানে কানে বললো,
"জন্ম জন্মান্তরে ৭জনমেও আমি সৃষ্টি কর্তার কাছে শুধু তোমাকেই চাই নিলয়".....
..
...
:আচ্ছা নিরুপমা, মেয়েটির গল্পটা তো শুনলা...এখন তোমার অভিমত দাও।
:অভিমত আর কি এমন মেয়েদের মৃত্যু এভাবেই হওয়া উচিত,খারাপ মেয়ে।
:নিরুপমা, গল্পটা এমন হলেও পারতো....
:এমন হলেও পারতো মানে? গল্পটা তাহলে কেমন?
:গল্পটা প্রতিশোধের.... মেয়েটির প্রতিশোধের গল্প...
:কিন্তু মেয়েটি তো মারা গেল? প্রতিশোধ নিবে কিভাবে? : নিরুপমা
.
"Revenge's has many faces"
& Her revenge start from her death"
.
শুনবা তাহলে তার প্রতিশোধের গল্পটা?
তাহলে শুনো সেই মেয়েটির প্রতিশোধের গল্পটা তার ভাষায়...
..
...
(৬)
..
...
আমি মৌন, মুমতাহিনা মৌন। বলতে গেলে এতিম।খুব ছোটবেলায় বাবা মা কে হারিয়েছি।তারপর চাচার ঘরেই বড় হয়েছি।লেখাপড়া ও চাচাই করিয়েছেন। ছাত্রী হিসেবে ভাল ছিলাম তাই প্রাইমারি এবং অষ্টম শ্রেনীতে বৃত্তি পাই ।পাশাপাশি আমি নিজেও টিউশনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাতাম। এস এস সি & এইচ এস সি তে A+ পাই।
.
ঢাকায় এক প্রখ্যাত ভার্সিটি তে চান্স পাই। ভার্সিটি তে ভর্তি হয়ে হোষ্টেল এ উঠি।কয়েক টা টিউশনি পেয়ে যাই কিছুদিনের মধ্যেই।সকাল ক্লাস করে বিকেলে টিউশনি করে সেখান থেকে যা পেতাম তাই দিয়ে চলে যেত। চাচার অভাবের সংসার ছিল তাই তার থেকে টাকা চাওয়া হত না।খুব সাধারন সাদামাঠা জীবন ছিল আমার।
.
কিছুদিনের মধ্যেই কয়েক জন বন্ধু বান্ধবী হয়ে যায়।তাদের সাথে আড্ডা দিতাম।সব কিছুই ভালই চলছিল।বন্ধু বান্ধবী গুলো অল্পদিনেও অনেক আপন হয়ে যায়।বান্ধবী নয় যেন বোন পাই আমি।আর বন্ধু গুলোকেও ভাইয়ের মত পাই।এতিম একটা মেয়ের জন্য এ যেন মেঘ না চাইতেই জল।
এই তো রনি, রাকিব, মিমি,তুহিন এলিটা, শান্তা, ফাহিম, আর অর্ক এরাই ছিল আমার নতুন পৃথিবী।
.
এভাবেই বেশ কয়েকমাস কেটে যায়।
এর মধ্যে রাকিবের জন্মদিন আমরা সেলিব্রেট করলাম ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনে।সেদিন অনেক মজা হয়েছিল।
তার মাস খানেক পরেই অর্ক এর জন্মদিন আসে।আমাদের সবাইকে অর্কদের ফ্লাটে তার বার্থডে তে ইনভাইট করে।স্বাভাবিক ভাবে আমিও ছোট্ট একটা গিফট নিয়ে ৩টার দিকে যাই। কারন সন্ধ্যের মধ্যেই চলে আসবো সবাই।
গিয়ে দেখি সেখানে ছেলে ফ্রেন্ডরা মোটামুটি সবাই এসেছে শুধু ফাহিম আসেনি এখনো সে রাস্তায় কেক ও রেডি।অর্ক কে জিজ্ঞেস করলাম মিমি, এলিটা, শান্তা রা কই? অর্ক বললো ৫টার মধ্যেই সবাই চলে আসবে।
ততক্ষনে আমরা চা খেতে বসি।
বলেই আমরা সবাই চা খাচ্ছিলাম আর অপেক্ষা করছিলাম।
..
...
(৭)
আমার যখন চোঁখ খুলে তখন রাত ২টার কাছাকাছি।
আমি অর্ক এর বিছানায় বিবস্ত্র অবস্থায় শুয়ে আছি।আর পাশেই শুধু শর্ট প্যান্ট পড়ে ফাহিম সিগারেট এর আংতায় আগুন জ্বালিয়ে নাকের কাছে নিয়ে শুকছে।আমার পাশেই বিবস্ত্র হয়ে শুয়ে আছে রাকিব।আমার সারা শরীরে অসংখ্য কামড় আর আঙুলের নখের আঁচড়।পুরো শরীর ব্যথায় নাড়াতে পারছি না।
.
এর মধ্যে রুমে আসলো রনি।এসে দেখে আমি তাকিয়ে আছি।তখন তুহিন আর অর্ক কে ডেকে আনলো।তারা নিজেরাই বলা বলি করছিল,
অর্ক এইবার আমি আগে যাবো কিন্তু বললো তুহিন।
তখন রনি বললো দুই দুইবার করে তোরা করলি তবু কে আগে কে আগে করছিস?
এখনো পুরো রাত পড়ে আছে।সবাই আবার ৩বার করে পাবি চিন্তা করিস না। বলেই রাকিব কে বললো তুই সর এখন আমার পালা।
আমি কিছু বলার আগেই রনি আমার উপর ঝাপিয়ে পড়লো পুরো ১০-১২মিনিট আমার উপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়ে তার পৌরুষ ঢেলে দিল।
তারপর হাফাতে হাফাতে ঘর্মাক্ত নগ্ন শরীর নিয়ে আমার পাশেই শুয়ে পড়লো চিত হয়ে।
..
...
আমি এবার চিৎকার করতে গিয়ে দেখি গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না, গলা শুকিয়ে গেছে।অর্ক আমাকে পানি বোতল এগিয়ে দিল।আমি গলা ভিজিয়ে নিলাম কিন্তু সেটা পানি ছিল বলে মনে হল না।
আমি কাঁদতে শুরু করলাম,
আর অর্ককে বললাম আমি তোমাদের কে আমার ভাই ভাবতাম আর তোমরা আমার এত বড় সর্বনাশ টা কিভাবে করলে?
অর্ক তখন একটা বিচ্ছিরি হাসি দিয়ে বললো তুই যদি বোন হস তাহলে আমাদের খায়েশ মেটাবে কে?
জীবনে অনেক মেয়ে খেয়েছি তোর মত একটাও পাই নি।
ততক্ষনে আমার মাথা নেশায় দুলছিল, পানিতে হয়তো নেশা জাতীয় কিছু মেশানো ছিল।
..
...
সকালে আমার চোঁখ খুলে ৯টার দিকে।
সারারাত ওরা ৫জন মিলে আমার উপর পাশবিক অত্যাচার করে আমার পাশেই আমার মত বিবস্ত্র হয়ে সবাই ঘুমাচ্ছিল।আমি উঠতে গেলে অর্ক এর ঘুম ভেঙে যায় তখন অর্ক আবার একবার আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে নিজের পৌরুষ দেখায়।তারপর আমাকে নিস্তার দিয়ে হাফাতে হাফাতে আমাকে টেনে তুলে বাথরুমে দিয়ে গোসল করতে বলে।
আমি অনেক কষ্টে গোসল করি টাওয়েল পড়ে বের হলে অর্ক আমার জামা কাপড় গুলো আমাকে এনে দিয়ে বলে এগুলো সব ঠিক আছে। আমি নিজের হাতে খুলেছিলাম
পড়ে নাও।শরীরের দাগ গুলো দেখা যাবে না আর তোমার মুখে আমি কাউকে কামর দিতে দেই নি তাই কেউ বুঝতে পারবে না।
..
...
আমি কাপড় গুলো পড়লাম কিন্তু শরিরের ব্যথায় নড়তেও পারছিলাম না।তখন অর্ক হাল্কা নাস্তা দিয়ে বললো এটা খেয়ে নাও আমি হাইডোজের পেইন কিলার নিয়ে আসি।আমি কোন মত এক টুকরা
ব্রেড খেয়ে এক গ্লাস পানি খাই।তখন অর্ক এসে আমাকে ২টা ট্যাবলেট দিয়ে বললো এগুলো খাও ১০-১৫মিনিটে সব ব্যথা দূর হয়ে যাবে স্বাভাবিক লাগবে। বলে কফি বানাতে গেল,
আমি ওষুধ গুলো খেয়ে চুপচাপ বসে থাকলাম একটু পর অর্ক এক মগ কফি এনে দিল, কড়া কফি টা খেয়ে ব্যথা টা একটু কম মনে হচ্ছিল।
ততক্ষনে সবাই জেগে গেছে।
..
তারপর সবাই মিলে বলতে শুরু করলো,
যা হয়েছে সেটা ভুলে যাও ভুলেও কাউকে বলো না।আর পুলিশে জানালে তোমার হীতে বিপরীত হবে।কারন তুহিনের বাবা এ. এস.পি আর রাকিবের বাবা এম পি।
তাই যা হয়েছে সেটা ভুলে যাও আর হোষ্টেল এ কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবে কাল তুমি বান্ধবীর বাসায় ছিলে।
এসব ধমক দিয়েই বললো ফাহিম।
তারপর রনি একটা রিক্সায় উঠিয়ে হোষ্টেল এ নামিয়ে দিয়ে গেল।
..
টানা এক সপ্তাহ অসুস্থ ছিলাম।এমন অবস্থা যে জ্বরে আর শরিরের ব্যথায় বিছানা ছেড়ে উঠতেও পারিনি।
এক সপ্তাহ পর একটু সুস্থ হই।কিন্তু ভার্সিটি যেতাম না লজ্জায়।কাউকে বলতেও পারতাম না।অনেকবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছি কিন্তু সামনে আমার চাচার মুখ টা ভেসে উঠে।আর বার বার মনে হয় আমাকে বড় হতে হবে।আজ আমি এতিম বলে আমার উপর তারা অত্যাচার করতে সাহস পেয়েছে।
.
ভার্সিটি যেতাম না অনেকদিন। মিমি শান্তা রা অনেকবার এসে জিজ্ঞেস করে, মাস খানেক পর শান্তা, মিমিরা এসে জোর করে আমাকে ক্লাসে নিয়ে যায়।
কিছুদিনের মধ্যে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে আসে।
তবে আগের থেকে অনেক বেশি চুপচাপ হয়ে থাকি। ক্লাস আর হোষ্টেল এটুকুর মধ্যেই নিজেকে বন্দি করে ফেলি।এর মধ্যে অর্ক রনিরা স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের মানে আমি শান্তা এলিটা মিমি দের সাথে কথা বলতো।
..
...
(৮)
..
...
মাস তিনেক পর হঠাৎ একদিন ফাহিম আমাকে একা ডেকে তার সাথে তার ফ্লাটে যেতে বলে।
আমি প্রচন্ড রেগে কেঁদে ফেলি আর কাদতে কাদতে বলি যে আমি এটা পারবো না।
তখন ফাহিম আমাকে তার মোবাইল থেকে একটা ভিডিও প্লে করে দেখায়।
সেখানে আমার আর অর্ক এর সেই রাতের নগ্ন দৃশ্য।
তখন ফাহিম বলে সেই রাতে যা যা হয়েছে সব কিছুই তার কাছে ভিডিও করা আছে।
এটা দিয়ে সে আমাকে ব্লাকমেইল করতে থাকে আর এক পর্যায়ে আমি ওই ভিডিও টি ডেলেট করার শর্তে আমি তার ফ্লাটে যেতে রাজি হই।
..
...
তারপর আবার অর্ক একই ভাবে আমাকে ব্লাকমেইল করে।তার সাথেও আমাকে বিছানায় যেতে বাধ্য করে।
এভাবে তারা প্রত্যেকেই আমাকে ভোগ করতে থাকে পালাক্রমে বিভিন্ন সময়।
কিন্তু তারা কেউ ই ভিডিও ডেলেট করেনি।
.
আমি ছিলাম এতিম এবং একা একটি মেয়ে।আমি তাদের কিছুই করতে পারবো না।কারন আমি গরীব, আমি এতিম, আমার বড় ভাই নাই, আমার মাথার উপর কেউ নেই, আমি মেয়ে মানুষ, আমি পুলিশে যেতে পারবো না, বিচার চাইতে পারবো না।আমাকে সাহায্য করবে না কেউ কারন ওরা অনেক ক্ষমতা শালী। তাই ওরা আমার এই দুর্বলতা টার সুযোগ নিতে শুরু করলো। কিন্তু ওরা ভুলে গেছিলো প্রতিটা মানুষের দুর্বলতাটাই কখনো তার সব থেকে বড় শক্তির জায়গা হয়ে যায়। আমি এতিম তাই আমার ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে উঠে দাড়ানোর অভ্যাস আছে।
.
আমি কঠোর সিদ্ধান্ত টা নিলাম।
আমি নিজেই আমার নিজের বদলা নেবো।আমি নিজেই আমার বিচার নিবো। আমার সব থেকে বড় দুর্বলতা আমি একজন মেয়ে। আর আমি এটাকেই আমার একমাত্র হাতিয়ার বানাবো। আমি নিজেই আমার উপর অবিচার আমার সম্মানের রিভেঞ্জ নিবো।
আমার আর হারানোর কিছুই নাই। কিন্তু আমি ওদের কে এত সহজে ছেড়ে দিবো না।
.
আমুল বদলে ফেললাম নিজেকে।সাদামাঠা গ্রামের মেয়েটাকে বদলে ফেললাম আল্ট্রা মডার্ণ কামুক এক নারীতে।তারপর নিজের ইচ্ছায় রনি রাকিব তুহিন ফাহিম অর্ক এর সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন এ যেতে লাগলাম।তাদের কে বুঝাতে লাগলাম তারা যে আমাকে ধর্ষন করেছিল সেটা আমি মেনে নিয়েছি আর আমি এখন নিজের শারিরিক চাহিদা মেটাচ্ছি তাদের কে দিয়ে। আর একটা যুবতি মেয়ের শারিরিক চাহিদা থাকতেই পারে।
.
এক এক দিন এক এক জনের ফ্লাটে তাদের সাথে রাত কাটাতে লাগলাম।হোষ্টেল এ থাকা হত মাসে মাত্র ৪-৫রাত শুধু মাত্র যখন মেয়েলি সমস্যা থাকতো তখন। আর তারা সবাই প্রতিবার আমাকে দামি দামি গিফট দিতে লাগলো সাথে হাত খরচ বাবদ অনেক টাকা ও দিতে লাগলো।
আমি একাই তখন ওদের ৫জনকেই ভোগ করতে লাগলাম।
এভাবেই কেটে গেল ৩মাসের মত।
..
...
(৯)
..
...
:অর্ক আজকে অনেক মজা হল তাই না?
:মৌন তোমার কি ক্লান্তি বলে কিছু নেই?
:অর্ক তোমার মত পুরুষ পেলে কোন মেয়েই ক্লান্ত হতে চাইবে না।
বলেই অর্ক এর বুকে ঝাপিয়ে পড়ে লিপ কিস করতে যাই আর ভার সামলাতে না পেরে টেবিলের সাথে ধাক্কা খায় আর গ্লাসে লেগে আঙুল কেটে রক্ত বের হয়।
আমি নিজের ওরনা দিয়ে মুছে দেই।আর সেই রাতে অর্ককে সারা রাত আনন্দে ভাসাই।
..
পরের দিন সকালে অর্কের বাসা থেকে বের হয়ে সোজা একটি ল্যাবে যাই।
আর ওরনায় লেগে থাকা অর্কের ব্লাড স্যাম্পল টেষ্ট করাই।বিকেলে রিপোর্ট টা দেখে আমার মুখে একটা বিচ্ছিরি হাসি আসে।এই হাসি টা আমাকে ধর্ষনের সময়ের অর্কের সেই বিচ্ছিরি হাসিটার থেকেও বিচ্ছিরি।
ল্যাব থেকে বের হয়ে হোষ্টেল এ এসে গোছল করে সেজে গুজে ফাহিমের ফ্লাটে যাই
.
তারপর আবার সেম কাজ...
ওরনায় ব্লাড স্যাম্পল ল্যাবে টেষ্ট করাই,
সেম রিপোর্ট সেম বিচ্ছিরি হাসি.
তারপর একে একে তুহিন, রনি আর রাকিবের সাথেও একই কাজ করি.....
..
...
ভাবছেন তাদের ব্লাড টেষ্ট করছি কেন?
কেন নিজেকে এমন পতিতা বানিয়ে ফেললাম?
কি ছিল সেই কঠিন সিদ্ধান্ত?
প্রতিশোধ কিভাবে নিবো?
উলটো নিজেকেই তো তাদের রক্ষিতা বানিয়ে ফেললাম।
.
বলছি তাহলে শুনেন,
কঠিন সিদ্ধান্ত টা হল আমি বেঁচে থাকতে তাদের শক্তি আর ক্ষমতার সাথে পেরে উঠবো না।তাই কৌশলের আশ্রয় নেই।নেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত...
আমার সিদ্ধান্ত টা ছিল নিজের শরিরের AIDS এর ভাইরাস HIV ইঞ্জেক্ট করা।
.
আমি নিজেকে Hiv পজিটিভ বানানোর পর। নিজেকে বন্ধা বানিয়ে ফেলি একটা প্রাইভেট ক্লিনিকেঅপারেশন করে।তারপর রনি,তুহিন,রাকিব, অর্ক আর ফাহিম দের সাথে প্রতিনিয়ত অনিরাপদ ভাবে দৈহিক মিলন ঘটাই টানা ৩-৪মাস ধরে। এতে করে তারাও আমার মত এইডস এ আক্রান্ত হবে।
আর সেই জন্যই তাদের ব্লাড স্যাম্পল নিয়ে টেষ্ট করে সিওর হয়ে নেই যে তারা HIV পজিটিভ হয়েছে কিনা।
ওদের সবার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
আর আমার রিভেঞ্জ শুরু হয়।এখন আমার কাজ শেষ...
..
...
আজ রাতেই আমি সুইসাইড করবো।আর আমার মৃত্যুর পর আমার রিভেঞ্জ শুরু হবে।
ইচ্ছা ছিল গ্রামে একটা এতিম খানা খুলবো সেখানে আমার মত এতিম রা থাকবে। কিন্তু সেটা আর করে যেতে পারলাম না।
..
...
:কাঁদছো কেন নিরুপমা?
:একটা এতিম মেয়ের উপর এত বড় অন্যায়ের শাস্তি টা অনেক কম হয়ে গেছে ছেলে গুলোর উপর। আর মেয়েটির শেষ ইচ্ছা টাও পুরন হল না?
:সবার সব ইচ্ছা কি পুরন হয় নিরুপমা? অভাগী মেয়েটির ও শেষ ইচ্ছা টা হয়তো পুরন হবে না। বলেই নিরুপমা কে বুকে চেপে ধরে বললাম এখন ঘুমাও.....
..
...
(১০)
..
...
রাত ২টা বাজে প্রায়....
নিরুপমা ঘুমাচ্ছে আমি বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে...
আমার হাতে একটা ডায়রি... মুখে সেই বিচ্ছিরি হাসি টা....
.
ভাবছেন আমি কে???
আমি কিভাবে এই অজানা গল্প টা জানলাম?
হ্যা আমি নিলয়, নিলয় আহসান নিশো।
সেই মৌন সুইসাইড কেস এর ইনভেষ্টিগেশন অফিসার।আর আমি সুইসাইড ইনভেষ্টিগেশন করতে গিয়ে মৌন এর ডায়রিটা পাই। তারপর কেস টা সুইসাইড লিখে ক্লোজড করে দেই।আমার কাজ করার ধরন টা একটু ভিন্ন।
.
ওই ৫বন্ধুকে পার্সোনালী ডেকে ব্লাকমেইল করি। তাদের ধর্ষনের পর্দা ফাস করে দেবার ভয় দেখিয়ে তাদের বাপের কাছ থেকে ৭লক্ষ করে টাকা আদায় করি।সেই ৩৫লাখ টাকায় মৌন এর চাচার বাড়ির পাশে নির্মান করি,
.
"মুমতাহিনা মৌন মেমোরিয়াল অরফানেজ"
.
সেখানে এখন ৩৪জন এতিম থাকে।
মৌন এর শেষ ইচ্ছা পুরন করি কিন্তু ছেলেগুলো এখনো জানে না যে তারা HIV পজিটিভ।
মৌন এর বিচ্ছিরি হাসিটা এখনো চোখে লেগে থাকে আমার।
..
কারন
"REVENGES HAS MANY FACES"
আর এটাই আমার কাজের ধরন....
ভাল থেকো মৌন.....
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৮