সে এসেছিলো ...
তা’র গায়ের বুনো ঘ্রাণ; বাতাসের আলোড়ন
দিব্যি বলে দিচ্ছে; এসেছিলো সে এ-দিকে।
দেহজ কামোত্তাপ; বাষ্প-ঘামে ভিজে,
সাদা কুর্তাটা ক্যামন - ল্যাপ্টে রয়েছে তার পিঠে।
ঋজু মধ্যভাগ! দৃশ্যমান অপূর্ব মেরুদণ্ড-হাড়;
উদ্দীপক কামনার।
পেশীর পর পেশীর ভাঁজ আর খাঁজে
অপরূপ বিন্যাসে, তৈরী হয়েছে এক-
বিশ্ময়ী তৈলচিত্র!
তার ঘন চুল, চোখের পাতার উল্টানো প্রতিটি আঁশ,
অপরুপ বক্রতায়; বুঝিয়ে দিতে পারে - অব্যক্ত
অনুভূতি সব, নিরব যদিও বা সে খুব নিরব!
টেবিলে কনুই চেপে, আয়েশী ভঙ্গিমায় বসে
অঙ্গুলী জড়ো করা মুষ্ঠির উপর ললাট,
তির্যক চোখে; দুষ্টুমী ভরা হাসি হাসে,
ঠোঁটেতে চেপে নিয়ে ঠোঁট।
কাজল চোখের মায়া ...
খুব কঠিন কিংবা রূঢ় নয়, নয় সে দূর্ভেদ্য সাঁজোয়া।
সহজপাঠ্য-ও নয় তার; সমূদ্র-গভীর মন,
আড়াল করতে চাওয়া - অনুভূতি রঙ
কল্পনায় এঁকে দিতে পারে সে যখন - অবিকল সেই হাসি,
কাঁচ ভাঙা শব্দের মতন, টুকরো টুকরো হয়ে তা ঝরে পরে
অনুনাদ, আর্তনাদের স্বরে - মেঝের উপর।
অথচ সে দেখেনি সেই রমনী বা তার কোনও ছবি।
হাসির শব্দের মায়াময় সে ধ্বনির কম্পন, অনুরণন
শুনেছে কেবল। অত্যাশ্চর্য হাসির সে কি রমণীয়!
যার একক গর্বিত প্রেমিক সে। গুনে, সাহসে, সৌকর্যে
এত গুন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে; দাঁড়াতে পারে না এসে
অ-দ্বিতীয় কেউ। কবিতার রঙে এঁকে যেতে পারা সায়ান
অপূর্ব চিত্রকর!
তার অপরুপ সেই ঋজু মধ্য, নির্মেদ নিটোল নিতম্ব!
ভুরুর ধনুক, উজ্জ্বল ডাগর চোখ, পৌরষিক লাবণ্য।
ত্বকের দেয়াল বেয়ে; গড়িয়ে পড়া সোনালী তেল,
দেয়ালময় ভেসে ওঠা এক যাদু! বিশ্ময়তর!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৪