কয়েক মাস আগে আমার ছোট ভাই সিহাব ঢাকায় এলো...ওকে নিয়ে এখানে-সেখানে ঘুরলাম...কেবলই সে ক্লাস সিক্সে পড়ে কিন্তু অনেক ম্যাচুরিটি এসে গেছে...খেয়াল করলাম ওর বগলের চুল বড় হয়েছে...জানতে চাইলাম এগুলো কাটো না কেন? ও বললো- এগুলো কাটতে হয় নাকি!!!
নতুন একটা ওয়ান টাইম রেজার দিলাম...দেখি বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাটতে শুরু করলো! হাসতে হাসতে টেনে নিয়ে বাথরুমে দিলাম... বললাম, ওগুলো কাটতে হয় ৪০ দিন পেরুনেরা আগেই...আর নাভীর নিচেরগুলোও কাটতে হয়...
ও বললো- কেমন করে? বললাম- সতর্ক হয়ে কাটবে...আর বাকিটা তোমরা কাজ...
আমরা যারা সেক্স এডুকেশনের বুলি মারি তাদের বোঝা উচিত একজন মানুষের কোন বয়সে কতটুকু যৌনশিক্ষা প্রয়োজন...মানুষের শরীরবৃত্তিও বিষয়গুলোও ভালো করে বোঝা উচিত...
ধর্মগ্রন্থগুলোতেও সহজ, সরল ও সাবলীল ভাষায় এগুলো শেখানো আছে...সেখানে নারীদের বিষয়গুলো যেমন আছে তেমনি আছে পুরুষদের বিষয়গুলিও...অথচ আমরা সেন্সর করি...কৈশোরের প্রেম বিষয়ে লিখি...মনে হয়...সুশিক্ষায় চেয়ে কুশিক্ষাই বেশি প্রয়োজন...কোনটা রোগ আর কোনটা স্বাভাবিক এটাও তাদের বুঝতে দেয়া উচিত...
এগুলো যদি পরিবার থেকে জানানো না হয়...তাহলে এসব বিষয় তারা আগ্রহী হয়ে নানাজনের কাছে জানতে চাইবে তাদের নিজস্ব পরিমণ্ডলে...পড়বে খারাপ বন্ধুর পাল্লায়...ইন্টারনেটের যুগে ইউটিউবেও যাচ্ছেতাই সার্চ দিতে পারে...তারা পর্নোগ্রাফি থেকে শুরু করে অনৈতিক সব দিকে ঝুঁকতে পারে...
তাই পরিবারের বড়রাই এসব বিষয় সুন্দর করে শেখাক...যে বয়সে যতটুকু বোঝানো যায়...যে বিষয়টি পরিবার সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলতে পারবে...সে বিষয়টি জানতেই হয়তবা গোপনে তাকে অনেক মন্দরাস্তা অবলম্বন করতে হতে পারে...
কিছুদিন আগে একটা কিশোরীকন্যার বাবার সঙ্গে গিয়ে সেনেটারি ন্যাপকিন কেনার বিজ্ঞান বেশ লেগেছে...
শিশু বয়স থেকেই এ শিক্ষাটা সবচেয়ে জরুরি...তাই সে শিক্ষাটা যেন যথাস্থান থেকে মেলে সেটাও আমাদের নিশ্চিত করতে হবে...
ছবি : সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮