পয়দা দিবসে ভাবলাম কিছু লিখবো না কিন্তু না লিখে আর থাকতে পারলুম না। আজ ২৯ জুন আমার জন্মদিন। আর এই জন্মদিনে যে ভাবণার প্রতিচ্ছবি সেটা তুলে ধরলাম।
ঘটনা এক::
জেনারালাইজড স্পেশাল প্রেফারেন্স (জিএসপি) নিয়ে বারাক ওবামা সরকার যেটা দেখালো সেটা মোটেই ফেলে দেয়ার বিষয় নয়। সরকার যখন ব্যবসায়ীদের কানপড়ায় শ্রমিকদের রক্ত শোষণ করতে দ্বিধা করে না ঠিক তেমনি জিএসপি টান দিয়ে এবার যুক্তরাষ্ট সরকারের ঘুম হারাম করতে দ্বিধা করলো না। এই যেন ‘ট্রিট ফর ট্যাট’। শ্রমিকদের রক্ত শোষণ করে ফুলে-ফেপে ওটা ব্যবসায়ী ও সরকারের বাঘিনী মন্ত্রীরা এবার বলবে....‘‘ এটা নোবিল বিজয়ীর কাম’। উনি ওবামা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বাংলাদেশের অর্থনীতির মুখে লাথি মেরেছেন।
অতশত বুঝি না বাপু,,, এরপরও যদি আপনেদের দিবা নিদ্রা না ভাঙ্গে তবে বিষ এনে দিন সবাই বিষ পান করে উধ্বাকাশে উড্ডীয়মান হোক। এতো লজ্জা আর ভাল লাগে না। রাজনীতির কামাকাড়ি করে আমাগো মত মাঙ্গুপিপলকে জুস করে আর কতকাল পান করবেন? এবার ক্ষ্যামা দাও বাপু....
ঘটনা-২
অনেক পরে হলেও একটা সংবাদ একটু হলেও প্রশান্তি এনে দিয়েছে। সাংবাদিককূলে বিষয়টা কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে জানি না তবে আমার মনে হয় আজ সাংবাদিকদের খুশির দিন। সৎ সাংবাদিকদের অনেকটা ঈদের দিন হতো যদি গৌতম দার হত্যাকারীদের ফাঁসীর রায় হতো। যারা অপরাধী তাদের থেকে কলমের শক্তি যে শক্তিশালী তা গৌতম দা প্রমাণ করে দিয়ে গেছে। আমরা শুধু গৌতম দা হত্যার প্রতীকি রায় দেখতে চাই না। আমরা চাই গৌতম দার মতো সাগর-রুনি, মানিকের মতো সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার হউক। সরকার বিভিন্ন বিষয়ে দ্রুত বিচার ট্রাইব্রুন্যাল করে বিচার যদি করতে পারে তাহলে সাংবাদিক হত্যার জন্য কেন নয়? বিচারকার্য দীর্ঘসূত্রিতা অবসান করে সৎ, নির্ভীক ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় সরকার অনূপ্রাণিত করবে সেই আশা রাখা অমূলক নয়।......জয়তু গৌতম দা.....
ঘটনা-৩
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাদা পোশাকের পুলিশ দ্বারা কোন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক/গ্রেপ্তার করা কতটা যুক্তিযুক্ত? যেখানে বাংলাদেশের আইনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে কাউকে আটক করার জন্য নূন্যতম চার্জসিট কিংবা অভিযোগপত্র থাকা জরুরী সেখানে বাসা থেকে কিংবা রাস্তা থেকে সাদা পোশাকের পুলিশরা আটক করে নিয়ে যায় তারপর শোনা যায় গুম কিংবা অর্থপ্রদানে ছাড়ন। বিষয়টি আগে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ঘটলেও ইদানিং সাধারন মানুষদের গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয় দিয়ে অহরহ গুম করা হচ্ছে যা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ভীতকে ন্যূজ করে দেয়। আটক করার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেও জানে না এরা আসলে পুলিশের লোক নাকি অপরাধী চক্র? একজন মানুষকে আটক করতে যদি হয় তবে গোয়েন্দা নজরদারীতে রেখে তাকে পুলিশী পোশাকে হালাল করে গ্রেপ্তার করুক। এরপরও যদি জাতির ঘুম না ভাঙ্গে তা হলে অতিতে এমন এক সময় আসবে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয় দিয়ে অপরাধীরা ঠিকই কার্যসাধন করবে আর তখন আমরা কোন সভ্য জাতির সন্তান হবো তা কল্পনাতীত........
ঘটনা-৪
বছর খানেক আগে ‘ঝগড়ায়ালী” নামে একটা নাটক দেখেছিলাম। সেখানে দেখেছিলাম কিভাবে ঝগড়ার প্রতিযোগিতা করতে হয়। আজ সংসদীয় শব্দগুলো দেখে তাই মনে হলো। এটাকে জাতীয় সংসদ না বলে জাতীয় ঝগড়ালয় বলায় শ্রেয়। যেখানে বিভিন্ন ভাষায় ঝগড়া প্রশক্ষিণ দেয়া হচ্ছে। চুদুরবুদুর, চুতমারানী, স্বপ্নদোষ শব্দগুলো খুব শিগগির বাংলা পিডিয়ায় অন্তভুক্ত করা হউক। কারন জাতীয় ঝগড়ালয় (সংসদ) থেকে পাশকৃত এইসব শব্দ ছাড়া ওই ভবন থেকে জাতি আর কি পাচ্ছে??
কৃষক, শ্রমিক আর খেটে খাওয়া মানুষের কোটি কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে তারা কেবল দূরশিক্ষণ হিসেবে ঘিঞ্জি বাক্যলাপ শুনছে। আর তা থেকে পিচ্চি পোলাপানরা আগামিতে রিয়ালিটি শো হিসেবে টিভিতে লাইভ ‘‘ Quarrel show' দেখতে ভির জমাবে। জনপ্রিয় হয়ে উঠবে জাতীয় ঝগড়ালয় তথা প্রশিক্ষণালয়......জয়তু জয়তু জাতীয় সংসদ:::::::::
ঘটনা-৫
অত্যন্ত ব্যক্তিগত
নীল জ্যোস্নায় ডুবে থেকে তোমার ছবি এঁকে দিন কেটে যায়
ধরে হাত ছুটে চল ঐ চাঁদের পানে যেখানে নেই বাঁধা আর শাসন
রুপালী ঐ জ্যোস্নায় ভিজবো চল আমার সাথে ভিজবে আমার দেহ তোমার ঐ এলোমেলো চুল
আকাশে আঁকি ছবি জলে পড়ে তার ছায়া, স্বপ্ন পাগল এই মন জুড়ে থাকে কত মায়া.....