কোন কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। এমন সময় ইন্টারেট আক্টিভিস্টটা পার করছে যা বলবার নয়। অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে বুঝাত পারছি না এটা সাময়িক। অনেকদিন থেকে ব্লগিং করা না আবার না করলেও শান্তি নেই। বিপদের সময়ে কাছে এসে দাঁড়াতে যদি না পারি তবে নিজের কাছে অনেক অকৃতজ্ঞ মনে হবে। মুক্ত মত প্রকাশের অধিকারের নামেই স্বাধীনতা। চুরি করার প্রতিবাদ করায় মানে স্বাধীনতা। চিৎকার করে গণসংগীত পরিবেশন মানেই স্বাধীনতা। খোলা চিন্তায় ব্লগিং করা মানে ব্লগ স্বাধীনতা। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি এই কথা ভেবে আমরা কি সত্যি স্বাধীন? একাত্তরের ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত কি সত্যি এই দেশের মাটি সিক্ত হয়েছিল? যদি হয়ে থাকে তবে কেন েএতো বিপত্তি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্লগ, ফেইসবুকে হেফাজতে ইসলাম নামের যে সংগঠন নাস্তিকবাদীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়ে আসছে সেটা কি সাংবিধানিক? সংবিধান কিংবা বাংলাদেশের প্রচলিত কোন আইনে আছে নাস্তিকদের শাস্তি?? আল্লাহ প্রতি বিশ্বাসবোধ থেকে সরে গেলে সে হয়ে যায় মুরতাদ। সেটার শাস্তির বিধান তিনি কোরআন শরীফে উল্লেখ করে দিয়েছেন। তবে আমরা কেন েএতো লাফালাফি করছি। যারা ইসলামের রক্ষা করার কথা বলে ঢাল হিসেবে মাঠে সহিংসুতা চালাচ্ছে তারা কারা? যারা ঈমানের কথা বলে দাঁড়িয়ালা মধ্যবয়স্ক পুলিশের মাথা থেঁথলে দিচ্ছে তারা কারা? যারা মন্দিরে মন্দিরে ভাংচুর চালাচ্ছে তারা কারা? অন্য ধর্ম বিশ্বাসবোধ নষ্ট করলে তাদের শাস্তি কি?
আস্তিক কিংবা নাস্তিকবাদ নিদ্ধারণ করবেন আল্লাহ্ আর সেই জন্য হাঙ্গামা বাঁধানো কি একজন মুসলামানের দায়িত্বও কর্তব্য বলে চালিয়ে দিচ্ছে অনেকে। গতকাল রাতে ফেইসবুকে সরাসরি আমাকে হুমকি দিয়েছে এই কথা বলে যে নাস্তিকদের আমি ভাবতাম একজন মানুষ হিসেবে। তারা আমাকে বলেছে, ধর্ম নিয়ে কথা বলা মানে জ্ঞানী নয় বরং এর পরিনিতি হয় ভয়াভয়। আমি বিশ্বাস করি খোদা তালাকে। বিশ্বাসকরি রাসুল(সাঃ)কে।িআমি বিশ্বাস করি এই পৃথিবী তৈরিকে। আমি বিশ্বাস করি মানুষকে ভালবাসতে। আমি বিশ্বাস করি মানুষের মাঝে খোদা আছে। তবে কেন এতো বিপত্তি। মানবতা কথা বললে তারা বলে মুরতাদ। প্রকৃতি প্রেমের কথা বললে ওরা বলে নাস্তিক। সেলুকাস জাতি। আমরা মসজিদে গিয়ে যখন খোদাতালার কাছে হাত তুলে দেশের জন্য মঙ্গলকামণা করি তখন ওরা কি ভাবে? তা আমার জানা নেই।
ইসলাম নিয়ে যেই বিদ্বেষ ছড়াক না কেন তার শাস্তি হওয়া উচিত। শুধু ইসলাম নয় যেকোন ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানো মানে অপরাধ। সেটা আস্তিককতা কিংবা নাস্তিকতা বিবেচনায় নয়। খোদাভীতি যদি সত্যিই থাকতো তাহলে মানুষ মেরে রাসুলের স্লোগান দিতে না। পবিত্র কালাম বলে মানুষকে জবাই করতো না। তারা কি সত্যিই ধর্মপ্রিয়? যদি হয়ে থাকে তবে কোথাও তো দেখলাম না যে পবিত্র কাবা শরীফ নিয়ে পত্রিকায় মিথ্যাচার করার প্রতিবাদ? কোথাও দেখলাম না তো জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানো আর উস্কিয়ে দেয়ার প্রতিবাদ। যেদিক থেকে বৃষ্টি আসে ঠিক সেই দিক থেকে ছাতা ধরতে হয় সেটা তারা ভাল করেই জানে।
আমরা জানি না সামু টিকবে কি না। গলা টিপে হত্যা করা হবে কি না। তবে এই টুকু বিশ্বাস করি এককোটি ধর্ম বিশ্বাসীদের কাছে ষোল কোটি ধর্ম বিশ্বাসী নিশ্চয় তুচ্ছ নয়। সরকার যদি এইভাবে নিজেকে উপস্থাপন করে তাহলে জনগণও সেই ভাবে নিজেদের উপস্থাপন করবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি যদি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় তবে হায়েনার আলোকছ্বদ শক্তি দূর্বার হয়ে উঠেবে এটাই স্বাভাবিক। পরিশেষে সামু পরিবারের মঙ্গল কামণা করি।