হায়রে পুরুষ!!
_____মুস্তফা সুজন রাজ
তুমি হে মহান নর,
বিশ্বজয়ী মানব!
শৌর্যেবীর্যে তোমার প্রতাপ প্রখর!
তুমি মহামানবের পিতা!
তুমি দিকপাল দিশেহারার
তুমি কান্ডারী পথহারার
তুমি বাবা!
সন্তানের শেষ আশ্রয়স্থল!
তোমার রক্ত ঘাম নিংড়ানো স্নেহপ্রীতি,
সন্তানের সুখের তরে নিভাতে রাজি জীবন বাতি।।
বিনিময়ের আশা নিয়ে নয়!
পিতা সন্তানের সম্পর্কের বলয়।।।
হে নর
তুমি ভাই আমার!
জন্মসূত্রে জানতে পাই,
এমন রক্তের বাঁধন পৃথিবীতে নাই।
তুমি আমার বিপদে ডান হাত
তোমারই ভরসায় আমার সকল বাজিমাত।
তুমি আমার দিকপাল কখনো সেরা বন্ধু,
তুমি আমি সম্পর্কের সেরা সিন্ধু।
তুমি হে নর,
যখন সেজেছো বর!
পত্নী খোঁজে তোমাতে সুখ দিনভর।
অর্ধাঙ্গী ভেবে তুমি সুখ দিয়েছো কত,
তোমাতে আমাতে এমন সুখ যেন রয় অবিরত
।
তুমি তো যাও তার সুখের তরে জীবন যুদ্ধে নামি,
তুমি তাকে ভালোবাসো, যে প্রেম পৃথিবীর সেরা দামি!
হায়রে পুরুষ!
সেই তুমিই যখন পিতা!
মেরেছো সন্তান গলায় পেচিয়ে ফিতা,
তুমি সেজেছো জল্লাদ কখনো সন্তানের মরণে,
হিংস্র তুমি কেন এখন কোন কারণে,
ভুলে গিয়ে পিতৃস্নেহ কেন হলে যাযাবর?
কিসের টানে এ কোন বানে সন্তান করো চিরপর?
হায়রে পুরুষ!
তুমি তো ভাই ছিলে আমার রক্তের সেরা বাঁধন,
সেই তোমাতে আমাতেই লাগলো চির দুখের কাদঁন!
স্বার্থের মায়ার পড়ে সম্পর্ক করলে ছিন্ন
সম্পদের রেশারেশিতে
তুমি হলে সংসার ভিন্ন!
হায়রে পুরুষ!
তুমি যার সুখের প্রদীপ জীবনও মরণে,
সেই তাকে ভুলেছো তুমি রাখোনি স্মরণে,
তুমি তাকে নির্যাতিত করেছো নিশীদিন,
মদ্যনেশায় মাতোয়ারায় হয়েছো রঙিন।
কেন এমন পশুত্বাচরণ করলে তার সনে,
তুমি ছাড়া জীবন যে তার কাটবে গহীন বনে,
তুমি নর তাকে রেখে পরোকীয়ায় মেতে
পড়েনা নাকি মনে তোমার একজন ঘরে আঁচল পেতে।
তুমি পুরুষ, তাই বলে কি করলে এমন কাজ,
নিরুপায়ার প্রভাতে আনলে আঁধার সাঁঝ!!!