ভেবেছিলাম “ সকাল দেখে বোঝা যায় দিনটি কেমন হবে” প্রবাদটি মিথ্যা প্রমাণ করে সফল হবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিপ্লব/গনঅভ্যুত্থান/ষড়যন্ত্র বা অন যে কোন পদ্ধতিতেই হোক সাংবিধানিক নিয়ম ভঙ্গ করে সাংবিধানিক অধিকর্তা মহামান্য রাষ্ট্রপতির অধীনে শপথ নিয়ে দেশ ও দেশের জনগণের মঙ্গল কামনায় দায়িত্ব নেন বর্তমান সরকারে এনজিওগ্রাম করা উপদেষ্টারা। দেশে অনেক যোগ্য, সৎ , দেশপ্রেমিক লোক থাকলেও এনজিও কর্মী, গ্রামীণ ব্যাংক কর্মীসহ বিশেষ ঘরনার অথর্ব লোকদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় বর্তমান সরকারে।
সৈরাচার সরকার হটিয়ে দায়িত্ব নেওয়া বর্তমান সরকার জনগণের জানমালের দায়িত্ব নিবে এটাই ছিলো সকলের প্রত্যাশা। কিন্তু যারা সৈরাচার সরকার পতনের জন্য মাস্টার মাইন্ডের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে ক্ষমতা দখল করে গণঅভ্যুত্থানের নামে গণভবন লুটপাট করে তাদের স্বরূপ উন্মোচন করলো তারা সরকার পরিচালনায় প্রথম দিন থেকে ব্যর্থ। এ যেন বিসমিল্লায় গলদ।যারা পরিকল্পিতভাবে সৈরাচার পতন ঘটাতে পারে তারা নতুন সরকার দায়িত্ব নিতে কেন তিন দিন দেরি করে জাতীয় বিশৃঙ্খলা উসকে দিলো তা গবেষনার বিষয়। দেশের উন্নয়ন ও বাক স্বাধীনতা রক্ষার পরিবর্তে প্রতিহিংসার রাজনীতি , মিডিয়া দখল করে সাধারণ জনগণের বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে।
জাতীয় স্বার্থবিরোধী কাজ দেখে মনে হচ্ছে জাতির পতাকা খামছে ধরেছে সেই পুরনো শকুন। সরকারের ১০০ দিন পার করলেও অবস্থার কোন উন্নতি না ঘটিয়ে দিনে দিনে অবনতি ঘটাচ্ছে বিভিন্ন বিতর্কিত কাজের মাধ্যমে। এ যেন সরকারের লেজে গোবরে অবস্থা। আমি আশাবাদী দীর্ঘ মেয়াদে এই সরকার দেশ ও দেশের জনগণের মঙ্গল নিশ্চিত করবে অথবা দেশের প্রয়োজনে আমজনতা প্রচলিত রাজনৈতিক দলকে বয়কট করে তৃতীয় কোন রাজনৈতিক দলকে শক্তিশালী করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৫