-এই কে তুমি ?
-জ্বী আমি কারা মসজিদের ইমাম মনির হোসেন।
-কি চাও তুমি?
-আমি আপনাকে তওবা পড়াতে এসেছি।
-আমাকে তওবা পড়িয়ে কি লাভ,আমি কতশত পাপ করেছি তার কোনো অন্ত নেই।
-তবু আপনার মৃত্যুর আগে আপনাকে তওবা পড়ানোটা আমার দায়িত্ব,যেমনটা আপনি দায়িত্ব ১৯৭১ সালে নিরীহ বাঙালিদের মেরেছিলেন।
-আচ্ছা ঠিক আছে পড়াও।
-ইমাম সাহেব তওবা পড়িয়ে কনডেম সেল থেকে বেরিয়ে গেলেন।
তার কিছুক্ষণ পর....
-এই কারা তোমরা ?
কি চাও?
-আমরা সহকারী জল্লাদ আপনাকে জম টুপি পরাতে এসেছি।
-জম টুপি না পরালে হয় না?
-আপনি নিজ চোখে কি নিজের মৃত্যু সৈহ্য করতে পারবেন?
-খুব পারব। কত মানুষ মেরেছি এবং মারতে দেখেছি নিজ চোখের সামনে,ও আমার সয়ে গেছে।
-এত কথা শোনার সময় আমাদের নেই,সহকারী জল্লাদরা ততক্ষণে জম টুপি পরিয়ে কনডেম সেল থেকে বের করে তাকে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড় করিয়েছে।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই....
অপর এক জল্লাদ এসে জম টুপির উপর ফাঁসির ম্যানিলা রশি টেনে গলায় পরায় এবং হাত পা বেঁধে দেওয়া হয় তার।
ফাঁসির মঞ্চে দাড়ানো লোকটি কিছু বলতে চায় কিন্তু বড্ড দেরী হয়ে গেছে,হিসাব তো এখন কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিতে হবে।
রাঁত ১২টা ১০ মিনিট....
জেল সুপার হাত থেকে রুমাল মাটিতে ফেলতেই জল্লাদ রাজু ফাঁসির রশির হাতলে টান দিয়ে কলঙ্কিত ইতিহাস মোচনের সেই ঐতিহাসিক কাজটি সেরে ফেললেন।
তারপরের ইতিহাস সবারই জানা,নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে জল্লাদ রাজু তার গোটা জীবনে প্রথমবারের মত সর্বশ্রেষ্ঠ ভালো কাজটি সম্পন্ন করে জাতিকে অনেকখানি কলঙ্ক মুক্ত করেছে।