-তুমি কি করতেছো?
-মশা মারি।
-মশা মারতে নিষেধ করছিলাম।
-কেন জানি করছিলা?
-তোমাকে তোমার থেকে সাইজে বড় কেও থাবড় দিয়া চ্যাপ্টা করে দিলে তোমার ভালো লাগতো?
-আমি তো কাওকে কামড় দিয়ে রক্ত চুষে খাইনা ঐশী।
-রক্ত খাওনা ঠিকই কিন্তু মগজ চুষে খাও আমার।আমি কি তোমাকে থাবড়া দেই?
-না
-তাহলে তুমিও মশা মারবা না।
-একটা মারি শুধু,এইট ব্যাটা অনেক জ্বালাইছে আজকে।এইটাই শেষ।
-তুমি একটা খাটাশ।
-তা ঠিক।এই যে ধরো,আমি গোসল সম্পর্কিত যে কথাটা তোমাকে এখন বলবো সেটা শুনলে তুমি আমাকে ডেফিনিটলি "খাটাশ" বলবা।আচ্ছা,খাটাশের উপরে কি কিছু আছে ঐশী?..
-গোসল সম্পর্কিত কথাটা কি?
-আমি আজকে গোসল করবো।
-কয়দিন করোনা?
-বললাম তো আজকে গোসল করবো।
-কিছু জিজ্ঞেস করছি।
-৬দিন। ব্যাপারটা ৩দিনের হইতো কিন্তু মঙ্গলবারে কেন জানি ঘুম থেকে উঠলাম বিকেলে।তখন তো আমি গোসল করিনা।
-তুমি আগামী চারদিন আমার সাথে কথা বলবা না
-চ্যাট?
-না
-নক?
-না
-উল্টাপাল্টা ছড়া?
-না
-গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে অনুবাদ করা কোরিয়ান প্রেমের কবিতা?
-না
-আমার কবিতা?
-কেন আমার সাথে এমন করো?
-তুমি রেগে গেলে টমেটোর মতো লাগে।সালাদা হিসেবে টমেটো আমার বিশেষ প্রিয়।ভিটামিনও নাকি অনেক আছে।
কেও ফোন রাখেনি..ওপাশে চুপচাপ..২২ সেকেন্ড..
-রাফা?
-হু
-ফোন রাখো
-ফোন রাখা যাবেনা।
-কেন?
-ঝামেলা হইছে ফোনে।তুমি ফোন দিলে তুমি না কাটা পর্যন্ত ফোন কাটা যায়না।টাচ কাজ করেনা।
-আমি সেদিনই তোমার ফোন থেকে মিলিকে ফোন দিলাম।
-তখনকার ব্যাপার আলাদা।এখনকার আলাদা।
-কি আলাদা।
-জানিনা।
-কি?
-কি?
-তুমি একটা অসহ্য।
-আর তুমি একটা সহ্য।
-ভাত খাইসো?
-না।
-টিউশনি করছো?
-হ্যাঁ
-এ মাসের মেসের ভাড়া দিসো?
-হ্যাঁ
-আমাকে আজকে মিস করছো?
-না
-কেন?
-কারণ তোমাকে আমি সবসময়ই মিস করি।আলাদাভাবে ঘন্টা-সেকেন্ড-দিন হিসাব করে মিস করিনা।
...ঐশী জানে কথাটা মিথ্যা।তাও কথাটা শুনেই ঐশীর মন ভালো হয়ে গেলো।অল্প ভালো না,খুব বেশী ভালো।এভাবে রাফার প্রতি প্রচন্ড পরিমাণে রাগ নিয়ে কথা বলা শুরু করে তার মন হুটহাট খুব ভালো হয়ে যায়।সে এখন শাড়ি পরে সুন্দর করে সাজবে।তারপর বিকেল পাঁচটায় চারটা টমেটো আর খানিকটা বিট লবণ নিয়ে রাফার সাথে দেখা করতে যাবে।রেস্টুরেন্টে এই বিট লবণ দিয়ে রাফাকে মিথ্যা বলার অপরাধে চারটা টমেটো খাওয়াবে।তারপর রাফার পাশে বসে তাকে বলবেঃ
"এই ব্যাটা,তোকে আমি ভালোবাসি।ভয়ংকর কাঁচা টমেটোর টকের মতো ভালোবাসি!"