নিজের ব্যার্থতার জন্য অন্যকে দোষারোপবন্ধ করুন..
জীবনে কারো উন্নতিবা ব্যার্থতার জন্য কেউ দায়ি হয় না...আপনি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেন নি..এটাই আপনার ব্যার্থতা...প্রতিবন্ধকতা কাটাতে দ্বীগুন চেষ্টা করেন নি। এটা আপনার ব্যার্থতা...জগৎ এর স্বভাব পদে পদে পথ আটকে রাখা...আপনি সে প্রতিবন্ধকতা দেখে ভয় পেয়ে থেমে গেছেন..এটা আপনার ব্যার্থতা..কোন ব্যাক্তি বা সমাজ কখনই আপনার ব্যার্থতার দায় নিবে না..এটাই বাস্তব আর এটাই হওয়া উচিৎ
অন্যকে দোষারোপ করে নিজেকে লুকায় কাপুরুষেরা..নিজের ব্যার্থতা আর দুর্বলতা স্বীকার করুন..তার পর সেটাকে সারিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন...নিজের কাছে কোন অযুহাত নিজে বানিয়ে রাখলে কখনোই আপনি নিজে নিজের জীবনের সমাধান পাবেন না...উন্নতি তো দুরের কথা...
আপনি নিজের কাজের ভালো মন্দের দায় ভার নিজের কাধে নিতে পারেন না.. এটা আপনার সবচেয়ে বড় ব্যার্থতা..
জীবনে নিজের স্বপ্নকে ছুতে পারার চেয়ে বড় সফলতা হলো ব্যার্থতাথেকে ঘুরে দাড়ানো.
আমি দেখি হোচট খাওয়া মানুষের ঘুরে দাড়ানো...একটা সহজ পথে সফলতা আমাকে আকর্ষিত করে না..আর যে যত বেশি হোচট খায় এবং নিজেকে আরো বেশি শক্ত করে এগিয়ে যায়, বিশ্বাস করুন তার সফলতার চেয়ে বেশি আকর্ষণীয়হলো তার ঘুরে দাড়ানোর উপায়টা.. ..তার সফলতা সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ....হোচট বা ধাক্কা বা বাধা যদি আপনার জীবনে শক্তি না হয়..যদি হোচট খেয়ে আপনি নিজেকে আরো শক্তি শালী করতে না পারেন..তাহলে আপনার জীবন অর্থহীন.....জীবনের উত্থান পতনের জন্য দায়ী আপনি নিজে..এ কথা যে স্বীকার করতে পারে.. কেবল সে ই জীবনের ধাক্কা গুলো থেকে শক্তি নিতে পারে..নতুবা প্রতিটা ধাক্কাই তার জন্য উষ্ঠা..আর প্রতিটা উষ্ঠাই তারে হাত পা ভেঙে পঙ্গু করবে আর হতাশ করবে.. সে আজীবন নিজের ভাগ্য আর আশেপাশের মানুষকে দোষারপ করে যাবে..
যদি নিজে স্বীকার করতে পারেন আপনার ব্যার্থতার জন্য আপনি দায়ী...তাহলে আপনি একজন ম্যাচিউর মানুষ...যেহেতু আমাকে কেউ কন্ট্রোল করে না..যেহেতু আমার কাজের দায় আমার, সেহেতু এখন আমি যা করবো আগামীতে সে ফল ই পাবো...সুতরাং এখন আমাকে অর্থবহ কাজ করতে হবে..
আত্মার কাছে আত্মা পরিষ্কার থাকলে আত্মউন্নয়নে অন্যের সাহায্য লাগে না...
আপনার জন্য আপনাকেই যথেষ্ট করে পাঠিয়েছেন উপরওয়ালা,অন্যকে দোষ গুনের দায় ভার না দিয়ে..অন্যকে নিজের সহোযোগী বা সাহায্যকারী না ভেবে নিজের আত্মায় খুজুন নিজেকে...সর্বশক্তিমানের সত্তা আপনার আত্মাতেই আছে...শুধু তার কাছেই সাহায্য চান..তার কাছে সত্য থাকুন....নিজেকে মিথ্যা সান্তনা দিলে কখনই নিজের ভেতরের সত্তাথেকে শক্তি সঞ্চয়হবেনা আপনার আত্মায়...
পৃথিবী তে কষ্টের মুহুর্ত গুল খুব অল্প সময়ের হয়..কষ্টে থাকি বলে সেটাকে অনেক বড় মনেহয়...ধৌর্য ধরে ঠেলে পারকরে দিতে পারলেই হলো।।বাস্তববাদী মানুষের দুটি বৈশিষ্ট
১.মেনে নিতে পারা
২.শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করা
...এই যে ভাল খারাপ উভয় ফলাফলের জন্য তৈরী থেকে শেষ পর্যন্ত তার কর্ম করে যায় ...এই যে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করা ...সব আশা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও আশা করে! ...কিভাবে করে?... এইসময়ে ধৌর্যধরে শেষ পর্যন্ত দেখে যেতে প্রয়োজন কিছু অলিক কল্পনার।প্রয়োজন সেই আত্মার শক্তির
.....শত্রু দরজার বাইরে, নিশ্চিত মৃত্যু! তাই দোয়া কালাম পড়ে আল্লার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজেই মরে নাগিয়ে বাস্তববাদীরা আশা করে, শেষ মুহুর্তে আল্লাহ সুপার ম্যানের মত উড়ার ক্ষমতা তাকে দিতেই পারেন!.. আজকে আমি বিপদে পড়েছি আমার ভুলে...আমি যখন ভুল করতে পেরেছি..সেই ভুলশুধরাতেও পারবো.....শেষ পর্যন্ত লড়ে যাই ..
সে সুপার পাওয়ার হয়তো পায়না কিন্তু নিযের শেষ বিন্দুদিয়ে লড়ার সাহস টা পায়।।হয়তো যখম হয় কিন্তু মৃত্যু নয় ...কেউ পিছনে আছে রক্ষাকরার, আর সে সর্বশক্তিমান..এটা কল্পনা করে নিলে ক্রান্তি কালে সব আশা শেষ হওয়ার পর ও আশা থাকে ...আশাই মানুষকে বাচিয়ে রাখে ...নাহলে পৃথিবীর সবাই আত্নহত্বা করে কবেই মরে যেত ..!
.গনিতের সুত্র গুলো যখন কিছুতেই আার প্রমান করা যায় না তখন প্রয়োজন হয় কাল্পনিক এক্স x এর
ঠিক তেমনি বস্তবতার বেড়াজালে মানুষ যখন খুব পেচিয়ে যায় তখন প্রয়োজন একটা বিশ্বাসের....তখন মানুষ নিজের মাঝে নিজেই সুপার পাওয়ার তৌরী করে ফেলে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারে..নিজের মাঝে নিজেই হয়ে ওঠে সুপারহিরো ...আর এই সুপার হিরো হতে পারে তারাই যারা নিজের ভালো মন্দের দায় ভার নিজেই নিতে পারে...
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৬