শ্রীনগর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রথম আলো পত্রিকা বলেছে, দলীয় কোন্দলের কারণে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হয়েছে। এটা চূড়ান্তভাবেই প্রথম আলোর মিথ্যাচার। আরো কয়েকটি পত্রিকা এবং অনলাইন নিউজে পরাজয়ের কারণ হিসাবে যা বলা হয়েছে তাও প্রকৃত সত্য নয়। মূল সত্যটা হল, দলীয় জনপ্রিয়তা হ্রাস। শ্রীনগরে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারি প্রধান দুই দলের সমর্থিত দুই প্রার্থী সম্পর্কেই মানুষ বলেছে ভাল লোক। এখানে একজনের খারাপ করার কারণ দলীয় জনপ্রিয়তা হ্রাস। জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ নিয়ে আলোচনা করা ভিন্ন কথা।
প্রার্থীদের ভোট দেখুন:
চেয়ারম্যান পদে- মোট প্রাপ্ত ভোট ১০৩১২৮
মো: ইরফান সিকদার- (ইশা) মোটর সাইকেল ২১১১
মো: জাকির হোসেন- (আলীগ বিদ্রোহী) ঘোড়া ৬২০১, ৬%
মো: মমিন আলী- (বিএনপি) দোয়াত কলম ৫৯৬৩৮, ৫৮%
মো: সেলিম আহমেদ ভূইয়া (আলীগ)- আনারস ৩৫১৭৮, ৩৪%
ভাইস চেয়ারম্যান পদে- মোট প্রাপ্ত ভোট ১০১৩৫৫
আওলাদ হোসেন (বিএনপি) তালা ২২৪৬৬, ২২%
আবুল হোসেন (জাপা) টিউবওয়েল ১৫৫৫
মাওলানা শাহাদাৎ হোসেন (ইশা) জাহাজ ৯২৪২, ৯%
মো: সেলিম হোসেন খান (বিএনপি) বৈদ্যুতিক বাল্ব ৩৬০৭২, ৩৬%
শেখ মো: আলমগীর (আলীগ)- উড়োজাহাজ ৩২০২০, ৩২%
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান- মোট প্রাপ্ত ভোট ৯৬৩৭৮ ভোট
আছিয়া আক্তার রুমু (আলীগ) কলস ৩৮৫৫০, ৪০%
জাহানারা বেগম হাঁস (বিএনপি) ৫৭৮২৮, ৬০%
এখানে স্পষ্ট আওয়ামীলীগের দুই প্রার্থী মিলে পেয়েছেন ৪১৩৭৯, যা বিএনপি প্রার্থীর চেয়ে ১৮২৫৯ ভোট কম। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির দুই প্রার্থীর ভোট ৫৮৫৩৮ যা আওয়ামীলীগ প্রার্থীর চেয়ে ২২৪৬৬ ভোট বেশি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটের পার্থক্য ১৯২৭৮ ভোট। শতকরা হারে দেখা যায় বিএনপি চেয়ারম্যান ৫৮%, ভাইস চেয়ারম্যান দুজন ৫৮% এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৫৯%। অর্থাৎ বিএনপি সমর্থিত প্রাথীরা কাছাকাছি ভোট পেয়েছে। এখানে ব্যক্তি জনপ্রিয়তাটা কোন ভূমিকা রাখেনি। জয় পরাজয় হয়েছে দলীয় ভোটে।
চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দুটি পর্ব দেখে দুটি কথা বলা যায়, প্রথমত নির্বাচনগুলো অবাধ ও সুষ্ঠু হচ্ছে না এবং দ্বিতীয়ত সরকারের জনসমর্থন ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। ভোট কেন্দ্র বন্ধ হওয়া চূড়ান্ত খারাপ অবস্থা। এগুলো সেসব কেন্দ্রেই হয় যেখানে বিরোধীপক্ষ ব্যালটে সিল মারতে বাঁধা দিতে সমর্থ হয়। কোন কেন্দ্রে ব্যালট ছিনিয়ে সিল মেরে বাক্স ভরে ফেললেও যদি বিরোধী পক্ষ দাঁড়াতে না পারে সে কেন্দ্র বন্ধ হয় না এবং সিলমারা ভোটই বৈধ ভোট হয়ে যায়। নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল জানিপপের জনাব কলিমুল্লাহ এসব ক্ষেত্রে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দোষী করেছেন। এ বক্তব্য অসত্য। নির্বাচনী কর্মকর্তারা সুষ্ঠুভোট হলেই দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম। তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে যায়, জীবন উৎসর্গ করতে নয়। ক্যাডারদের সাথে বাগবিত-ায় জড়িয়ে এবং সিলমারা প্রতিহত করতে গেলে শুধু মারই খাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপালনকারী পুলিশ-র্যাবও ক্যাডারদের সাথে ঝামেলায় জড়াতে চায় না। তারা অস্ত্র ব্যবহারের চেয়ে অস্ত্র বাঁচাতেই ব্যস্ত থাকে। আনসার সদস্যরা ঝামেলা হলে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া না হওয়াটা রাজনৈতিক সিন্ধান্তের ফল। শুধু কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিলেই হয় না, স্থানীয়ভাবে যারা ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতি করে তারা না চাইলেও সুষ্ঠু ভোট হয় না। এ ছাড়া মাত্রই ৫ জানুয়ারি ভোট-কাটিং নির্বাচন হয়ে গেল। ঐ নির্বাচনে এরাই ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করেছে। কারো কারো মধ্যে সেভাবে নির্বাচন করার মানসিকতা তৈরি ছিল। এই উপজেলা নির্বাচনে সকল আসনে আওয়ামীলীগ পরাজিত হলেও তাদের ক্ষমতা ছাড়তে হবে না, এটা সকলেই জানে। এ ছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইসচেয়ারম্যানদের কাজ ও ক্ষমতা সীমিত। এই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য অসুষ্ঠু পথে যাওয়াটা ভুল সিদ্ধান্ত। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যদি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদিচ্ছা থেকেও থাকে, তাহলেও তাদের তৃণমূলে সেই তথ্য পাঠানোর প্রমাণ মিলেনি। এই নির্বাচন সুষ্ঠু হলে অন্তত বলা যেত, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে স্থানীয় পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলে সেটাও হতে পারতো। সবাই মিলে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
ভোট কেন্দ্র বাতিল না হওয়া কেন্দ্রগুলোর মধ্যে কিছু রয়েছে সীল-মারা মার্কা। এগুলো জায়েজ হয়েছে বিরোধীরা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করতে পারায়। এসব ভোটই নির্বাচনী কর্তারা গুণে রেজাল্টসীট তৈরি করেছে নির্লজ্জভাবে। এটা আমাদের জাতীয়ভাবে ব্যক্তিত্বের দেউলিয়াত্বরই বহিপ্রকাশ। এসব ক্ষেত্রে আমরা ফিলিপাইনে দেখেছি, নির্বাচন কর্তারা সম্মান রক্ষার্থে পালিয়ে গিয়েছিল। অনেক স্থানে জাল ভোট হয়। ক্যাডারদের দাপটে নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোটার তালিকার ছবি ও হাতের কালির কথা ভাবতে সাহস পান না। কোন কোন স্থানে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা হয়, ভোট বাতিল করার চেষ্টা হয়, বিরোধী ভোটারদের তাড়িয়ে দেয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে, আবার চালু হয়। গ-গোল করে ভোটার কমিয়ে দিতে পারলে বিরোধী দলের সমর্থক ভোটারগণ ভয়ে কম আসে। অনেক কেন্দ্রেই বাহির থেকে সুষ্ঠু মনে হবে, ভিতরে অনেক ঘটনা ঘটে। এক কেন্দ্রের পোলিং এজেন্ট জানাল, ভোটারের নিকট ব্যালট পেপার দেয়ার পরই তারা বলেছে, আপনিতো আমাদেরই ভোট দিবেন। ভোটার ভয়ে স্বীকার করেছে। তখন ভোটারের কাছ থেকে ব্যালট নিয়ে নিজেরাই সীল মেরেছেন। বিরোধী পোলিং এজেন্ট দুর্বল হওয়ায় তারা ভয়ে জোড়ালে বাঁধা দিতে পারেনি। এজেন্ট দাবী করলো, এভাবে তারা এক হাজার থেকে বারশো ভোট নিয়েছেন। যখন ভোটার ছিল না তখন ১৫/২০ টা করে ভোট সীল মেরে ঢুকিয়েছেন। অনেক কেন্দ্রেই এসব গুরুতর ঘটনাকে আমরা মামুলি বিবেচনা করে ভোট অব্যাহত রাখি। এত কিছু করার পরও ভোট গণনার পর দেখা যায় সরকারি দলের সমর্থিত প্রার্থী পাশ করেনি তখন জনসমর্থন বিপর্যস্তর বিষয়টিই প্রমাণিত হয়। এতসবের পরেও উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্বে বিরোধী জোট ৫৫টির বিপরীতে সরকারি জোট মাত্র ৩৪টি উপজেলায় বিজয়ী হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বেও ৬৩টির বিপরীতে সরকারি জোট ৪৬টিতে বিজয়ী হয়েছে। অনেকে ভেবে আতঙ্কিত হন, যদি তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে এই নির্বাচন হতো তাহলে কী পরিণতি হতো।
মুন্সীগঞ্জ জেলার দুটি উপজেলায় ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হল। শ্রীনগরে যদি সুষ্ঠু ভোট হত তাহলে আরো বেশি ব্যবধান হতো বলেই অনেকে মনে করেন। মুন্সীগঞ্জ উপজেলায় ৫ জানুয়ারির মতো ভোট-কাটিং নির্বাচন হয়েছে। সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলো দখল হয়ে যায়, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদেও বের কওে দেয়া হয়। এরপর মনের সুখে ব্যালটে অবৈধভাবে সীল মারা হয়। শ্রীনগরে বিএনপির তিন প্রার্থীই বিজয়ী হয়েছে। মুন্সীগঞ্জে তিন বিজয়ী প্রার্থীই আওয়ামীলীগের। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সুষ্ঠু ভোট আমরা যেমন দেখেছি এখন কিন্তু কোথাও তা কেউ দেখেনি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকে বাহিরে। ভিতরের কারচুপি তারা দেখতে চায় না। আমি এমন কেন্দ্রও দেখেছি যেখানে পুলিশের গাড়ি দেখে সরকার দলীয় লোকেরা উল্লাস প্রকাশ করছে। আমি হলফ করেই বলতে পারি এই নির্বাচনের পরেও অনেকেই দাবী করবেন, মুন্সীগঞ্জ উপজেলায় অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। আমাদের দেশের কিছু মানুষ অনায়াসে এবং অনর্গল মিথ্যা কথা বলতে পারে। মিথ্যা বলা, দুর্নীতি করা ও ভোট ডাকাতি করাকে এদেশের অনেক মানুষ এখনো অপরাধ হিসাবে গণ্য করে না। মুন্সীগঞ্জ উপজেলার নির্বাচনটি কাগজে কলমেও সুষ্ঠু নির্বাচন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। কিন্তু আম-আদমীর কাছে এই ভোট গ্রহণযোগ্য হবে না। বড় বড় নেতারা যতই মুখে বলবে, এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে ততই আম-আদমী বুঝবে নেতারা মিথ্যা বলছে। এভাবেই এদেশের নেতারা জনগণের শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলেছে। তারা ক্যাডার বেষ্টিত থাকেন এবং ক্যাডারগণ তাদের প্রতি স্তোবক বর্ষণ করে।
মুন্সীগঞ্জে দুটি উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। যেটিতে বিএনপি বিজয়ী হয়েছে সেখানকার একজন প্রিজাইডিং অফিসার তার নির্বাচনী অভিজ্ঞতার কথা বলল। তার কেন্দ্র ১২টার দিকে দখল হয়ে যায়। তিনি অবস্থা বেগতিক দেখে আলমারিতে ব্যালট তালাবদ্ধ করে, দরজায় তালা লাগিয়ে আত্মগোপন করেন। বুথে থাকা ব্যালটে সিল মারা হয়। এক বুথে ৯০টি ব্যালটে সীল মারলেও তা ঢুকাতে পারে নি। আরেক বুথে অফিসিয়াল সিলে ৩০টি ব্যালটে সিল মেরে ঢুকায়। দেড় ঘণ্টা পরে সাংবাদিক, ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব এলে তিনি প্রকাশিত হন। যখন দলীয় ক্যাডারগণ তাকে খোঁজতে থাকে তখন তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। প্রথমে ভেবেছিলেন তাকে মারার জন্য খুজছে, পরে বুজেছেন যে আসলে ব্যালটের জন্য খুজেছিল। তিনি আতঙ্কিত অবস্থায় নির্বাচন শেষ করেন। বিরোধী দলীয় সমর্থিত প্রার্থী এতো কিছুর পরও কাস্টিং ভোটের মাত্র ১৮ শতাংশ এবং মোট ভোটের ১০ শতাংশের কম ভোট পায়। নারী কর্মকর্তারা আতঙ্কে কান্নাকাটি শুরু করেন। বহু ব্যালট ছিড়ে ফেলা হয়। তাকে মারধর করার এবং ট্রান্সফার করার হুমকী দেয়া হয়। সবচেয়ে সমস্যা এ বিষয়গুলো উর্ধ্বতন সবায়কে তিনি জানিয়েছেন কিন্তু রাষ্ট্রীয় কাজে বাঁধা দেয়ার জন্য কারো কোন শাস্তি হয় না। উল্টো তাদের সহযোগিতা না করলেই নির্বাচনী কর্মকর্তারা বিপদে পরেন। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাইলে নির্বাচনের শুরুতেই কয়েকজন অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এতে অন্যরা ভীত হয়ে ব্যালট ছিনতাই, সিল মারা, ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকবে। এমনিতেই আমাদের নির্বাচনে কালো টাকা, ভীতি প্রদর্শন, ভোট দিতে বাঁধা প্রদানের ঘটনা অহরহ ঘটে। তার উপরে যদি ভোট কক্ষের ভিতরেও ঝামেলা ঢুকেই থাকে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভবই হয়ে থাকবে। সবচেয়ে বড় ভয়, অসুষ্ঠু নির্বাচনের এই ধারাবাহিকতা কতদিন থাকবে। ভবিষ্যতে অন্য কোন দল ক্ষমতায় গিয়ে এই চর্চা অব্যাহত রাখলে আমাদের গণতন্ত্র হয়তো পাকিস্তান আমলের অবস্থায় ফিরে যাবে। শ্রীনগরে ৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করতে হয়, বাতিল হয় প্রচুর ব্যালট ব্যাপার। কয়েকটি কেন্দ্রে জাল ভোটের ঘটনা ঘটে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী যেসব স্থানে পাশ করেছে তাতেও প্রচুর কারচুপি হয়। এরপরও ব্যাপক জনপ্রিয়তার জোয়ারেই তারা পাশ করে।
৫ জানুয়ারি নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ -১ আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। উপজেলা নির্বাচনে শ্রীনগর উপজেলায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯ শতাংশ, ভাইস চেয়ারম্যান ১৭ শতাংশ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। উপজেলা নির্বাচনে বেশির ভাগ কেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ায় ভোটের হার কমে গেছে বলেই অনেকে মনে করছেন। একেবারে সুষ্ঠু ভোট হলে এই হার আরো কমে যেত এবং এই অঞ্চলে আওয়ামীলীগের এখনকার জনপ্রিয়তা মাপা সম্ভব হত।
অসুষ্ঠু ও কারচুপির নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি একটি গণতান্ত্রিক দেশে কোন ভাবেই মানান সই নয়। যারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসবে না তাদের গণতন্ত্রের প্রতি কোন দায়বোধও থাকবে না। এই দায়বোধহীন একটি জনপ্রতিনিধিগোষ্ঠী আমাদের দেশে সৃষ্টি হয়েছে। এদের হাত থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করা কঠিন হবে। মানুষ চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকবে, অনির্বাচিত ও ঝুঁকিপূর্ণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিকে। এর দায় জনগণের নয় নেতৃত্বের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেকে গণতন্ত্রের মানষকন্যা বলে থাকেন। দেশের মানুষ আশা করে, দেশের এই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনী অবস্থা থেকে জাতিকে তিনি মুক্তি দিবেন।