আগামীকাল শামিমের জন্মদিন। আমরা সবাই প্লান করেছি আজ একটা পার্টি দিবো। এসএসসি দিয়েছি সবে মাত্র। রেজাল্ট হয়নি এখনো। রেজাল্টের পর কে কোথায় থাকবো কেউ জানিনা। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বন্ধুরা একত্রে আজ শেষ আড্ডা দিবো, অনেক মজা করবো। সেই সাথে শামীমের জন্মদিন পালন করবো। সকালে আমাকে একবার ফোন করে জানানো হয়েছিল যে বিকেলে আজ অনিকের বাসায় পার্টি হবে। আমাদের সবাইকে বাজার করতে হবে, রাতে ওখানেই খাওয়া হবে। আমিও বলে দিয়েছিলাম "হ্যা" আমি থাকবো, তোরা বাজারে যাওয়ার আগে আমায় ফোন দিস। আমাদের বন্ধুদের মধ্যে স্বপ্ন নামের এক ছেলে আছে, যে একটু বেশি মজা করে। মজা করে শামীমের বাবার নামে একটি ফেসবুক ইভেন্ট খুলে বসলো! ইভেন্টের নাম তসির'স বার্ডে!! আসলে শামীমের বাবার নাম তসির উদ্দিন, তাই এই শয়তানি করা হয়েছে। আমিও মজা করে ইভেন্টে লিখে দিলাম ' ১০০ টাকা সবায় ধরি আইসো, শামীমের বার্ডে খামো।
আস্তে আস্তে বিকেল ঘনিয়ে এলো। আমাকে ফোন করলো বিকেল ঠিক ৫ টায়, তো আমি হাজির হলাম অনিকের বাড়িতে। সেখানে বাজারের প্রস্তুতি চলছে। আমি অনিকের বাড়িতে যাওয়ার পর জানতে পারলাম আমাদের থাকার ব্যাবস্থা হয়েছে অনিকের বাসার পাশে গাছ তলায়। সেখানে তাঁবু করে তাঁবুতে থাকার অভিজ্ঞতা নিতে চাচ্ছিলো সবাই। তাই আমরা তাঁবু তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। এমন সময় আমাদের বান্ধুবী তন্নি আমাদের তাঁবুর কাছে এসে দাঁড়ালো। তন্নির বাসা আমাদের তাঁবুর কাছ থেকে বেশি দুরে নয়, তাই সে চলে এসেছে আমাদের তাঁবু দেখতে। বেশ! তাঁবু দেখে বললো আমরা নাকি বেশ সুন্দর তাঁবু তৈরি করেছি। আমি তন্নিকে আগে দেখেছিলাম কিন্তু কথা বলিনি কখনো। আজ ক্যান জানি কথা বলে ফেললাম। সন্ধ্যার পর তন্নি আমাদের চায়ের দাওয়াত দিলো। আমরা সকলে চায়ের দাওয়াত গ্রহন করলাম। আমাদের চায়ের দাওয়াত দিয়ে তন্নি বাসায় চলে গেল। আমি তাকিয়ে তার চলে যাওয়া দেখলাম। আসলে সত্যি কথা বলতে মেয়েটা পিচ্চি পিচ্চি তো দেখে মনেই হয়না আমাদের সাথে পড়ে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। আমাদের প্রাণের প্রিয় বন্ধু রিয়াজ নাকি আসবে না। সে নাকি তার ফুফুর বাসা যাবে। রিয়াজ আমাদের অনেক কাছের একজন বন্ধু। তাকে ছাড়া আমরা কিছুতেই এই পার্টি করবো না। আমি বাকিদের বাজারে পাঠিয়ে সাইকেল নিয়ে নিজেই চলে গেলাম রিয়াজের বাসায়। সেখান থেকে রিয়াজ কে নিয়ে চলে এলাম। আমার কথা রিয়াজ ফেলতে পারবে না এটা জানি। তারপর আমরা সবাই একত্রিত হলাম আমাদের তাঁবুতে। সেখান থেকে চায়ের দাওয়াত পালন করতে চলে গেলাম তন্নিদের বাসায়।
রিয়াজ, অনিক,স্বপ্ন,রিয়াদ,সোহাগ,সুমন,সঞ্জয়,কৃষ্ণ,প্রান্ত,শামীম এবং আমি হৃদয় আমরা সকলে তন্নির বাসায় উপস্থিত চায়ের দাওয়াত পালন করতে। আমাদের দাওয়াতে আসার একটা শর্ত ছিলো, তন্নিকে নিজের হাতে চা বানিয়ে খাওয়াতে হবে, কিন্তু সে নিজের হাতে চা বানায়নি তার আম্মু চা বানিয়ে দিয়েছে। নিয়েছিলাম চায়ের দাওয়াত কিন্তু এখানে এসে দেখি চায়ের সাথে অনেক রকম খাবার- মিষ্টি, বিস্কুট, চানাচুর ইত্যাদি।
আমাদের খাওয়া শেষে তন্নির মা আমাদের সবার পরিচয় নিচ্ছিলেন। আমরা সকলে আমাদের পরিচয় দিচ্ছিলাম। এমন সময় কৃষ্ণ তার পরিচয় টা ঠিক এভাবে দিলো, 'আমার নাম কৃষ্ণ অর্ফে রয় কৃষ, আসলে আমার নাম কৃষ্ণ রায় কিন্তু আমি ফেসবুকে নাম দিয়েছি রয় কৃষ।' এই কথা কৃষ্ণের মুখে শুনে আমাদের হাসি আর থামছিলো না। তন্নিদের বাসায় চা খেয়ে বেড়িয়ে এলাম।
আমরা আমাদের তাঁবুতে ফিরে এসে নতুন নতুন প্লান করছিলাম। কি থেকে কি করবো রাতে কি কি খাবারের ব্যাবস্থা করবো ইত্যাদি। আকাশ মেঘলা যে কোন সময় বৃষ্টি নামতে পারে। সব খাবার কেনা শেষ হয়েছে। শামীমের জন্মদিন পালন করার জন্য একটি কেক কেনা হয়েছে। নাস্তা খাওয়ার জন্য অনেক প্রকার নাস্তা জাতীয় খাবার কেনা হয়েছে।
আজ সন্ধ্যার পর থেকে কেন জানি আমার মন টা ভালো না। আমার আবার একটু পর পর মন খারাপ হয়। তাই কখন কেমন থাকি বোঝা মুশকিল। রাত বেশি হয়নি আমরা তাঁবুতে বসে গল্প করছি। এমন সময় হঠাৎ কোথা থেকে যেন দমকা হাওয়া আর মেঘ ছুটে এলো। আমরা তাড়াতাড়ি করে অনিকের বাসায় চলে গেলাম। বৃষ্টির জন্য আমাদের রাতে থাকার এবং খাওয়ার ব্যবস্থা অনিকের বাসায় করা হলো। অনিকের থাকার ঘর আজ আমাদের দখলে। আমরা অনিকের ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত সবাই আর ওদিকে রান্নার কাজ করছেন অনিকের মা এবং আমাদের বন্ধু প্রান্ত। আজ অনিকের মা আমাদের রান্না করে খাওয়াবে, সে কিছুটা অসুস্থ কিন্তু সে আনন্দের সাথেই সব কাজ করছেন কিছুতেই বুঝতে দিচ্ছেন না যে সে অসুস্থ। আমরা সবাই অনিকের রুমে শয়তানি করতে ব্যস্ত। আমাদের বন্ধু সঞ্জয় সে আজ নিঃস্তব্ধ! যে ছেলেটি সারাক্ষণ চেঁচিয়ে আমাদের অবস্থা খারাপ করে দিত সে আজ তেমন কোন কথাই বলছে না। পাশের রুমে স্বপ্ন তার ক্লোস বান্ধুবী নিশাতের সাথে চ্যাট করছে ফেসবুকে। আমি আর অনিক একটু শয়তানি করার জন্য অনিকের ওয়্যারলেস কিবোর্ড আমাদের কাছে নিয়ে এসে উল্টা পাল্টা ম্যাসেজ লিখছিলাম নিশাতকে আর স্বপ্ন বোকার মত মনিটরে তাকিয়ে দেখছিল। সে প্রথমে বুঝতে পারেনি যে এটা আমাদের কাজ তবে পরে বুঝতে পেরেছে। বেশ মজা করেই কেটে যাচ্ছিল আমাদের শয়তানি, সেই সাথে মিনিটের কাটাও ঘুরছিল। অবশেষে রাত ১২ টা বাজার বেশি দেরি নেই। আমরা সকলে কেক নিয়ে আমাদের তাঁবুতে ফিরে গেলাম। কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি ঝরেছিল আকাশ থেকে এখন আকাশ পরিষ্কার। কোন মেঘ নেই আকাশে, হয়তো বৃষ্টি জানতো আজ শামীমের জন্মদিন! আজ বেশিক্ষণ থাকা যাবে না এখানে। রাত বারোটা বেজে গেলো। আমাদের তাঁবুতে সবাই চেঁচিয়ে উঠলো শুভ জন্মদিন Shameem !!!!! তার পর শামীম কেক কেটে আমাদের সবাইকে খাইয়ে দিলো। সবাই কেক খেয়ে তাঁবু থেকে চলে এলাম অনিকের বাসায়।
রান্না শেষ হয়েছে। খাবার আমাদের সামনেই রাখা আছে এবার শুধু আমাদের খাওয়ার পালা। পরিবেশনের দায়িত্ব নিলো প্রান্ত। প্রান্ত আমাদের সকলকে খাবার দিলো, তরকারি দিলো, আমরা সবাই খাওয়া শুরু করলাম। অতঃপর খাওয়া শেষে প্লেট আমি পরিষ্কার করে ফেললাম মাত্র ১০ মিনিটে সব প্লেট পরিষ্কার শেষ!!
কেউ কেউ বললো সারারাত গল্প করবো, আবার কেউ বললো না লুডু খেলবো, আবার কেউ বললো ভূত এফ এম শুনবো। যে যার মত বিভিন্ন খেলায় মগ্ন ছিলাম। আমরা অনেক শয়তানি করছিলাম, অনেক মজা করছিলাম। অনিক এসে আমাকে বললো কৃষ্ণ ভূতের ভয় পায় খুব, তাই তাকে ভূতের ভয় দেখাবে ওরা! আমিও ওদের এই শয়তানিতে যুক্ত হলাম। কৃষ্ণ কে ভূলভাল বুঝিয়ে বাহিরে নিয়ে আসা হলো। তারপর তাকে মাঠে নিয়ে এসে আমরা সবাই বলতে লাগলাম আমরা মানুষ না আমরা সবাই ভূত, মানুষের রূপ নিয়ে এসেছি হা হা হা। যা ভেবেছিলাম তা কিছুই হলো না, কৃষ্ণ ভয় পেলো না বরং সে ভূতের সাথে মারামারি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। বেশ কয়েকবার দু পা তুলে দুই পাশের ভুত কে জানিয়ে দিলো আমরা তাকে আক্রমণ করলে সে পাল্টা আক্রমণ করবে। যেমনটা বাংলা মুভিতে দেখা যায়। তারপর আমরা ফিরে এলাম অনিকের রুমে। ওদিকে আমাদের পিছন পিছন ফিরে এলো কৃষ্ণ। এবার অনিকের রুমে এসে দেখি সঞ্জয় ঘুমিয়ে পড়েছে!! বেশ এবার মজা টা জমে উঠবে। অনিক আর স্বপ্ন খুঁজতে লাগলো লিপস্টিক! মানে সঞ্জয়ের ঠোঁটে দেওয়া হবে আর বেচারা সঞ্জয় ঘুম থেকে উঠে দেখবে তখন কি মজাটাই না হবে। কিন্তু লিপস্টিক আর খুঁজে পাওয়া হলো না তাই বিকল্প উপায় খুঁজতে হলো। লিপস্টিকের বদলে হাঁড়ির কালো কালি মুখে মাখিয়ে দেওয়া হবে আর ঘুম থেকে উঠে যখন দেখবে নিজেকে আয়নায় তখন ভূত মনে করে হয়তো চিৎকার দিয়ে উঠবে। স্বপ্ন আর অনিক যত্ন করে সঞ্জয়ের মুখে কালি মাখিয়ে দিচ্ছিলো আর আমরা সবাই তামাশা দেখছিলাম। অতঃপর ঘুমন্ত সঞ্জয়ের মুখের কাছে গিয়ে সবাই সেলফি তুলছিলাম। শয়তানি করতে করতেই রাত প্রায় শেষ হতে চললো।
ফজরের আজান দিচ্ছে। সবা্র চোখে অনেক ঘুম কিন্তু কেউ ঘুমানোর সাহস পাচ্ছে না। ঘুমালে কি হতে পারে সেটা সঞ্জয়ের অবস্থা দেখলেই বোঝা যায়। সঞ্জয় কে কালি মাখানোর কিছুক্ষণ পর সঞ্জয় জেগেছিল আর আমরা খিল খিল হেসে দেই, তাই সঞ্জয় বুঝতে পারে আর হাত মুখ ধুয়ে আমাদের উপর অভিমান করে আবার শুয়ে পরে। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম রাস্তায় হাঁটতে বের হবো শয়তানি করবো তারপর ফিরে এসে কিছু খেয়ে যার যার বাসায় চলে যাবো।
আমরা সবাই অনিকের বাসার সামনে বের হলাম। মেডিকেল রোডের দিকে এগিয়ে গেলাম। রাস্তার পাশে ছিলো রবিউল স্যারের বাসার আম গাছ! সেখানে চুপিচুপি কয়েক টা আম ছিড়ে দৌড় দিয়ে চলে গেলাম মেডিকেল মোড়ে। সেখানে অনিক একটা আম নিয়ে মার্চি আপুর বাসায় দিলো ঢিল! সেই ঢিল গিয়ে পড়ল টিনে আর সেই সাথে আমাদের আবার দৌড়। মেডিকেল রোডের উত্তর দিকে যাবো। তাই বেশ কিছুদুর এগিয়ে গেলাম। সেখানে দেখতে পেলাম এক সাইন বোর্ড ঝুলছে। সাইন বোর্ড টা ছিল ব্রাক প্রাথমিক কেন্দ্রের। আমাদের বীর বাহাদুর এবং সু স্বাস্থের অধিকারী প্রান্ত ভাই সাইন বোর্ড এক টানে খুলে ফেললো, সেই সাথে সাইন বোর্ড রাস্তায় রেখে আগুন ধরিয়ে দিলো আর আমরা আবার দৌড়ে অনেক দুরে চলে গেলাম। আসলে আমাদের দৌড়ে পালানোর কারণ ছিল যে এলাকা গুলোয় এই রকম শয়তানি করা হচ্ছিল তা থেকে দৌড়ে দূরে যাওয়া।
আমরা সবাই রাস্তায়ই ছিলাম আমাদের প্লান ছিলো মেডিকেল মোরের উত্তর রাস্তা দিয়ে ভাটিয়া পাড়ার বট গাছ থেকে পাকা রাস্তা ধরে অনিকের বাসায় ফিরে আসবো। অবশেষে হাটতে হাটতে বট গাছের নিচে দাঁড়ালাম। এমন সময় একটা গাড়ি আসতেছিলো, স্বপ্ন বললো এই পালাও পালাও পুলিশ আসতেছে। আমরা সবাই না ভেবেই ভুট্টা ক্ষেতে লুকাতে যাবো এমন সময় দেখি এটা পুলিশের গাড়ি না এটা মাইক্রো বাস! বট গাছে একটি কলিকাতা হারবালের সাইন বোর্ড ঝুলছে। বীর বাহাদুর প্রান্ত সাইন বোর্ড খুলে স্বপ্নের হাতে ধরিয়ে দিলো আর স্বপ্ন সারা রাস্তা ক্যানভাস করতে করতে এলো। হাঁটতে হাঁটতে আবার অনিকের বাসার সামনে চলে এলাম।
সবাই অনেক ক্লান্ত কারণ রাস্তায় অনেক বেশি শয়তানি করেছি সবাই, আর সেই সাথে উল্টা পাল্টা মিছিল তো ছিলই। এবার অনিকের বাসায় ঢুকে দেখি সবাই ঘুমাচ্ছে মানে আমাদের সাথে যারা যায়নি। রিয়াজ, শামীম আর সঞ্জয় ওরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। আমাদের ডাকা ডাকির ফলে দরজা খুলে দিলো। আমরা ভিতরে প্রবেশ করে বেশ কিছুক্ষণ বসে রইলাম। আমরা রাতে শয়তানি করে লাফালাফি করে অনিকদের বিছানা ভেঙ্গে ফেলেছি এটা নিয়ে সবাই একটু চিন্তিত ছিলাম, যদি আবার কেউ কিছু বলে। আমাদের সবার প্রচুর তৃষ্ণা পেয়েছিল তাই গত রাতে আনা সেভেন আপ সবাই ভাগ করে খেয়ে নিলাম।
সকাল ৮ টা বাজে এবার সবাই বাজারে গিয়ে নাস্তা খেয়ে সবাই যার যার বাসায় যাবো। বাজারে গেলাম সবাই, সেখানে এক দোকানে গিয়ে গরম গরম পরোটা খেয়ে যাদের বাসা দূরে তাদের পাঠিয়ে দিলাম বাসায়। সারা রাত অনেক শয়তানি হয়েছে রুমের অবস্থা ভালো না, তাই অনিক আর বাসায় গেলো না। আমি আর স্বপ্নও বাসায় গেলাম না। আমরা গেলাম স্বপ্নন মঞ্জিলে, সেখানে বসে আছি হাওয়া খাচ্ছি কিন্তু ঘুম এত বেশি চেপে ধরেছিলো যে চোখ খুলতেই পারছিলাম না কেউ। হঠাৎ মাথায় আইডিয়া আসলো আজ তো সুসিতল স্যারের প্রাইভেট আছে আজ। আমরা আর দেরি না করে স্যারের বাসায় চলে গেলাম। প্রাইভেট যে রুমে পড়ায় ওখানে গিয়ে বসে টেবিলের উপর মাথা রেখে কিছুক্ষণ ঘুমানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু ঘুমানোর মত অবস্থা নেই, সবাই চেঁচামেচি করছে। বেড়িয়ে এলাম সেখান থেকে। মাক্কাপুরের মোড়ে এসে যে যার মত বাসায় চলে গেল, আমিও "বিদায় ভালো থাকিস সবাই" বলে বাসায় চলে এলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯