মধ্যে যুগে শাসকদের হেরেম ছিলো অবৈধ সন্তান উৎপাদন আর অসংখ্য দাসীরা ছিলো সেই অধিক উৎপাদনের উর্বর ভূমি।(পুনশ্চ: ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ ছাড়া সকল সন্তান গ্রহনই অবৈধ)।যদি নিয়ম এমনি হয়ে থাকে তবে প্রায় দু-একজন ছাড়া সকল শাসকই জন্মসূত্রে অবৈধ এবং অবৈধ সন্তানের জনক।ধর্মীয় বিধান উপেক্ষা করেই তারা শতশত দাসীর সঙ্গ গ্রহন করতো শুধু মাত্র যৌনক্ষুধা নিবারনের জন্য।কিন্তু তাদের এহেন অবৈধ সঙ্গের বিষয়ে ধর্মের ঐশ্বরিক নিয়মও কোন বাধা হয়ে সামনে আসেনি। বিজ্ঞ বিজ্ঞ ধর্মীয় মনীষীদের কে সামান্যতম উচ্চ-বাচ্য করতে দেখা যায় নি এসব বিষয়ে।ইতিহাস তো তেমন-ই স্বাক্ষী দেয়।বরং তাদের নানা স্তুতি আর প্রশংসায় মত্ত থেকেছে সেইসব বিজ্ঞ বিজ্ঞ ধর্মের ধারক বাহক।আসলে ক্ষমতার কাছে সকল বিধানই পরাজিত।হোক না তা ঐশ্বরিক, শত শ্রদ্ধার আবরনের মোড়কে মোড়ানো।আবার অনেক বিখ্যাত শাসক ধর্ম রক্ষার নামে,ধর্মের নামে অপর ধর্মের শাসকদের রাজ্য অধিকার করতে বছরের পর বছর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ধর্ম রক্ষার শাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে নাম লিখিয়েছেন।তারা পশু-পাখি, জন্তু-জানোয়ারদের হত্যা করেনি।হত্যা করেছে লক্ষ লক্ষ মানুষ, ঠিক আপনার আমার মতো দু হাত-পা ওয়ালা মানুষ।মানুষের রক্তে সাগর বানিয়ে সেই সাগরে ভাসিয়েছে বিজয়ের ভেলা।সেই সাগরে ধার্মিক, অ-ধার্মিক,জন্তু-জানোয়ার সবার রক্ত।কারন রক্তের বিচারে মানুষ আর জন্তু জানোয়ারের পরিচয় আলাদা করা যায় না।তবুও তারা প্রশংসিত, নন্দিত।কারন একটাই আর তা হলো তারা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের পতাকা হাতে নিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।আবার এইসব বিখ্যাত শাসকদের হেরেমে দাসী নয় বরং একই লিঙ্গের শত শত দাস ছিলো।সেখানে ধর্মীয় নিয়ম বাধা হয়ে গলা চেপে ধরেনি সেই শাসকের।বরং যতো প্রশংসার মালা তার ঝুড়িতেই রেখেছে সবাই।কারন একটাই তার হাতে থাকা ক্ষমতা আর ধর্মের ঝান্ডা।
সামান্য যুক্তিতেই ধর্ম গেলো গেলো বলে আমরা জোড় চেঁচামেচি শুরু করে রাস্তায় নামি,খেলি রক্তের হোলি।যে কাউকে এক নিমিষেই নাস্তিক পদবীতে ভূষিত করে ফেলি।আস্তিক, নাস্তিকে বিভক্ত করে ফেলি সমাজ,রাষ্ট্র,রীতি-নীতি।অথচ আমরা আমাদের সুবিধার জন্য,উপভোগের জন্য কতো ঐশ্বরিক নিয়ম বদলিয়ে ফেলেছি!
তার ইয়াত্তা নাই।কারন আমরা সুবিধাভোগী।যেখানে সুবিধা বেশি সেখানে সব বৈধ বলে সমাজ রায় দেয়।এই যেমন উদাহরন হিসেবে যদি বলি হিল্লা বিয়ের কথা।নিজেদের সুবিধার জন্য,কামবৃত্তি নিবারনের সহজ উপায় হিসেবে সব পালটিয়ে নিয়ম করে নিয়েছি নিজেদের মতো।আর সেই নিয়ম সমাজে চাপিয়ে শাসন আর শোষন করে চলেছি বছরের পর বছর।সমাজ কখনো এমন নিয়ম ভঙ্গের দায়ে দায়ী করে শাস্তি দেয়নি কোন শাসক কে। বরং সহজেই মেনে নিয়ে সেই নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছে যুগের পর যুগ।
কারন একটাই,
আর তা হলো শাসকের হাতে থাকা ক্ষমতা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮