কলঙ্ক
---------------------------------------------
বাবুরা কি নিষ্ঠুর, কি নির্দয় ! করমো সম্পাদনে বাবুরা যতটা না সিদ্ধহস্ত, ঠিক উল্টো চিত্র থাকে বাবুদের মনে।বাবুদের ধৈর্যর বালায়-ই নেই। কাম সারতে বাবুরা বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করতে চায় না।যেন তাদের চোখে কিসের ভয়।ও বাবুরা যদি ভয়ই পাও তো আমাদের এখানে আসার দরকার টা কি? সব বাবুদের ঐ এক-ই স্বভাব, কাম শেষে খালি যাই যাই।কেন গো বাবু? একটু আগেও তো কতো আদর ভালোবাসা দিলে, তোমাদের রাজমহলের রানী বানিয়েই ছাড়লে।তবে আর একটু থাকো না, বেশি না এই সকাল অবধি?
সেকি গো বাবু! এ আবার কেমন কথা শোনাচ্ছো।তোমাদের মুখে তো এমন সাধু- সন্ন্যাসীর বাণী মানায় না। হাজার ও হোক, আর কেউ না জানুক আমরা তো জানি যে, তোমরা কি?
এসব ভনিতা করে কি লাভ বাবু? আজ হোক আর কাল হোক ফের তো আসতেই হবে চম্পা,রানীদের ঘরে।
থাক বাবু এসব সাধু- সন্ন্যাসীদের বাণী আমরা শুনতে চাইনে।ওসব তোমাদের আলমেরিতেই তোলা থাক।
সারা রাত কাম শেষে এখন বলছো আমরা বেশ্যা!
বাহ বাবু বাহ! তোমাদের এসব দেখে না মাঝে মাঝে আর ঘরে নিতে ইচ্ছে করে না, মনে হয় বাইরে ছুড়ে ফেলে দেই।
আচ্ছা বাবু সারা রাত কাম সেরে সকালে গঙ্গাস্নান করলেই কি কলঙ্ক মুছে ফেলা যায়?
যদি গঙ্গাস্নানেই পবিত্র হও তবে তো - আমরাও পবিত্র। নিশ্চয় তোমাদের চাইতে আমারা কম গঙ্গাস্নান করি না। দিনে কম করে হলেও ২থেকে ৩ বার তো গঙ্গাস্নান করতেই হয়।
ও বাবু তোমাদের মতো আমরা ওতটা নোংরা নই।তোমরা তো গঙ্গাস্নান ছাড়াই ঘরে গিয়ে সাধু সাজো।আমরা তোমাদের পবিত্র করার পূর্বেই অন্তত গঙ্গাস্নান টুকু সেরে রাখি।
তবুও সমাজে তোমরাই পবিত্র, সাধু- সন্ন্যাসী। আর আমরা সমাজের ভাষায় বেশ্যা।আচ্ছা বাবু বেশ্যা শব্দটি কি আমাদের গায়ে লেপ্টে আছে?