আর কত দিবাগত পাপক্ষয়!
আমরা অপেক্ষা করি নতুন একটি সূর্যোদয়ের
যার আলো ভষ্ম করে দেবে আমাদের নিজস্ব শত্রুদের
কিন্তু যখন দেখি সেই শত্রুরাও এমন একটি নতুন সূর্যের প্রার্থনা করে,
তখন আমাদের মজ্জাগত অভ্যাস অভিশাপ দেয় এসব মুখোশ পরা মিত্রদের।
সমতলভূমি পেলে পাহাড়ি ঢল আটকে থাকে না;
বরং ভারী বর্ষণে ধ্বংস নৃত্যে ধেয়ে চলে সামনের পানে
প্লাবিত করে ফসলের মাঠসহ জনপদ ও নদীর দুই কুল
তখন মাকড়সার জাল বুনে অপেক্ষার প্রহরে
বেনামি বাতাসে মৃত্যুকে আলিঙ্গনের আমন্ত্রন পত্রটা ছিল ভুল।
রাতের আঁধারে পেঁচা যখন পাকা শিকারি-
ধৃত ইঁদুর যন্ত্রণায় অদৃষ্টকে অভিশম্পাদ করে
আর এই ভেবে সান্ত্বনা পায় কেবল নতুন একটি সূর্য তাকে বাঁচাতে পারে,
আয়ু ফুরিয়ে গেলে শিকারীও একদিন শিকারে পরিণত হয়।
নিয়মের অধীনে বয়ে চলা পৃথিবী কত অনিয়ম মেনে নেয়
তাইতো মরা গাঙ্গেও জোয়ার আসে, মৃত গাছেও ফুল ফুটে
মহাকালের অলি গলিতে অন্ধকারে পরে থাকে কত পান্ডুলিপি
প্রতিফলিত প্রতিবিম্ব বিভ্রান্ত বিংবা প্রতারিত করলেও
আয়না কখনো ধোকা দেয় না কারণ সরল অংকের মতই
সেখানে রাত দিনের হিসেবে নিজের অবয়বের পূর্ণরূপটা ফুটে উঠে।
বহু বছরের ধ্যান ভেঙে কোন এক প্রাচীন ঋষি চেয়ে দেখে-
নতুন একটি দিন;দিনটি অনেক সম্ভাবনাময়,ঝলমলে ও রঙিন
তারপর প্রতিদিনই তার নতুন দিন শুরু হয় একটি কাঙ্খিত নতুন সূর্যের স্বপ্ন নিয়ে,
জাগতিক জটিল ভাবনা আর পাপের বোঝা কাধ থেকে নামাতে গিয়ে;
আত্মাকে শুদ্ধ করতে করতে মৃত্যু অবধি-
পুরাতন স্মৃতির স্তম্ভে গেঁথে যায় আরো নতুন কিছু স্মৃতি, সাক্ষী, সময় ও অস্তগামী সূর্য।
ছবি-নিজের তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩