১।
ধনেপাতার ভর্তা :
ধনে পাতার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। যারা ধনেপাতা পছন্দ করেন তাদের জন্য ধনেপাতার ভর্তা। এটি বানানো একেবারেই সহজ।
প্রথমে ধনেপাতা ধুয়ে কেটে নিন (না কাটলেও হবে), পেয়াজ, লবন, কাচা মরিচ সব একসাথে শীল পাটায় বেটে নিন বাস হয়ে গেল মজাদার ধনেপাতা ভর্তা।
২।
চিংড়ি ও লাউয়ের চোলকার ভর্তা :
সাধারণত আমরা লাউয়ের চোলকা বা ছিলকা ফেলে দেই। কিন্তু গুড়া চিংড়ি মাছ ও লাউয়ের চোলকা মিশিয়ে একসাথে করে মজাদার ভর্তা বানানো যায়।
প্রথমে চিংড়ি মাছ তাওয়ায় টেলে নিন। লাউয়ের চোলকা লবন দিয়ে ভাল করে সিদ্ধ করে নিন। এবার পেয়াজ, লবন, মরিচ ও টালা চিংড়ি মাছ এবং সিদ্ধ লাউয়ের চোলকা একসাথে বেটে তৈরী করুন মজাদার ভর্তা।
৩।
দুন্দুলের চোলকার ভর্তা :
দুন্দুল বা মুলাম এর চোলকা ফেলে না দিয়ে ভর্তা করে খাওয়া যায়।
দুন্দুলের চোলকা লবন দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। শুকনা মরিচ তেলে ভেজে নিন। এবার ভাজা মরিচ, পেয়াজ, লবন, ধনেপাতা ও সিদ্ধ দুন্দুলের চোলকা একসাতে বেটে নিন হয়ে গেল ভর্তা। (যদি বাইম মাছের মাথা হালকা হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে একসাথে ভর্তা করা হবে তবে মজা আরও বেড়ে যায়।
৪।
ফুলকপির ভর্তা : ফুল কপি ছোট ছোট করে কেটে হালকা হলুদ ও লবন দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। তারপর পেয়াজ কুচি করে কেটে, কাচা মরিচ ও ধনেপাতা কুচি করে কেটে হাত দিয়ে চটকে বা মথে নিন তাহলেই ভর্তা হয়ে গেল। সরিষার তেল দিতে ভুলবেননা।
উক্ত ভর্তা যদি তেলে ভাজা করেন তবে আরও মজাদার ও সুস্বাদু হবে।
৫।
পোটলের চোলকার ভর্তা : পোটলের চোলকা ও সিদ্ধ করে মরিচ, পেয়াজ, ধনেপাতা, লবন একসাথে বেটে ভর্তা করা যায়। উক্ত ভর্তা ছোট চিংড়ি মাছ দিয়ে তেলে ভাজা বা ভুনা করলে অস্বাধারণ লাগে।
৬। সিধল বা চ্যাপা শুটকির ভর্তা :
অনেকেরই এই ভর্তা প্রিয় বা পছন্দের তালিকায় আছে। সকাল বেলা কড়কড়া ভাত দিয়ে খেলে এর স্বাদ ষোলআনা বুঝা যায়।
সিধল শুটকি তাওয়ায় টেলে নিন। শুকনা মরিচ ভেজে নিন। এবার পেয়াজ, লবন ধনে পাতা মিশিয়ে শীল পাটায় বেটে নিন হয়ে গেল মজাদার সিধল শুটকি ভর্তা।
৭। পেপে ও মিষ্টি কুমড়ার ভার্তা :
পেপে ও মিষ্টি কুমড়া সিদ্ধ করে আলাদা আলাদা করে দুপ্রকার ভর্তা বানানো যায়। সাথে পেয়াজ,মরিচ,ধনেপাতা ও লবন একসাথে করে বেটে নিলেই হলো। তবে এগুলোর ভর্তা তেমন মজার নয়।
সংরক্ষণে না থাকার কারণে ৪-৭ এর ছবি দেওয়া গেলনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২৮