বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারনে আমাকে আপনাকে রেস্টুরেন্টে খেতে হতে পারে। সেটা সাধারন দিনে সাধারন কারও সাথে হোক কিংবা বিশেষ কোন দিনে বিশেষ কার সাথেই হোক। কখনো ভিন্নতা আনার জন্য হলেও আমরা পরিবার অথবা বন্ধুদের সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে থাকি। আপনি যদি স্বাভাবিক ওজন এবং স্বাস্থ্যের কেউ হয়ে থাকেন তাহলে খাবারের ক্ষেত্রে একটু কম বেশি আপনার উপর কোন প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু আপনি যদি একজন ডায়েটার হয়ে থাকেন কিংবা নিজের ওজনের ব্যাপারে সচেতন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উপর প্রভাব পড়ুক আর না পড়ুক কিছু ব্যাপারের দিকে লক্ষ্য রেখেই আপনাকে খাবার গ্রহন করতে হবে। আর সেই ব্যাপার গুলো নিয়েই আজকের এই আয়োজন।
১) কার সঙ্গে যাবেনঃ
কার সঙ্গে বলতে আপনি যার সাথে রেস্টুরেন্টে যাবেন তাকে বোঝাচ্ছি। আর এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম হল আপনারই মত একজন যে স্বাস্থ্য সচেতন এবং ডায়েট করছে। কিছু গবেষণার ফলাফল, আপনি যদি অনিচ্ছা থেকে কারো সাথে রেস্টুরেন্টে যান, তাহলে অনিচ্ছা থেকেই আপনি অনেক খাবার খেয়ে ফেলেন। আর তাই, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাইরে খেতে যাওয়া উচিৎ হবে না। আর আপনার যদি খাদ্যরসিক কোন বন্ধু থাকে আর সে যদি আপনাকে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার অফার করে, তাহলে আপনি তাকে ভিন্ন কোন অফার করুন। যেমন একসাথে কিছুক্ষণ হাঁটা, কফিশপে কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়া কিংবা বসে বসে রিক্সার চাকা গণা।
২) কি পড়ে যাবেনঃ
এই টেকনিকটা একটু অদ্ভুত কিন্তু খুব ভাল কাজ করে। স্বাভাবিক অবস্থায় আপনার কোমড়ের সাথে পুরোপুরি ফিট হয় এরকম কোন প্যান্ট কিংবা পায়জামা পড়ে খেতে যান। খেতে খেতে যখন একটু অস্বস্থি অনুভব করবেন , তখন বুঝবেন এটি আপনাকে জানাতে চাচ্ছে, “যথেষ্ট খেয়েছ, আর না”। আর আপনি যদি ডায়েটের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক হয়ে থাকেন তাহলে এই পদ্ধতি আপনার জন্য ফলদায়ক হবেই।
৩) হালকা ব্যায়াম করে নিনঃ
গবেষণায় দেখা গেছে, রেস্টুরেন্টে যাওয়ার আগে আপনি যদি হালকা ব্যায়াম করে নেন তাহলে টা স্বাস্থ্যকর খাবার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। এবং একটি বিষয় অবশ্যই নিশ্চিত করবেন, আপনি যাতে খুব বেশি ক্ষুধার্ত না হন। সেক্ষেত্রে এসব টেকনিক খাটানোর মত মানসিক অবস্থায় আপনি থাকবেন না।
৪) যা কিছু খাবেনঃ
রেস্তুোরা গুলোতে কি ধরনের খাবার থাকে তা আপনার জানা আছে। আর ভাল মানের রেস্তোরা গুলো তাদের ওয়েবসাইটে মেন্যুলিস্ট দিয়ে রাখে। সেখান থেকে আগেই নির্বাচন করে রাখুন আপনি কি খাবেন। আর এক্ষেত্রে অবশ্যই ক্যালরির প্রতি খেয়াল রাখবেন। কোন খাবারে কতটুকু ক্যালরি আছে তা খুব সহজেই গুগল থেকে জেনে নিতে পারেন। সেদ্ধ করা খাবার গুলোকে প্রাধান্য দিতে পারেন। আর ডুবো তেলে ভাজা খাবার পরিহার করাই উত্তম।
৫)জানালার পাশে বসুনঃ
খোলা জায়গা কিংবা জানালার পাশে বসা আপনার জন্য পজেটিভ হতে পারে। ডায়েট এক্সপার্ট ব্রায়েন ওয়ানসিঙ্কের মতে, যখন আপনি অন্ধকার কোন রুম কিংবা টেলিভিশনের সামনে খাবার খান তখন আপনার ক্যালরির গ্রহন যোগ্যতা বেড়ে যায়। দেখা গেছে জানালার পাশে যারা বসে, তুলনামূলক ভাবে তারা বেশি স্বাস্থ্যকর খাবারের অর্ডার দিয়ে থাকে। এই পদ্ধতি আপনার জন্য নাও খাটতে পারে, তবে জানালার পাশে বসতেতো ক্ষতি নেই।
৬)ডেজার্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রেঃ
খাবারের সাথে সফট ড্রিংক কিংবা আইসক্রিম নেয়া যেতে পারে। এবং অবশ্যই দুটো একসঙ্গে নয়। এগুলোতে পুষ্টি শুন্যের কাছাকাছি এবং ক্যালরি যথেষ্ট বেশি থাকে। তবে বিশেষ দিন গুলোতে কালে ভদ্রে দুএকবার খেলে তা আপনার ডায়েটে প্রভাব ফেলার কথা নয়।
আর অবশ্যই মনে রাখবেন ডায়েট মানে নিজের ইচ্ছাকে জলাঞ্জলি দেয়া নয় বরং নিজের দরকারকে প্রাধান্য দেয়া।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
তথ্যসুত্রঃ
Info: http://bit.ly/1NIWAh4
Photo: http://bit.ly/21lkMse