দোকান থেকে বাসায় ফেরবার পথে দেখা হয় এক সময়কার বন্ধু তপনের সঙ্গে। হাতে -হাত মিলিয়ে, বুকে- বুক মিলিয়ে, ভালো আছি, ভালো আছো? দুটো কথা শেষ করে তপনের কাছ থেকে বিদায় নেই।
তপন অন্ধকার জগতের মানুষ! শহরের চোখে সে মাগির দালাল। তপনদের মতন নপুসংক বিকারগ্রস্ত কিছু মানুষ শহরের রাতের দোকানদার। দিনের আলোয় তারা মানুষের চোখে ফেরেশতা। এক ভরা জ্যোৎস্নার রাতে আমাকে তার ব্যবসার সঙ্গে থাকতে বলেছিল। আমি মনে মনে বড় করে , বাঞ্চত, তোর মত বন্ধু দু-একটা না থাকলেও জীবন চলবে রে বলে গালি দিয়ে বিদায় নিই সেদিন।
সময় বুঝে এই শালা কেউ খুন করবো। ও আমার মন ধর্মের বাহিরে। এই শহরের বুকে কোন "বাঞ্চত" কে বাঁচতে দিবেনা কাইকর। কাইকরের মন ধর্মে মনুষ্যত্বহীন ও বাঞ্চতদের মতো মানুষদের বেঁচে থাকবার কোনো প্রকার বিধান নাই।
আমি অবাক হই তাদের দেখে! যারা তপনের মত দোকানদারদের খরিদ্দার। ঘরে বউ রেখে এসে নিজের মেয়ে বয়সী নারীর সঙ্গে মেলামেশা করে। এরা কেমন পুরুষ? সুযোগ পেলে এদেরও পুরুষাঙ্গ কেটে কেটে নদীর বুকে ঝুলিয়ে দেব, ভাসিয়ে দেব। এ শালাদের পাপী পুরুষাঙ্গ দেখে ঘেন্নায় নাক কুচকাবে নদীর বুকের উপর দিয়ে উড়ে বেড়ানো ধারালো কাকের দল। শালারা তাহলে কেমন পুরুষ? কেমন ওদের পুরুষত্ব?
বাসায় এসে ছাদের কার্নিশে বসে, সাদা বেনসন সিগারেট টানতে টানতে পবিত্র আকাশের দিগে তাকিয়ে কিছুক্ষণ ভাবলাম, পৃথিবীতে কিছু কিছু পুরুষের সত্যিই পুরুষাঙ্গ থাকতে নেই।
~ বহুরূপী কাইকর ( উপন্যাস )
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২০