
মনচোর
চোর করবে চুরি, এই তার ধর্ম।
হাজার জনের চুরি করা ধন- এই তার কর্ম।
জানেনা চোর, কার কি করল চুরি;
কন্যার মূল্যবান মন হল চুরি।
আদরের ঐ মন খানা হারিয়ে কন্যা দিশেহারা।
চোর বলে, “আমি কেন সে দুখ জাগানিয়া চিন্তায় দেব সাড়া।”
কন্যা শুধায়, “পারো যদি ফিরিয়ে দাও আমার মন, তোমার মনের সাথে বেঁধে।”
পাজি চোর বলে, “পারবেনা বেঁধে রাখতে ঐ মন, যখন আমি ছেড়ে যাব চলে।”
কন্যার দরদী আবেদন, “ছেড়ে যাবে চলে?
শুধু এইটুকু বলি, তবে যেন আর করোনা কারও মন চুরি!”
মনচোর বলে, “মানি না, বুঝিও না; মন-টন চুরি।
শুধু জানি সবার সবচেয়ে দামি জিনিস আমি করি চুরি।”
কন্যা শুধায়, “কি করে বোঝাই,
ঐ বেখেয়ালি মনটাই হল সবচেয়ে দামি।
মানুষ বাঁচে না মন ছাড়া। ও মনে থাকে মানুষ। মায়া, থাকে ভালোবাসা।”
মনচোর মনে মনে কয়, “ ও কন্যা!
কখনো ভাবি নাই এসব কিছুই আমি, তুমি বলার আগে।
ধীক আমায়! কেন করি আমি ওমন মহা মূল্যবান মন চুরি! ”
** শীতের জরাজীর্ণ ভেদ করে বসন্ত! ঝরাপাতা গুলো ক্লান্ত! কুঁড়ি গুলো মাথা বাড়াতে শুরু করেছে। আজ হঠাৎ ই আকাশ কালো হয়ে, দমকা বাতাস শেষে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল!! চারদিকে যেন এক আসন্ন প্রশান্তি!!
তখন ছিল অফ পিরিয়ড। দোতলায় নিজের আফিসের জানালা দিয়ে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছিলাম। হঠাৎ দেখি কলেজের ফাস্ট ইয়ারের একটা মেয়ে আমার মতোই জানলা দিয়ে বেঞ্চে মাথা রেখে আকাশ দেখছে, আর হাসছে!
আমি ষোড়শীর এই হাসির মানে জানি না। কিন্তু মনে হল, বৃষ্টিস্নাত এই বসন্তে আনাগত কোন সুখ কল্পনায় সে হাসছে। "মনচোর" একান্তই বসন্তের এলেবেলে কথন। ছন্দ, তাল, লয়, গদ্য, পদ্য আমি কিছুই জানি না। এ শুধুই এলেবেলে কথন।