চেয়েছিলে-
মানুষ এক ফিরে আসি ত্রিবেণীর ঘাটে,
হৃদয়ের আঁচে,
পতনোন্মুখ কম্পমান পর্বতের মুখ,
অব্যক্ত সুখসুরে কথা বলুক।
কেউ কেউ- কখনো ফিরেনা আর
যে মানুষগুলো পাখি হয়ে যায়।
দেহধরণীর অতৃপ্ত বাসনার ফেরে
আহূত মানবিক পাখি
যদিও হঠাৎ আছড়ে পড়ে,
মানুষ হবার সাধ জাগেনা আর-
আমি নয়নচকোর,
হাজার বছরের তিয়াস চোখে জেগে থাকা- এক অন্ধ।
পৃথিবীর বুকে শেষ জোছনা দেখার আশায় বার বার ফিরে ফিরে আসি।
ভাঙ্গনঃ
ত্রিবেণী- শব্দটি বাউলিজমে অধিক ব্যবহৃত, এই মত অনুযায়ী এটি নারী দেহের পবিত্র অঙ্গ, যা মূলত মানবের পৃথিবীতে উন্মোচনের পথ এবং জন্ম-মৃত্যুর ফের- এই দুনিয়ায় আসার একমাত্র পথ। নয়নচকোর- এক ধরনের পাখি, যারা জোছনা পান করে আত্মতৃপ্তি লাভ করে বলে প্রচলিত রয়েছে।
এই পদ্যটুকু আমি আগেও প্রকাশ করেছিলাম, 'নিখোঁজ' শিরোনামে। অথচ নিখোঁজ শব্দটির চেয়ে বরং এই পদ্যে আত্মপরিচয়েরই অধিক প্রকাশ রয়েছে। পদ্যটুকুর সংস্কার চলছে। সংস্কার অবস্থাতেই প্রকাশ করা হলো। নিখোঁজ শিরোনামে যা নিখোঁজ, প্রকৃত অর্থে তা-ই ব্লগলেখকের পরিচয়। সে অর্থেই 'বায়োডাটা' শিরোনামটিই বরং বেশি যুতসই বলে বোধ হলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৫