ইচ্ছে হতেই, পাখি হই;
উড়ি স্রোতের সমান্তরাল;
বাতাসের শরীরে মিশে, ভেসে বেড়াই।
নৌকার প্রস্থে শরীর বিছিয়ে দেখি,
নদী-পাড়ের বায়োস্কোপ।
বৃক্ষ সারি সারি।
মেঘে-রোদে লুকোচুরি।
আলো-ছায়ার অবয়বে পরিচিত নারী।
চালকযন্ত্রের শব্দ কানে বাজে, যেন;
পুথি পাঠক, চিত্রকল্পের বর্ণনাকারী।
হায়! নদীর ধারে সান্ধ্য-স্নানে এক গেরুয়া নারী,
ডলিয়া ডলিয়া শরীর, আহা! করিছে বাড়াবাড়ি”
ইচ্ছে হতেই, মুক্ত হই জলে;
স্নানদেহে বয়ে চলি, বাধা দিল শারীরিক ভাঁজ।
নারীর অজান্তে তার হাত ছুয়ে পৌছে যাই,
অচেনা দেহখাঁজ।
ইচ্ছে হতেই, মিশি জলস্রোতে,
গোধুলির চোখে দেখি একাত্বতা,
সূর্য-জলে।
খুঁজে পাই আমাকে,
ইচ্ছের স্বাধীন বয়ে চলা জলে,
পাখি হয়ে স্রোতের সমান্তরালে,
ভেসে বেড়াই মুক্ত ইচ্ছের প্রকৃতিতে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৮