মরার জন্যে সবে, গত নিশীতে, কবিতার একটা কান ধরেছি কী
বিরহী মাটির বুকে ওমনি হুড়মুড়িয়ে পড়লে যেন কালবোশেখী!
আনন্দে আনন্দে উঠালে "মাতম" জানালার পাল্লায়,
আম-কাঁঠালের ডালে-বাকলে, সে কী নাচনে-কাঁদনে; পেল্লায়!
দীর্ঘ-শ্বাসের পরে পুতে ফিরলে যেন মায়ের বুকে--
সাথে ওই আকাশের 'দ্রুম দ্রুম' ব্যান্ড বাজনাতে
আলোর ঝলকানি, আতশবাজিতে উঠেছে ফুঁসে থেকে থেকে।
থমকে রইলে কবিতার দোয়াত-কালি__
কী আর বলি … হা-করে রইনু চেয়ে।
প্রকৃতির অপ্রতীম সুষম তাণ্ডব; খামখেয়ালি!
'দ্রুম' ত্রাসে সমিতির সৌদামিনী কোথায় যে লুকালে
সেই যে গেলে;
পরদিন বিকেলের আগে আর দেখালে না মুখ
ফোনের নেটওয়ার্ক আছে চোখ বুজে, মরার ভান করে 'চুপ'
'হাটের-হাঁড়িতে-বসে-বিচ্ছিন্ন-হওয়া'__সে কী অশান্তির রূপ!
ঝাড়ফুঁকে গেছে দিন কয়। তাতে কী আর কাজ হয়! ফোনে জাগেনি
ডাক্তারে যে নেবে, বিল মেটাবে সেও তো এখনো পকেটে আসেনি।
অগত্যা, হাতুড়ে কোবরেজ দি'ছে কিছু-ফরমেস, সবটা তো সারেনি
এক চোখ খুলে, 'ভম ভম' বোলে, অন্যটা অফ
ওই চোখ খুলে তো এই চোখ বুজে, এ জ্বালা কাব তাক?
মুসিবতে মাহফিল শুনিতে খাল-বিল পেরিয়ে কত এলো একসাথে
শেষ? __না না, শেষ নয়। আছে খান কয়। তারপরে রাতে
কুনফু পাণ্ডা দেখেছি তিন-কম-গণ্ডা।__ শেষ হতে নাহি হতে
ব্যথায় গড়েছে বাসা মাথাতে।
অদ্যাবধি চলিতেছে!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭