লিখার জন্য একটা নাম খুঁজতেছিলাম, নাম পেয়েছি, মায়াবতীর নাম হবে চিত্রা। হুমায়ুন আহমেদ লিখেছিলেন "আজ চিত্রার বিয়ে" আমি লিখবো "পরশু চিত্রায় বিয়ে" কারণ ২২-০২-২২ তারিখটা সুন্দর। এটা আমার কথা না, এটা চিত্রার কথা। আমার জন্মদিনের তারিখটাও বাইশ, অংকে ২২, যদিও মাসটা ভিন্ন, ডিসেম্বর। এর চেয়ে বড় প্রতিশোধ চিত্রা নিতে পারেনা। তবুও উপন্যাসের নায়িকা চিত্রা। এ উপন্যাসের কোনো নায়ক নেই, নায়ক হলো ভিলেন।
ল্যাবএইডে বসে আছি, চারপাশে অনেক রোগী। এর অবশ্য একটা সুবিধা আছে। পাশে রোগীরা থাকলে মন ভার ভার লাগে, লেখার মাঝে কোন কার্পণ্য থাকেনা, লেখার খুব গভীরে যাওয়া যায়। হাসপাতালের প্রতি আমার টান অনেক বেশি, বাসায় থাকতে আমার ভালো লাগেনা, ইচ্ছে করে সারাদিন হাসপাতালে পরে থাকি। ভেবেছিলাম চিত্রা বলবে, ডাক্তার সাহেব আপনি আমার জন্য দু'ফোটা চোখের জল ফেলেছেন, বিনিময়ে আমি আপনার জন্য সারাজীবন কাঁদিবো। কিন্তু হলো উল্টো, হাসপাতালের নেশায় চিত্রার সাথে দূরত্ব বেড়ে গেলো, চিত্রাও ভেবে নিলো আমি আর ফিরবোনা৷
চিত্রা মিথ্যা কথা বলেছে, বিয়ে সে ডিসেম্বরেই করেছে। হয়তো তারিখটা ঠিক কিন্তু মাসটা ভুল বলেছে। চিত্রা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে মিথ্যা বলতে পারেনা, তাই নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলো।
রঙের নাম সম্পর্কে আমার তেমন কোনো ধারণা নেই। হিমু হলুদ রঙের পাঞ্জাবি পড়তো। আমি হলুদ পড়িনা, আমার পাঞ্জাবির রং সি গ্রিন, বাংলায় সবুজ সমুদ্র।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:১৬