একবার আফ্রোদিতির সাথে স্বর্গে বসে গান শুনছিলাম। হঠাৎ চাঁদের আলো আফ্রোদিতির মুখের উপর এসে পড়লো। আমি সেই রূপে মুক্ত হয়ে সৌন্দর্য ও প্রেমের দেবী আফ্রোদিতিকে নিয়ে একটা কবিতা লিখে ফেললাম। কবিতায় মুগ্ধ হয়ে আফ্রোদিতি আমার মন তার জন্য ভালোবাসায় ভরে দিল।
কিন্তু এথেনার তা পছন্দ হলো না। এথেনা ছিল সাহিত্যের দেবী, সে কোনভাবেই আফ্রোদিতিকে নিয়ে আমার কবিতা লিখাটা সহ্য করলো না। এথেনা ভাবলো যেহেতু সে সাহিত্যের দেবী সেহেতু আমার সকল কবিতা হবে এথেনাকে নিয়ে। তাই এথেনা ছুটে গেল এরিসের কাছে। এরিস ছিল ঝগড়ার দেবতা। এরিস ষড়যন্ত্র করে আফ্রোদিতির সাথে আমার ঝগড়া বাধিয়ে দিল। ফলে আফ্রোদিতি আমাকে ছেড়ে চলে গেল, অন্যদিকে সাহিত্যের দেবী এথেনা আমার সাহিত্য চর্চার অধিকার কেরে নিল। হতাশ হয়ে আমি ছুটে গেলাম এপোলোর কাছে, এপোলো ছিল সত্যের দেবতা। এপোলো রাজি হলো আফ্রোদিতিকে সব সত্য বলার জন্য। কিন্তু মৃত্যুর দেবতা হেডিসের সাথে এরিসের ভালো বন্ধুুত্ব ছিল। ফলে হেডিস এপোলোকে মৃত্যুর ভয় দেখালো। তাই এপোলো আর কখনো আফ্রোদিতিকে সত্যটা বললনা।
এরপর থেকে আমি আর আর্থেমিসের সাথে কথা বলিনি। আর্থেমিস ছিল চাঁদের দেবতা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩০