সকাল আনুমানিক ৯ টা,সবে মাত্র ঘুম ভাঙল।
মোবাইলটা হাতে নিতেই দেখি টুকটুকির
মেসেজ।
[টুকটুকি চারু'র রুমমেট, চিকন করে লম্বা এই
মেয়েটির সাথে সপ্তাহে তিনদিনই চারু'র কথা বলা
বন্ধ থাকে।এই তিনদিন টুকটুকির মহাভারত অশুদ্ধ হয়।
তারপর চতুর্থ দিনে এসে শুনি নিবেদিকা
হোস্টেলে টুকটুকিই চারু'র সবচেয়ে কাছের
মানুষ।]
,
মেসেজটা পাওয়ার সাথে সাথেই আমি মনিপুরী
পারা চলে গেলাম। চারু'র শরীর খারাপ,খুব জ্বর।
,
টুকটুকি চারুকে ধরে ধরে বাহিরে নিয়ে আসল। এই
প্রথম চারু'র চোখে কাজল ছিল না।বড় বড় দু'টি
চোখের চারপাশটা ভীষণ কাল হয়ে আছে।
কোমল দু'টি নয়ন মেলে চারু যখন আমার দিকে
তাকাল, আমি সাথে সাথে আমার চোখটা ফিরিয়ে
নিলাম। এই মেয়েটাকে যে আমি পৃথীবির
সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি, আমি কি করে চারু'র
কষ্ট সহ্য করতে পারি, চারু'র এই অবস্থার জন্য যে
আমিই দায়ী।
,
টুকটুকি কে বললাম : আপাদত চল আল জাজিরা তে
নিয়ে যাই।বিকেলে না হয় আরো ভালো ডাক্তার
দেখানো যাবে। [[আল রাজি হাসপাতালটাকে
সবসময় ভুল করে আমি আল জাজিরা বলি,,, প্রতিবারই
চারু মুচকি হেসে বলে :-আরে গাধা আল জাজিরা না,
ঐটা আল-রাজি]] কিন্তু আজ চারু কিছু বলতে গিয়েও
বললনা। গত দু'দিন হল চারু'র সাথে আমার কথা হয়না।
শেষের দিনগুলো এমনি ছিল, খুব দ্রুত সব কিছু
হারিয়ে যাচ্ছিল। শেষের কোন একদিন চারু
আমাকে বলল:- আমাকে ছাড়া বেচে থাকতে
পারবি??
,
আমি বললাম:- না,,,,,,,
,
চারু' বলল:- তাহলে আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছিস
কেন???
,
আমি বললাম :- তোকে ছাড়া বেচে থাকার জন্য
চলে যাচ্ছি,,,,,,,
,
চারু বলল :- আচ্ছা চলে যা কিন্তু একা একা কান্না
করিসনা!!!!
,
আমি বললাম:- দেখ আমি হাসতেছি,,,
,
[[[দু'চোখে সেদিন সাগর সমান জল ছিল
চারু'র,,,আমি সে জলে এখনো নৌকার পাল তুলি]]]