ভার্টিগো
১৯৫৮ সালে মুক্তি পাওয়া আলফ্রেড হিচককের সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। নেক্রোফিলিয়া-র মতো ইস্যু আছে এখানে। 'রিভার্সাল অব ফরচুন' বলতে যা বুঝায় এ সিনেমাটির ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। মুক্তির পর দর্শক-সমালোচকদের মন কাড়তে ব্যর্থ হয়, হিচকক বাজার থেকে তুলে নেন এটিকে। টিভিতে মাঝে মধ্যে দেখানো হতো। আশির দশকে এর ভিন্নভাবে পুনর্মূল্যায়ন হতে থাকে। বর্তমানে সমালোচকদের দৃষ্টিতে এটি পৃথবীর সেরা সিনেমা। এটি সুররিয়েলিস্ট মুভি কিনা সেটি নিয়ে বিতর্ক আছে।
সিটিজেন কেইন
১৯৪১ সালে মুক্তি পায় ২৬ বছর বয়েসী আনকোরা পরিচালকের প্রথম সিনেমা। তার দশ বছরের মাথায় বিশ্বের সেরা সিনেমা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে এটি এবং সে অবস্থান ধরে রাখে পরবর্তী ৫০ বছর, ২০১২ সালে ভার্টিগোর কাছে অবস্থান হারানোর আগ পর্যন্ত। কী আছে এই সিনেমাতে? কী নেই এতে, ফিল্ম মেকিং শিখতে এর চেয়ে ভাল কোনো সিনেমা আছে বলে মনে হয় না। বলা হয়ে থাকে অরসন ওয়েলেসের পর সিনেমা খুব বেশিদূর আগায় নি, কথাটা মিথ্যে নয়।
দ্য গডফাদার
মারিও পুজোর একই নামের বই অবলম্বনে, শেক্সপীয়ারের কিং লীয়ারের আদলে ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা একটি গ্যাংস্টার পরিবারকে নিয়ে তৈরি করেন এই সিনেমা। দর্শক-সমালোচক সবার কাছে এখনো সমান জনপ্রিয় ১৯৭২ এর এই মাস্টারপিস।
টোকিও স্টোরি
ইয়াসুজিরো ওজু-র জাপানী প্রবীণ দম্পতি, ছেলেমেয়েদের সাথে তাদের সম্পর্ক, ছেলেমেয়েদের জীবন - এই সব সাধারণ গল্প নিয়ে অসাধারণ এক সিনেমা। ওজু গল্প বলেন ভিন্নভাবে, প্রচলিত ঘরানার বাইরে, নিজস্ব এক সিনেম্যাটিক স্টাইলে। কতটা ভিন্ন, বিচিত্র এবং কাব্যিক ওজুর এই সাধারণ গল্প তা জানতে হলে আপনাকে সিনেমাটি দেখতে হবে।
এপোক্যালিপ্স নাউ
ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা-র আরেকটি মাস্টারপিস, ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে। যোসেফ কনরাডের হার্ট অব ডার্কনেস অবলম্বনে তৈরি। যুদ্ধ নিয়ে তৈরি খুব সম্ভবত সেরা মুভি। সময়ের সাথে সাথে এর সুখ্যাতিও বেড়ে চলছে। একসময় হয়তো গডফাদারকেও ছাড়িয়ে যাবে।
রিয়ার উইন্ডো
ভয়্যারিজম এর সাথে সাসপেন্সকে মিলিয়ে দুর্দান্ত একটি সিনেমা এটি। স্ক্রিনপ্লে এবং চিত্রায়ন অসাধারণ। টেকনিকালি যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং একটি সিনেমা।
লা গ্র্যান্ড ইল্যুশন
এটাও যুদ্ধের ছবি, তবে ফোকাসটা মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের, ইউরোপের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর ইউরোপে প্রেক্ষাপটে রেখে তৎকালীন রাজনীতি ও আদর্শের ক্রিটিক রেনোয়া-র এই মুভি।
ইন দ্য মুড ফর লাভ
এই শতকের অন্যতম সেরা সিনেমা হিসেবে বিবেচিত ওং কার ওয়াই পরিচালিত ২০০০ সালের এই সিনেমাটি। দু'জন প্রতিবেশী সন্দেহ করে একজনের স্বামী অন্যজনের স্ত্রীর সাথে সম্পর্কে জড়িত। তারা নিজেরাও একে অপরের প্রেমে পড়ে যায় কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয় সম্পর্কটিকে প্লেটোনিক রাখার।
চিলড্রেন অব প্যারাডাইস
এক সুন্দরী বারবিলাসিনীর প্রেমে পড়ে যায় চার পুরুষ। ১৯৯৪ সালে ফরাসী চলচ্চিত্র সমালোচকদের ভোটে সেরা ফরাসী সিনেমা নির্বাচিত হয় এটি। সিনেমার শুটিং হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে।
ভিরিডিয়ানা
বুনুয়েলের মাস্টারপিস, তার সেরা সিনেমা বললেও অত্যুক্তি হবে না। এক তরুনী নান তার একমাত্র জীবিত আত্মীয়, বিপত্নীক চাচাকে দেখতে তার বাড়ী যায়। চাচা তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে এবং পরে আত্নহত্যা করে। নানা ঘটনায় তরুনীর চার্চে ফেরবার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৬১ সালের কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নেয় এটি। স্প্যানিশ সেন্সর বোর্ড সিনেমার শেষ দৃশ্য নিয়ে আপত্তি তুললে বুনুয়েল তা বদলে দেন এবং সেন্সর সনদও পেয়ে যান। কিন্তু পরিবর্তিত দৃশ্যটি আরো বেশি সাহসী কারণ তা ménage à trois এর ইঙ্গিত দেয়।
দ্য জেনারেল
বাস্টার কীটনের নির্বাক মাস্টারপিস। ইউনিয়ন গুপ্তচররা এক ইঞ্জিনিয়ারের প্রিয় ইঞ্জিন চুরি করলে সে একাই তা উদ্ধার করতে এক দুঃসাহসী অভিযানে নামে।
দ্য ডিসক্রিট চার্ম অব দ্য বুর্জোয়াজি
৬ জন মধ্যবিত্ত নারী-পুরুষ একসাথে খাবার খেতে চায়, সব সময়ই কোনো না কোনো বাধা আসে। মোটামুটিভাবে প্লটলেস এবং সুররিয়েল মুভি। বিদেশী ভাষার সেরা সিনেমার অস্কার জিতে নেয় এটি ১৯৭২ সালে।
সেলিন এন্ড জুলি গো বোটিং
রহস্যজনকভাবে সম্পর্কিত দুই তরুণীর গল্প। তাদের দৈনন্দিন জীবন শুরু হয় একটি অদ্ভুত ঘটনা দিয়ে। তার সাথে সমান্তরাল চলতে থাকে বাস্তবতা।
ডে ফর নাইট
একজন নিবেদিত চলচ্চিত্র পরিচালক তার সিনেমার শুটিং শেষ করতে হিমসিম খায় - সিনেমার কাস্ট এবং ক্রুদের ব্যক্তিগত, প্রফেশনাল ইত্যাদি জটিলতার কারণে। ১৯৭৩ এ সেরা বিদেশী সিনেমার অস্কার পান।
এম
ফ্রিত্স ল্যাং এর কালজয়ী সিনেমা। জার্মান শহরের পুলিশ যখন একজন সিরিয়াল শিশু-খুনীকে ধরতে ব্যর্থ হয়, অন্যান্য অপরাধীরাও যোগ দেয় তাদের সাথে।
একটি ত্রিভুজ প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো দুই নারী ও এক পুরুষের গল্প। মুক্তির পর বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল।
দ্য শপ এরাউন্ড দ্য কর্নার
একটি উপহার সামগ্রীর দোকানের দুই কর্মচারী দু'চোখে দেখতে পারেনা একজন আরেকজনকে। বুঝতেও পারে না পত্রমিতারুপে তারা আসলে প্রেমে পড়ে গেছে।
পিয়েরো লে ফো
পিয়েরো তার একঘেঁইয়ে সমাজ থেকে পালিয়ে যায়। প্যারিস থেকে ভূমধ্য সাগরে ভ্রমণ করে সে, সাথে এক নারী সঙ্গী যাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে আলজেরিয়ান হিটম্যানরা।
দ্য ম্যান হু শট লিবার্টি ভ্যালানশ
একজন সিনেটর, যিনি এক দুর্ধষ আউট ল - কে হত্যার জন্য বিখ্যাত, এক পুরনো বন্ধুর সৎকারের জন্য সস্ত্রীক আসেন। তিনি বলেন প্রকৃত ঘটনা যা কাউ জানেনা।
সিটি লাইটস
ভবঘুরে প্রেমে পড়ে যায় এক অন্ধ ফুলওয়ালীর। এক মাতাল ধনী বন্ধুর সাহায্যে সে মেয়েটির অন্ধত্ব ঘুচাতে উদ্যোগী হয়। সবাক যুগে করা চ্যাপলিনের নির্বাক ক্লাসিক।
আপলোড লিমিটের কারণে ছবি আপলোড করা যায় নি যে দুটো সিনেমারঃ
ব্যারি লিন্ডন
উগেতসু মনোগাতারি
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩১