পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন নেয়ার প্রথা বাতিল কি কোন রাজনৈতিক সরকার করতে পারতো? অবশ্যই না; কারণ, তাতে পুলিশ বাহিনী ক্ষেপে যেতো। পুলিশ ক্ষেপিয়ে কি বাংলাদেশে রাজনীতি করা যায়?
অফ দ্যা রেকর্ড আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশে পুলিশ ভেরিফিকেশন মানেই চার-পাঁচ হাজার টাকার এক অদৃশ্য খরচ। টাকা দিলে দাগি ক্রিমিনালরাও ক্লিন রেকর্ড পেয়ে যায়, আর তা না দিলে ক্লিন রেকর্ডের মানুষকেও মাসের পর মাস এমনকি বছর ধরে পুলিশ রিপোর্টের অপেক্ষায় থাকতে হয়।
তথাকথিত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ দিলেও কোন সুফল পাওয়া যায় না। কারন, ঘুষের টাকার ভাগ সব মহলেই যায়। এক জরিপে জানা গেছে, কেবল ঘুষের এ খাত হতেই পুলিশের উপরি আয় ছিল বছরে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।
অপ্রয়োজনীয় পুলিশ ভেরিফিকেশন নেবার এই প্রথা বাতিল করার জন্য প্রফেসর ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিশেষ অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা। আশা করি, রাজনৈতিক দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে প্রফেসর ইউনুস এমন আরো কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন যা রাজনৈতিক সরকারগুলো করতে সাহস পায়না।