১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫। হাসিনার সেই কুখ্যাত আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে ভারতীয় সাংবাদিক অর্ক দেব সেখানকার একটি ইলেকট্রিক চেয়ারের ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন -
‘এই চেয়ারটা দেখে রাখা জরুরি। ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনার আয়নাঘরের একটি কক্ষে রাখা এই চেয়ার (আগারগাঁও অঞ্চলে)। ‘হাই ভ্যালু’ বন্দিদের ইলেকট্রিক শক দিতে ব্যবহার হতো এই চেয়ার। ডিজিএফআইয়ের কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) এই আয়নাঘরের দায়িত্বে ছিল। সারাক্ষণ একজস্ট ফ্যান চলত এই ঘরগুলোতে, ফ্যান বন্ধ হলেই কান্না আর গোঙানির শব্দ শুনতে পাওয়া যেত। আর কিছুক্ষণ। আজ থেকে গোটা বিশ্ব আয়নাঘরের সব ছবি দেখবে।’
কেবল বাংলাদেশ নয়, ভারতীয় সাংবাদিকদের বিবেকেও নাড়া দিয়েছে এই আয়নাঘর। আশা করি, মোদী অচিরেই বাস্তবতা মেনে নিয়ে বিচারের জন্য হাসিনাকে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন।
একইসাথে আশা করবো, প্রফেসর ইউনূসের সরকার যেন খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের উপযুক্ত বিচার শেষ না করে সরকারের দায়িত্ব না ছাড়েন। কেননা, রাজনৈতিক সরকার চাইলেও এ অতি প্রয়োজনীয় বিচারকাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবে না। বিচারের উদ্যোগ নিলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে বিরোধীদল দমনের।