কানাডা-আমেরিকায় সরকারি অফিসের প্রায়সব সেবা/সার্ভিস বাসায় বসে অনলাইনে নেয়া যায়।
কোন কারণে সরকারি অফিসে কাউকে যেতে হলে হয়রানির তো প্রশ্নই আসেনা, বরং কর্মচারী/কর্মকর্তা নিজেরা সেবাগ্রহীতার কাছে ছুটে এসে যতোদ্রুতসম্ভব কাজ করে দেন। অনেক অফিসে কফি দিয়ে হালকা আপ্যায়নের ব্যবস্থাও দেখা যায়।
বিসিএস-নন বিসিএস, ক্যাডার-নন ক্যাডার, ১ম শ্রেণী, ২য় শ্রেণী, ইত্যাদি বৈষম্য দেখা যায়না। সবাই কর্মচারী বা কর্মকর্তা। কেউ কাউকে স্যার সম্বোধনেও বাধ্য নয়। তারপরও সবকিছু চলে যথানিয়মে।
অফিসের শীর্ষকর্তা ঘুরে ঘুরে দেখেন সেবাগ্রহীতাদের কেউ সেবা পেতে বেশি দেরি হচ্ছে কিনা। প্রয়োজনে তিনি নিজেও কাজে লেগে যান।
প্রায় দুই যুগের কানাডা জীবনে নানা প্রয়োজনে আমাকে সরকারি অফিসে অন্ততঃ শখানেকবার যেতে হয়েছে। আমার কাছে কেউ কখনো এককাপ চাও খেতে চায়নি, বরং, আমিই খেয়েছি অনেকবার।
তরুণদের নতুন বাংলাদেশের সরকারি অফিস-আদালত প্রযুক্তির সহায়তায় উন্নতদেশের আদলে ঢেলে সাজানো যায় কি?