তারিখঃ ২৮/১১/২০১৭
বরাবর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বিষয়ঃ আসন্ন ১২রবিউল আওয়াল পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জসনে জুলুসের অনুমতি নিয়ে প্রশাসনের তাল-বাহানা প্রসঙ্গ।
জনাবা,
বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে যা স্বাধীন হয়। রেইসকোর্স ময়দানে ৭ মার্চে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রায় ১৯ মিনিট বক্তব্যের অন্যতম চেতনার ও ভরসাস্থল ছিল “রক্ত যখন দিয়েছি আরো দেব তবুও বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করবো ইনশা আল্লাহ”। “ইনশা আল্লাহ” আরবি ও ইসলামী শব্দ, যার অর্থঃ আল্লাহ যদি চান।
আমাদের প্রিয় মাতৃকা বাংলাদেশের ৯২% মানুষ মুসলমান, তারা ধর্ম-কর্ম করতে ভালোবাসেন ও পছন্দ করে। রমজান, শবে কদর, শবে বরাত, শবে মিরাজ, ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দ.), চারদিনা, চল্লিশা, বড়পীরের ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম, গরীবে নাওয়াজের ফাতেহাসহ যাবতীয় ধর্মীয় বিশেষ দিবস ও রজনীগুলো অনেক গুরুত্ব দিয়ে পালন করে থাকে। বিশেষ করে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে জসনে জুলুস, আনন্দ শোভাযাত্রা, শুকরিয়া র্র্যালী, আনন্দ মিছিল করে থাকে। এ উপলক্ষে অনাথ-এতিমদের মধ্যে উত্তম খাদ্য বিতরণ করে থাকে।
আগামী ২ডিসেম্বর’১৭ বাংলাদেশে ১২রবিউল আওয়াল তথা ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে সরকারি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যকে ৩০ নভেম্বর তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে আসছে খ্রিস্ট ধর্মের রোমান ক্যাথলিক শাখার প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। তিনি ২ডিসেম্বর বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।
এ দিকে রাজধানী ঢাকায় ২ ডিসেম্বর জসনে জুলুস উদযাপন করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর কাছে ৬৮’টি সুন্নি দরবার/সংস্থা/সংগঠন/সমিতি আবেদন করেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এখন পর্যন্ত ২ ডিসেম্বরের জন্য একটি জুলুসেরও অনুমতি মিলেনি। পোপের আগমনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার অযুহাতে সকল জুলুসের আবেদনকে “নাকচ” করার কথাও শুনা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, বাংলাদেশে ৯২% মুসলমান আর .৪% খ্রিস্টান তথা প্রতি ১০০০জন মানুষের মধ্যে ৯২০জন মুসলমান আর খ্রিস্টান মাত্র ৪জন। এটা কারোই ভুলে গেলে চলবে না।
অতএব, বিনিত প্রার্থনা এই যে, ১২রবিউল আওয়াল পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জসনে জুলুস বা আনন্দ শোভাযাত্রার অনুমতি প্রদান করে মুসলমানদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের আবেদন করছি।
নিবেদক
মুহাম্মদ মাসুদ পারভেজ
উত্তর সর্তা, রাউজান
ফোনঃ
E-mail:[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫২