somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

parvaj
জিবনটা আসলেই অনেক সুন্দর!এতো বেশি সুন্দর যে, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে।যাহা ভাবি তাহা কেন জানি হয়েও হয় না। স্বপ্ন পূরনে ব্যর্থ হয়ে ঘুরে ফিরি। কবে হবে এর শেষ মরন এলেই বুঝি।

হ্যালোয়েন,ডে অফ সামহিন

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



"৩১ শে অক্টোবর হলো সেল্টিক জাতির বছরের শেষ দিন। এই সেল্টিক জাতি হলো খ্রিষ্টপূর্ব ৭ হাজার বছর পূর্বের অর্থাৎ লৌহযুগের মূর্তিপূজক বর্বর জাতি গোষ্টি। এদের বর্তমান অবস্থান গ্রেট ব্রিটেন ও স্কটল্যান্ডের কিছু অংশে।

তো এই ৩১ শে অক্টোবরকে বলা হয় " ডে অফ সামহীন" । সামহীন হলো মৃত্যূর দেবতা। সেল্টিক জাতির বিশ্বাস অনুযায়ী এই দিনে মৃত্যূর দেবতা সকল মৃতদের আত্মাকে উন্মুক্ত করে দেন, যাতে করে তারা দুনিয়ায় ফিরে আসে, যদি কেউ এইসব মৃতদের জীবত থাকার সময় অন্যায় করে থাকে তবে এই মৃত মানুষেরা আসে তার প্রতিশোধ নিতে, তবে এবার আর ভালো মানুষ হিসেবে নয় শয়তানের শক্তি নিয়ে। এই শয়তানী শক্তি তাদেরকে এতো শক্তিশালী করে যে সেদিন জীবত আর মৃত মানুষের মধ্যে কোন ব্যবধান থাকেনা।

তখন এইসব মৃত শয়তানদের খুশি করার জন্য সামহীন দেবতার পূজা-অর্চনা করা হয়। যেটাকে বলা হ্যালোইন।

আবার খ্রিষ্টান ধর্ম অনুযায়ী এ দিবসের নাম " ডে অফ অল সেন্টস" । ইউরোপ বিশেষ করে স্পেন,নরওয়ে,গ্রেট ব্রিটেনের গির্জার ধর্মযাজকেরা এই দিনে একসাথে মিলিত হয়, তারা বিভিন্ন খ্রিষ্টিয় উপাসনা ও আনন্দ উৎসব করে এই দিনে।

হ্যালোয়েন এ যা যা করা হয়ঃ

ট্রিক অর ট্রিটিংঃ শিশুরা ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের কাছে বিভিন্ন সাহায্য চায়, এটি এ জন্য হয়েছিলো যে তখন "অল সেন্টস ডে" উৎসব পালনের জন্য প্রচুর খাবার দাবার প্রয়োজন হতো,শিশুদের মাধ্যমে তাই ধর্মযাজকদের উৎসবের জন্য খাবার ও অর্থকড়ি সংগ্রহ করা হতো। আমেরিকায় অনেক মুসলমান না জেনেই তাদের সন্তানদের মানুষের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয় চকলেট সংগ্রহের জন্য, সেখানে এমন কোন হ্যালোয়েন নেই যে বার কোন শিশু ধর্ষিত হয়নি কিংবা শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হয়নি।

বাদুর ও কালো বিড়ালের সঙ এ সাজাঃ সেল্টিক জাতির বিশ্বাস হলো বাদুর ও কালো বিড়ালদের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে মৃত আত্মাদের সাথে মিলিত হবার,তাই তারা এ সাজে সজ্জিত হতো। যে বিশ্বাস মুসলমানদের ইমান ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট,কারন আমরা বিশ্বাস করি আমাদের আল্লাহ আমাদের মৃত মানুষদের সাথে দেখা করাবেন শেষ দিবসে।

জ্যাক ও ল্যানটার্নঃ (মিষ্টি কুমড়ার প্রদিপ) কেল্টিক বিশ্বাস অনুযায়ী জ্যাক নামের এক লোক একবার শয়তানকে তার সাথে মদ পান করার জন্য ডাকলেন। শয়তান তার আহবানে সাড়া দিয়ে মদ পান করতে আসলো জ্যাক এর সাথে, মদ পান শেষ করে জ্যাক বললো আমার কাছে তো টাকা নাই তুমি কি নিজে কয়েন হতে পারবে যাতে আমি মদের টাকা শোধ করতে পারি, শয়তান সরল মনে তাকে বিশ্বাস করলো এবং কয়েন হয়ে গেলো, কিন্তু দেখা গেলো জ্যাক তাকে পকেটে ঢুকিয়ে আর বের করছেনা,শেষে শয়তান অনেক অনুনয় বিনয় করতে লাগলো তাকে ছেড়ে দেবার জন্য, জ্যাক তার কথায় রাজি হলো এই শর্তে যে শয়তান আর কখনো তাকে বিরক্ত করবেনা এবং তার মৃত্যূর পর তাকে দাবি করবেনা।

একদিন জ্যাক মারা গেলো স্রষ্টা জ্যাককে স্বর্গে নিতে চাইলোনা কারন সে মদখোর আর শয়তান তাকে নরকে নিতে পারছেনা যেহেতু সে ওয়াদা করেছ,তারপর শয়তান কয়েক টুকরা জ্বলন্ত কয়লা সহ জ্যাককে ছেড়ে দিলো অন্ধকার ঘরে, জ্যাক সেখানে একটা মিষ্টী কুমড়া পেলো যাকে ছিদ্র করে তার ভেতরের সব উপাদান বের করে জলন্ত কয়লা রাখলো এবং অনেক বেশি আলোকিত হলো। সেই থেকে জ্যাক এর আত্মা সারা দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

চিন্তা করে দেখুন এখানে শয়তানকে জাহান্নামের মালিক বানিয়ে দেয়া হয়েছে অথচ এই জান্নাত জাহান্নাম সব কিছুর একক মালিকানা আমাদের মহান রবের।

ইসলাম কি বলেঃ পুরো বর্ননার কোথাও কি গুরুত্বপূর্ন পালনীয় কিছু পেয়েছেন? আসলে পাননি। আপনি কি মুসলিম? তাহলে কি করে আপনি বিশ্বাস করেন বিড়াল বাদুরের সাথে মৃত মানুষের দেখা হয়, আপনি কি করে বিশ্বাস করেন জ্যাক নামের মানুষ শয়তানকে পকেটে বন্দী করে, কি করে আপনি বর্বর মূর্তিপূজক জাতির ঐতিহ্য আপনার বুকে লালন করেন?

এই বর্বর জাতিয়তাবাদকে মুছে দেবার জন্যই তো ১৪ শ বছর আগে আমাদের দয়াল নবী এ দুনিয়ায় এসেছেন,এ অন্ধকার দূর করার করার জন্যই তো তিনি সংগ্রাম করেছেন,তাহলে আপনারা কি করে আবার সে অন্ধকারে প্রবেশ করছেন?

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীঃ “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্য রাখল সে তাদের অন্তর্ভুক্ত”। [আবু দাউদঃ ৩৫১৪]

তাহলে আমরাও কি মুসলিম থেকে বর্বর ক্যালটিক জাতি হতে চাই? প্রশ্ন রইলো মুসলমানের বিবেকের কাছে।"

তথ্যসূত্রঃ
১. http://www.history.com/
২. https://en.wikipedia.org/
৩. http://islam.about.com/
৪.Toby Ibbotson’ Mountwood School for Ghosts
৫.All Things Halloween by natasha
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×