১) মিয়ানমার হচ্ছে চীন ও ভারতের কাছে
১৬ বছরের যুবতী। বাংলা সিনেমার মত, ২ নায়ক,
১ নায়িকা। সুতরাং মায়ানমার বিরক্ত হয় এমন কথা কেউ বলবেনা।
চীনের কাছের মায়ানমার হল এলাকার গার্লফ্রেন্ড, আর ভারত হল বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্লফ্রেন্ড। হিসাব অনেক জটিল।
২) বাংলাদেশ সাবমেরিন কিনেছে চীনের কাছ থেকে।
অন্যদিকে সাবমেরিন ধ্বংস করার থর্পেডো মায়ানমারের কাছে বিক্রি করেছে ভারত।
৩) চীন ও ভারতের মাঝে মাঝেমধ্যে গুতাগুতি লাগে সিকিম,লাদাখ সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে। মানে এই অঞ্চলে সুপারপাওয়ার হিসেব ভারত নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে মায়ানমাকে লাগবেই। তাই মোদি সাহেব মায়ানমার গিয়ে বলেছেন, সন্ত্রাসীদের ছাড় দেয়া হবেনা।
৪) মায়ানমার তার খোলস ছেড়ে বেরিয়েছে, গোপনে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়ে তুলেছে। ধারনা করা হয়, উত্তর কোরিয়া তার গোপন অস্ত্রের অনেক কিছু ই মায়ানমার থেকে বানিয়ে নেয়। যার জন্য এই অঞ্চলে মহড়ার নাম করে আমেরিকান যুদ্ধ জাহাজ পাঠায় যার মুল কাজ গোয়েন্দাগিরি।
৫) ৯৯% মায়ানমারের মানুষকে বোঝানো হয়েছে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি, ARSA বিদ্রোহী গ্রুপ মুলত বাংলাদেশি যারা মিয়ানমারের ২৫ টি পুলিশ স্টেশনে হামলা করেছিল।
৬) মায়ানমারের প্রবেশদ্বার হল আরাকান, যেখানে আধুনিক শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলবে মিয়ানমার সরকার। ব্লু ইকোনোমিক জোন হিসেবে এখানে বিনিয়োগ করবে চীন,ভারত ও পাকিস্তান।
৭) মিয়ানমারে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান বিক্রি করে পাকিস্তান। চীনের সাথে পাকিস্তানের রয়েছে সুসস্পর্ক। বাংলাদেশ বিপদে পড়লে ৩২ টা দাঁতের মাড়ি সহ বের করে হাসবে পাকিস্তান।
৮) তুরস্ক/ইরান এখানে তর্কে জড়াবে না। কিছু ত্রাণ পাঠাবে, দায়িত্ব শেষ। তুরস্কের ফার্স্ট লেডি আসার কারন সৌদি আরবের মুখ বন্ধ করা। তুরস্ক যেখানে আগে যাবে সৌদি সেখানে চুপ থাকবে। মুসলিম বিশ্বের সহানুভূতি পাওয়া ও সুলতান সোলায়মান হতে চান এরদোগান। কারন সৌদিকে এক হাত দেখাতে হবে।
এবার খাঁটি বাংলা ভাষায় বলি, বাংলাদেশ মাইনকা চিপায় পড়ছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে। ৫ /৬ লাখ আগে ছিল, নতুন আরো ২ লাখ। মায়ানমারের টার্গেট ১০ লাখ পাঠানো। কারন, এদের মানবিক কারনে বার বার আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ ও তার জনগণ।
কিন্তু আর কত ?
বাংলাদেশ কে এখন খলনায়ক হওয়া ছাড়া উপায় নাই!! তেমনি ভূ-রাজনৈতিক বিশ্বে বন্ধু দেশ বলে কিছু নাই, সব স্বার্থের ভাগাভাগি, কে কত বড় ডিপ্লোম্যাট ?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৯