somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

parvaj
জিবনটা আসলেই অনেক সুন্দর!এতো বেশি সুন্দর যে, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে।যাহা ভাবি তাহা কেন জানি হয়েও হয় না। স্বপ্ন পূরনে ব্যর্থ হয়ে ঘুরে ফিরি। কবে হবে এর শেষ মরন এলেই বুঝি।

শতাব্দীর ভয়াবহ ব্ন্যা

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইমাম-খতীব ও পীর সাহেবানদের খিদমাতে মুয়াদ্দবানা গুজারিশ
-
বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যা। কিয়ামতে ছোগরা। এই কিয়ামতে ছোগরার পূর্ব আলামতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ২০ টি জেলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে! যেখানে কেউ কখনো বন্যার পানি দেখেনি- সেখানেও মাথাডুবো পানি! দেশের প্রধান নদীগুলোর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। হিমালয়ে মাত্রাতিরিক্ত বরফ গলছে। চীন-নেপালের হিমালয় ও বৃষ্টির পানি আসছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে- ভারতের বৃষ্টির ও বন্যার পানি। বাংলাদেশের অবিরাম বৃষ্টির পানি তো আছেই। এতো এতো পানি সবই আসছে ভাটির দেশ- বাংলাদেশে। এই ছোট দেশটা আর কতো পানি ধারণ করবে? তার সাথে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। মানুষর ঘর-বাড়ি বসত-ভিটা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। চারিদিকে পানি আর পানি। এতো পানির মাঝে পান করার মতো একফোঁটা পানি নেই, খাবার নেই, ওষুধ নেই, নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলেই এফেক্টেড।

এমতাবস্থায় ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া- আলেম সমাজ ও দীনের দিশারী পীর সাহেবানদের গুরুত্ব ও কর্তব্য পালন করা চাই। তাঁদেরকে বানভাসি দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রবাদ আছে- আলেম ও পীর সাহেবানরা শুধু নিতে জানেন, দিতে জানেন না। সেই প্রবাদ মুছিয়ে দিতে হবে- বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। শুধু বায়বীয় দোয়া করলে হবে না। কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। আপনারা সারাজীবন মানুষকে হাসিয়ে কাঁদিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করেছেন। আসমানের ওপরে আর জমীনের নিচের গায়েবী বিষয়ে ওয়াজ করে মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এবার আসমানের নীচে আর জমিনের ওপরের ওয়াজ করুন। কোরআন- হাদীসের আলোকে 'খেদমতে খালক' এর কথা বলুন। মিহি সুরে মানুষের দূর্দশার কথা মুসল্লী ও মুরিদানদের কাছে তুলে ধরুন। আপনাদের পূর্বসূরী আওলিয়ায়ে কিরামদের স্মৃতিগুলো রোমন্থন করুন। ভাবুন- আল্লাহর প্রিয় রাসূল (দরুদ) এই সময়ে জাহেরী জিন্দগীতে থাকলে কী করতেন। তিনি দূর্গত, দুস্থ ও দুঃখী মানুষের জন্য কী করেছেন আর তাঁর উম্মতদেরকে কী করতে বলেছেন?

এই ছোট বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি ইমাম খতিব আছেন, ৫৫ হাজারেরও বেশি পীর আছেন। ৫০ লাখেরও বেশি আলেম-উলামা আছেন, ১০ হাজারেরও বেশি মাজার-দরবার আছে। প্রত্যেকে মাত্র ১০০ টাকা করে দিলেও বাংলাদশে কেউ কোনদিন অভূক্ত থাকবে না। যে কোন দূর্যোগে কখনও কোন মানুষ অভুক্ত ও পিপাসার্ত থাকবে না। কোন মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। ওহে নদীম শাহ সকল! আপনারা নিজে দিতে না পারলেও আপনাদের মুসল্লি এবং মুরিদানদের মাঝে অন্ততঃ বানভাসি মানুষের দুঃখ-দূর্দশার কথা তুলে ধরুন। দুস্থ মানবতার সেবায় দান-খয়রাত করতে উদ্বুদ্ধ করুন। বিপন্ন, নিরন্ন, বুভুক্ষু ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলুন। এতে করে আর্ত- মানবতার যেমন উপকার হবে, তেমনি আপনারা আল্লাহ- রাসূলের (দরুদ)পাকড়াও থেকে বেঁচে যাবেন। ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ।

মানবিক কারণে সাহয্যের হাত প্রসারিত করুন.......
২০০ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে উজান থেকে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে এসেছে ভয়াবহ বন্যা। ১৯৮৮ সালের ভয়াবহতাকেও ছাপিয়ে যাবে।তার আলামত দেখা গেছে দেশের উত্তরাঞ্চলে। উজানের ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা ও তিস্তা অববাহিকায় পানির উচ্চতা ৭৫ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। উত্তরাঞ্চলের ২০টি জেলার প্রায় ৩৪ লাখ মানুষ গৃহ, খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত। তাদের সাহায্যার্থে জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ফুটন্ত ফুলের আসরের উদ্যোগে খাদ্য, বস্ত্রসহ চিকিৎসা সেবা প্রদানের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জের হাওড়ে পানি বন্দি ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের আমাদের পাশে থেকে যে সহযোগিতা করে ছিলেন তার জন্য আপনাদের প্রতি ফুটন্ত ফুলের আসর পরিবার কৃতজ্ঞ। আপনাদের দেয়া ১,৪০,৫১৩ টাকায় আমরা ছয়টি পরিবারকে পুনঃবাসনসহ ৫৫০ জন শিশুদেরকে ঈদবস্ত্র প্রদানে সক্ষম হয়েছিলাম। আশা রাখি বিগত কর্মসূচির মত এবারো আপনারা সাহায্যের হাত প্রসারিত করবেন। আপনাদের দেয়া সহযোগিতা নিয়মিত আপডেট দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে

বিনীত
মুহাম্মাদ নুরুল হক চিশতী
নির্বাহী পরিচালক
০১৭২৪০৭২৫২১
ইমরান হুসাইন তুষার
পরিচালক (অর্থ ও পরিকল্পনা)
ফুটন্ত ফুলের আসর
০১৯১৪১২০৬৬৮

বি.দ্র: এই পোস্টটি ব্যাপকভাবে শেয়ার করে এবং অবিকৃতভাবে কপি-পেইস্ট করে আর্ত মানবতার সেবায় এগিয়ে আসুন। জাযাকুমুল্লাহু খায়রান কাসীরা।

তারিখ: ১৮ আগস্ট, ২০১৭ খৃ.
চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×