বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
----------------------
পীরানে পীর,গাউসুল আযম দস্তগীর, আবদুল কাদের জিলানী (রা) ' তাঁর বিখ্যাত কিতাব গুনিয়াতুত তালেবীনে শবে বরাত প্রসঙ্গে বলেন, আল্লাহ্ পাক শবে বারাতের রাতে প্রকাশিত হন,কেননা এ রাত নির্দেশের ফয়সালার, ক্রোধের ও সন্তুষ্টির, কবুলের ও প্রত্যাখ্যানের, নৈকট্যের ও দূরত্বের, সৌভাগ্যের ও দুর্ভাগ্যের,মর্যাদার ও পরহেজগারির রাত। শবে বরাত ফেরেস্তাদের ঈদের রাত। আমাদের ঈদ দিন,আর ফেরেস্তাদের রাতে, কারণ, আমরা রাতে ঘুমাই, কিন্তু ফেরেস্তাদের ঘুম নাই।
তিনি বলেন, লাইলাতুল বারাত (ভাগ্য রজনী /বিচ্ছেদের রাত) নামকরনের কারন হলো, এই রাতে দু'ধরনের বারাত বা সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে, ১, অপরাধীরা আল্লাহর রহমত থেকে (যদি তওবা না করে), আর, ২, আল্লাহর প্রিয় বান্দারা পার্থিব অপমান, লান্ঞ্চনা থেকে। (গুনিয়াতুত তালেবীন, --৩৬৫)
হাদিসে এসেছে, ---এ রাতে সকল নবাগত সন্তানের নাম লেখা হয়, যারা পরবর্তি বছর জন্ম নেবে, এ রাতে ঐ সকল লোকের তালিকা তৈরী হয়, যারা পরের বছর মৃত্যুবরন করবে। তাছাড়া, সৃষ্টিকুলের রিজিক বন্টন হয় এ রাতে, এবং মানুষের আমলনামা এ রাতেই উর্ধজগতে উঠানো হয় ( ঐ, পৃ ৩৬৪)।
তিনি হাদিস শরিফের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, শাবান মাসে রমজানের অবারিত কল্যান ও বরকতের বহুমুখী দরজা খুলে দেওয়া হয়।
গাউসে পাক বলেন, শা'বান শব্দে পাঁচটি অক্ষর আছে, -----এর,
শীন --হলো শরফ, বা মর্যাদা,
আঈন ---উলুব, বা উন্নত মর্যাদা, বা উন্নতির বাহন,
বা ---পূর্ণতা ও নেক আমল,
আলিফ ---উলফত, আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে ভালোবাসা, বান্দায় -বান্দায় ভালোবাসা, প্রবনতা,
নূন ----নূর, বুঝানো হয়েছে। ( ঐ) ,
অর্থাৎ মানুষের অন্তরে এ মাসের ইবাদাতের কারণে নূর সৃষ্টি হবে, মর্যাদা বাড়বে, মূমিন উন্নতির চরমে পৌঁছবে, পূর্ণতা পাবে, বিশেষত আল্লাহর প্রেম ও নৈকট্যে যেতে সহায়ক হবে এ মাস, বিশেষত এর ১৪ তারিখ দিবাগত রাত, শবে বরাত রাত।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:১১