সকালে মা জিজ্ঞেস করলো, বাবা প্যারাসিট্যামল টেবলেট আছে নাকি?
মা.. জানে প্যারাসিট্যামল আর নাপা জ্বর এবং ব্যাথা কমানোর জন্য।
মাকে বললাম,কি করবে প্যারাসিট্যামল?
মা বললো,মুরগিটাকে একটা খাওয়াই দিবো!!
মায়ের কথা শুনে হাসিও থামেনা আবার গভীর একটা চিন্তার মধ্যে পড়ে গেলাম।
মাকে বললাম,প্যারাসিট্যামল দিয়ে কি মুরগি ভালো হবে?
মা বললো,, একটা মুরগিকে গত পরশুদিন খাওয়াইছি, এখন সে সুস্থ!!
আশ্চর্য!! মানুষের ওষুধ দিয়ে আজকাল মুরগিও সুস্থ হয় নাকি?
সত্যিই তো! পাশের বাড়িতেও একই অজুহাত, মানুষের ওষুধ দিয়েই হাস মুরগি ভালো হয়!!
তাহলে কি ওষুধ কম্পানি গুলো মানুষ আর অন্যান্য প্রাণীর জন্য একই ওষুধ বের করছে? নাকি মানুষের শরীর অন্যান্য প্রাণীর মত ধারণ ক্ষমতা পেয়েছে?
চারপাশে যখন ফরমালিন,বিষ,বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক তখন মানুষ আর অন্যান্য প্রাণীর মধ্যেই বা কি পার্থক্য থাকতে পারে!
আমরা নিজেরাই নিজেদের ভবিষৎ ধংস করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
অদূর ভবিষৎতে ওষুধ কম্পানি গুলো সকল প্রাণীর জন্য একটাই মেডিসিন তৈরি করবে এটা নিশ্চিত!!
গল্পটা এরকম...আমি তিন দিন না খেয়ে আছি, আমার এক বন্ধুকে বলতেই সে উত্তর দিলো,,হাতি অতবড় প্রাণী কতদিন না খেয়ে থাকে আর তুইতো মানুষ!
তিন দিন না খেয়ে থাকলে কি হবে!!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩