বেশ কিছুদিন থেকে একটু বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে উৎসবে মেতে আছি ! খুব সহজে এমন হই না বলে। একঘেয়ে নিয়মের বাইরে সবাই চলতে ভালোবাসে, কিন্তু এই যে ব্যত্যয় সেও একসময় ক্লান্তিকর। খুব চাইছি কিছু একটা লিখি, শান্ত নিস্তরঙ্গ সময়টাকে কাঁচের মত ঝনঝন শব্দে ভেঙ্গেফেলি। কবিতা'র পাঠক একজন বলেছেন, অযাচিত এই উর্বরতা বিহীন দিনগুলোর নামে যেন একটা এলোমেলো কবিতা লিখি আমি সেই কবিতার নাম হবে, "বিক্ষিপ্ত সময়ের কবিতা"
হলদেপরী হেমন্তের যাইযাই সুরে, শীতের এই এক পা দু' পা ফেলে নিজেকে জলে নামানোর সময় টা অদ্ভুত বিষণ্ণ। কুয়াশার চাদরে এখন ও প্রকৃতিকে মুড়ে ফেলার মত যথেষ্ট নয়। তেমনি একটা পরিপূর্ণ কবিতা লেখার জন্য আমার শব্দ ও তত নেই, আমার অভাব শব্দে! অথচ লিখতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ও তীব্র।
আমার শঙ্খশব্দ কবিতায় পাঠকদের কাছে নিবেদন ছিলঃ
কবিতা' টি এই ব্লগের সমস্ত কবিদের উৎসর্গ করলাম!! আপনারা ও মন্তব্য লিখতে পারেন;
আপনাদের কাছে অসাধারণ একটা কবিতা পাঠের আনন্দ কতটুকু !!!
বেশ কয়েকটা অসাধারণ মন্তব্য এসছে, তবে একেবারেই কবিতার শেষাংশে থাকায় অনেকের ই দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যর্থ হয়েছি। তাই ভাবলাম কবিতা সমৃদ্ধ এই ব্লগ এমন একটা প্রশ্ন নিয়ে সম্পূর্ণ একটা লেখা দাবী করতেই পারে। শঙ্খশব্দ কবিতার মন্তব্যে যারা চমৎকার একটা কবিতা পাঠের অনুভূতি মন্তব্যে এনেছেন , আপনাদের জন্য আমার শিউলি ঝরা শুভেচ্ছা।
আজকের লেখায় সেই মন্তব্যগুলো তুলে আনছি, আর এই লেখায় আপনাদের অনুভূতির মুক্তোগুলো ও কুঁড়িয়ে নেবো। আমার জন্য এ হবে ব্লগারদের দেয়া এক অনন্য উপহার।
দিশেহারা রাজপুত্রবলেছেন : তাহলে আমার কাছে চমৎকার একটা কবিতা ওর মতো....
কিরমানী লিটন বলেছেন:
কবিতা আমার কাছে- অনেক বৃষ্টি ঝরে একমুঠো রোদের উষ্ণতা। শীতের শীতলের উম। শূন্যতায় হেলান দিয়ে পোয়াতি জোছনার প্রসবিত সুখের অবগাহন। হেঁটে দৌড়ে ক্লান্ত হয়েও- আবার চলার শক্তি। মায়ের ছেঁড়া আঁচলে হলুদের গন্ধ মাখা- নিশ্চিন্ত আদুরে সুখ। পিতার কমল জায়নামাজের- উদার জমিন। সমৃদ্ধ অতীত, সংগ্রামী বর্তমান, আশার ভবিষ্যৎ। কবিতাই আমি- আমার অস্তিত্বে লেপটে থাকা প্রেয়সীর মুখ। কবিতা মানে সমাজ নির্মাণের হাতিয়ার। কবিতাই আমার স্বদেশ- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...
করুণাধারা আপু বলেছেন: অসাধারণ একটা কবিতা পড়ার আনন্দ কতটুকু! [/sb
অসাধারণ এক কবিতা পড়ার পর যে আনন্দ হয়, তা পুরোপুরি প্রকাশ করা যায় না। শব্দ দিয়ে কি সব অনুভূতিই প্রকাশ করা যায়? যায় না! তাই কখনোই বলা যাবেনা, অসাধারণ কবিতা পড়ার পর কিভাবে মনের ভিতর নানা অনুভূতি আসে আর চলে যায়...........
পুলক ঢালীবলেছেনঃ হায় হায়! কাকে কি বললেন!
কবিতা পড়ার চমৎকার অনুভূতি কি সেটা যদি জানতেম তাহলে কি আর কবিতা আর কবিদের ভুই পাইতাম?
কবিতা ভীষন জটিলস ব্যাপার মাথার দশহাত উপ্রে দিয়া পলায়ন করে।
ছুডোকালে কবিতার সঠিক ব্যাখ্যা লিখিতে না পারার কারনে পেতে রাখা হাতে স্যারের কঞ্চির মারের স্মৃতি এখনো তাড়া করিয়া ফেরে। (ফাঁকিবাজ ছিনু)
এমন অর্বাচীনকে এমন চ্যালেঞ্জ ছুড়িয়া মারা ঔচিত্য কর্ম হইলো কি ?
মনিরা সুলতানাঃ আমার কাছে চমৎকার একটা কবিতা পাঠের অনুভূতি অমরাবতী সম আনন্দের!
শঙ্খ শব্দেরা হৃদ ছুঁয়ে থাকা প্রেমিক;
জলে জলে জলতরঙ্গ, উন্মনা ভ্রমরের উচাটন মন।
পুঁইগোটা রঙে সাজা প্রেয়সীর পঁইছা ।
মগ্নচৈতন্যে মউমউ মঞ্জরা।
আকাঙ্ক্ষিত আবেশিত শব্দদল-
সন্ধ্যার বাতাসে ঘোরলাগা মৌলী সুবাস
ভালোলাগায় মরে যেতে চাওয়ার মত শূন্যতা ;
আর ভোরের শিশিরের আদরে আদরে ঝরে পরা শিউলি।
এবারে আপনার পালা ...............
অগ্রিম ধন্যবাদ সবাই কে অগ্রহায়ণের পিঠাপুলির।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৩