কেউ কেউ কবিতায় ভাসে ভাসায় ,কারো যাদু গদ্যে !
কেউবা হয়ে উঠেন সব্যসাচী শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে তোলা কারিগড় সব ।
একজন শরীফ তমাল ,সামহুয়ার ইন ব্লগের "শতদ্রু এক নদী " নামে ই একটু বেশি আদৃত বেশি আরও একটু কাছের;
সাবলিল লেখার হাত ছাড়াও ব্লগারদের সাথে চমৎকার মিথস্ক্রিয়া ও অন্যতম কারন ।
স্নেহ নিম্নগামী! বয়সে দেড়যুগ ছোট হবার কারনেই হয়ত স্নেহান্ধ একজন হিসেবে ____
আমার কাছে "দুনিয়া কাঁপানো সাতদিন " শিরোনাম হয়ে উঠার মত একজন " শতদ্রু এক নদী "
তমালের কবিতা আমায় মুগ্ধ করে ,কিন্তু কবি পরিচয়ে র চাইতে লেখক নিজের গদ্যর শৈলীতে সবসময় ই মুগ্ধতা বেশী প্রকাশ করেন
একজন খাঁটি গুণমুগ্ধ ভক্তের পরিচয় দিতে আজকের বই কথনে থাকছে তার গল্পের সমাহার;
"এন্ড দেন আই ডিসাইডেড টু.... "
"শিরোনামে" ছয়টা ছোট গল্প নিয়ে একটা বই ;
প্রতিটা গল্পের প্রেক্ষাপট , সময়কাল, লিখন শৈলী ,ভাষা এমন কি গল্পের গাঁথুনি ও পরস্পরের থেকে একেবারেই আলাদা
আবার সবগুলো লেখাই ঠিক মোহনায় এসে তৈরি করেছে অপূর্ব এক সুরের ঐক্যতান! সেই মোহনা হল ,মানবিকতা মমত্ববোধ আর এই ক্ষণিকের পৃথিবীর প্রতি অসীম ভালোবাসা , এবং আদিমতম উপসর্গ " মায়া" !
মানব জন্মের আবর্তে : আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সরল গুহাবাস থেকে একজন সভ্যতার ছোঁয়ায় পাল্টে যাওয়া নিবু যেমন করে ফিরে যায় তার তরুর কাছে ,জীবনের সব রঙের কৌটা তার পায়ে নৈবদ্য রাখতে ; তেমনি
এন্ড দেন আই ডিসাইডেড টু কিক মাইসেলফ আউট অব হেভেন:
গল্পে এসে একেবারেই আমার মত আমার আপনার প্রতিদিনের কথকতার ছলে সে অভিমানী আর আতংকগ্রস্থ কন্ঠে বলে উঠে "
#এমন বেহেশতেই আমি থাকতে চাই না যেখানে আমি আমার দুনিয়ার প্রিয় ভালোবাসার মানুষের হাত ধরে বসে থাকতে পারবো না "
#" প্রতিটি জন্মে আমাদের গল্পের শেষে লেখা থাকবে যে আমরা একসাথে হাতে হাত রাইখা হাসিমুখে মরবো"
আকর্ষণীয় ঢঙ এ বলা (একেবারেই আউট অব বক্স থিংকিং যাকে বলে )
তাছাড়া আলাপচারিতায় লেখক তার অতি উচ্চমার্গের রসিকতা বোধ এর প্রমান ও রেখেছেন প্রায় প্রতি ছত্রেই ।
রাজরক্ত : এখানে উঠে এসছে শাসক হিসেবে একজন সাধারনের ভালোবাসা না পাবার যন্ত্রণা , রাজরক্তের দাম্ভিকতা ,কূটচাল এবং নিশংসতা ।
অতপরঃ একজন সম্রাট মুরসিলির সাধারণ মানবিক মানুষ হিসেবে রা এর কাছে ফিরে আসা ।
দেশীয় সায়েন্স ফিকশনগুলো অধিকাংশ (অবশ্যই আমার ক্ষুদ্র পাঠের অভিজ্ঞতায় ) হবার কারনেই কিনা জানি না আমার কাছে একটু কাঠখোট্টা লাগে ,তুলনা হিসেবে জাফর ইকবাল এবং হুমায়ূন আহমেদ এর সায়েন্স ফিকশন এর কথা বলা যায় ।
হুমায়ূন এর লেখা গুলোর মাঝে কোমলতা অনেক । (স্বীকার করে নিচ্ছি আমি কূয়োর ব্যাঙ ,খুব বেশি পাঠের অভিজ্ঞতা নেই )
এবারে লেখকের সাইন্স ফিকশন পয়গম্বরে আসি :
চিত্রসিঁথি আর প্রবাল এই প্রধান দুই চরিত্রের নামকরণেই মন কেঁড়ে নেয় !
তোকে নয় ,খুঁজে ফিরছি নিজেকেই : এই সময়ের কথন যেন , লেখায় আপনি আমি ,কবিতা টি,এস,সি , কৃষ্ণচূড়া ধান শালিক এর জীবন এর সাথে ব্রিটিশ কাউন্সিলের না ফুরুনো রাস্তা আর বিচ্ছেদ ,এসব কিছুই আছে এই গল্পে ।
মেঘের জন্য রুপকথাঃ শেষের গল্পটা রুপকথা চুপকথা র ,ভীষণ ব্যস্ত অস্থির এই সময়ের সব শিশুদের অতলান্তিকের লুকিয়ে থাকা ইচ্ছার প্রতিফলন । শিশুদের চাইতে বাবা মায়ের এই রূপকথায় হারিয়ে যাওয়াটা বেশি জরুরী ,তাতে করে বাঘ আঙ্কেল থেকে শুরু করে রাজারানী সবাই নিজেদের শৈশব ফিরে আমাদের ভবিষ্যৎ "ফিল্ডমাস্টার গুন্ডু ম্যাও " আর "লিটল প্রিন্সেস বার্বি দ্য ঢঙ্গী" দের আর একটু বেশি মানবিক মানুষ হিসেবে
আমাদের এই আজন্ম প্রিয়
প্রায় সব ভাবেই ফিরে আসতে চাওয়া
এই পৃথিবীতে রেখে যেতে পারব ! লেখকের মত করেই না হয় বলি ....
And then i decided to kick myself out of heaven ... For our chosen earth ,where after every cycle of life ,in the conclusion these words would be most suitable ,
"And then they lived happily ever after .... "
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮