১.
সবথেকে কাছেও আসা যায়।
অন্য সবাই তখন ঘুমিয়ে থাকে, অথবা
ছদ্মবেশী ঘুমের আড়ালে তারা বুনতে থাকে ভয়ঙ্কর ধ্বংশ-জাল!
বিস্তৃত ফাঁদের ফাঁক-ফোকড় খুঁজে আমরা এগিয়ে যাই।
আমাদের চলার গতি ধ্রুপদী সংগীতের থেকেও বেশী সাবধানী।
আমাদের প্রতিটি পা তাল মেনে চলে।
এই দুঃসময়ে আমরা সংগীতের মতো এগিয়ে চলি।
২.
এক সুরে বেজে যাই আমরা, পিয়ানো-ভায়োলিন।
সুর থেকে সুরে ছুটে চলি,
কখনো আমরা তুমুল বাজি, কখনো শুধু একতারা।
তুমি বাঁশি আমি ক্ষ্যাপা ঢোল, আমরা ঝড়ের দিনেই সবথেকে সুরে বাজি।
অথবা, একটি বিকেল, আমরা তালি-তুড়ি বেজে সুর হই। আর
শত্রু ঘেরা দুঃসময়ে যখন আমরা মৃদু টুং-টাং বেজে, আমরা
আটকে রাখি আমাদের প্রিয় শ্বাস-
তখন আমরা শুনতে পাই, আমাদের হৃদয় বাজে,
আমাদের রক্ত বাজে হৃদয়ের সুরে।
৩.
ফাঁদ এড়িয়ে চলতে হয়। কখনো আমাদের পা কেটে-ছিলে যায়। কখনো আমরা ধ্বংশ করি কয়েকটা ফাঁদ। কখনো আমরা আমাদেরকে পাখি ভাবি। আমরা ফাঁদের মাছে ঠোঁট রাখিনা। যখন আমাদের চারপাশের বাতাস ফাঁদ হয়ে যায় তখন আমরা আটকে রাখি আমাদের নিঃশ্বাস। আমাদের বুক ফেটে যায়। আমরা তবুও সুবাতাসের অপেক্ষায় দিন গুনি......
আমরা পরস্পর হতে দূরে চলে যাই,আবার এক মূহুর্তেই ফিরে আসি
আমরা জীবনের উদারা মুদারা তারা চষে ফেলি,
আমরা রঙিন, আমরা সাদাকালো। আমরা বিদ্যুৎ গতি, আমরা শতবর্ষী কচ্ছপ।
আহা!
আমরাই শুদ্ধতম সংগীত ।