আমি যদি অর্জুনের সারথী হতাম, তাহলে রথ চালিয়ে একটা মেঘের দেশে যেতাম। অর্জুনকে বলতাম- "চোখ ভরে নাও মেঘে, বুক ভরে নাও মেঘে, মেঘ হয়ে যাও"।
অর্জুনের এমনিতেই যুদ্ধ-হানাহানি করতে মন টানেনি!
তবুও,
কিছু হাস্যকর বিষয় যুগে যুগে "সিরিয়াস" হয়ে গিয়েছে।
For example:
পৃথিবীর সমস্ত ইতিহাস জুড়ে রয়েছে যুদ্ধের বর্ণনা, মানুষ হত্যার কাহিনী। মানুষ হত্যা করা একটা কুৎসিত ব্যাপার এবং একইসাথে তা হাস্যকর। হাস্যকর এ অর্থে যে "মানুষ" মানুষকে একটি নির্দিষ্ট গোত্রের/দেশের/ধর্মের/ভাবের/মতের তথাকথিত "মঙ্গলের" জন্য হত্যা করে!
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়
যুদ্ধ "মানুষ" কে মহান করেছে। এদের মধ্যে যারা জীবিত ছিল তাদের থেকে মৃতরা আরো বেশী মহান হিসেবে বিবেচিত।
পরম্পরা এই বোঝায় যে,
শতকে শতকে কমপক্ষে দুই/তিন টি বড় যুদ্ধ না হলে পৃথিবী স্থবির অথবা অস্থির হয়ে যাবে। সভ্যতা কলাপ্স্ড করবে!
এই পৃথিবী সেদিনই সভ্য হবে যেদিন মানুষের গায়ে হাত তোলাটা ভীষণ লজ্জাস্কর বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে, যেদিন মানুষ মানুষকে মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করবে, যেদিন পৃথিবীর কোন প্রান্তে একজন না খেতে পেয়ে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে ঘুমিয়ে যাবার আগেই হাজারটা মানুষ ছুটে যাবে খাদ্য আর ভালবাসা নিয়ে।
আর যেদিন মানুষ উপলব্ধি করবে-
"সকল মানুষ এই পৃথিবীর প্রতি সমান অধিকার রাখে..."